বিদায়টাও রঙিন হলো মিজানের
- রফিকুল হায়দার ফরহাদ
- ০৯ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০
বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে সাকিব আল হাসান, জামাল ভূঁইয়া বা রাসেল মাহমুদ জিমির মতো অতো জনপ্রিয় নন তিনি। তবে বাংলাদেশের তায়কোয়ানদো জগতে তিনি রোল মডেল। তার হাত ধরেই তায়কোয়ানদোতে আসে এস এ গেমসে প্রথম স্বর্ণপদক। ‘আমি একটি সোনা আনি দিবো’ ফেডারেশন সেক্রেটারি মাহমুদুল ইসলাম রানার ১৯৯৯ সালের সাফ গেমসের আগেই সেই ঘোষণা ২০০৬ কলম্বো এস এ গেমসে বাস্তবায়ন করেন মিজানুর রহমান। তা গেরুগে ইভেন্টে এ ছাড়া আরো তিন ব্রোঞ্জ এস এ গেমসে। কাল বাংলাদেশ গেমসে গেরুগেতে শেষ ম্যাচটি খেলে ফেললেন সেনাবাহিনীর এই সিনিয়র এই ওয়ারেন্ট অফিসার। বিদায়ী ম্যাচেও ঘরোয়া আসরে তার অপরাজেয় থাকা। বিজিবির প্রতিপক্ষকে হারিয়ে জিতেছেন ক্যারিয়ারের ২৯তম স্বর্ণ। এই গেমসেই দুই দিন আগে পুমসে গলায় তোলেন স্বর্ণপদক।
পুমসে প্রথম হওয়ার পরই ঘোষণা ছিল বিদায়ের। কাল আনুষ্ঠানিকতা শেষে বলেন, ‘আমি চাইলে আরো চার-পাঁচ বছর খেলতে পারতাম। গেরুগের মতো বডি কন্ট্রাক্ট গেমে এত লম্বা সময় ফিটনেস ধরে রাখাটা কঠিন। আমি তা ধরে রেখেছিছ। দেশে কোনো ম্যাচে হারিনি।’ এরপর যোগ করেন, ‘এখন জুনিয়ররা খেলছে। আমারই ছাত্র অনেকে। এদের সাথে লড়তে আত্মসম্মানে লাগছে। তাই অবসরে।’ গেরুগে ছাড়লেও পুমসে খেলে যাবেন তিনি। সাথে চলবে কোচিং পেশাও। জানান, আমি খেলা ছেড়ে কোচিং করাতে চাই। বাংলাদেশের তায়কোয়ানদোকে আরো উঁচুতে নিতে চাই।
২০০৩ সালে তায়কোয়ানদোতে আসা মিজান ২০০৫ সালে জাতীয় আসরে প্রথম স্বর্ণ পান। এর আগে ২০০৪ সালের ইসলামাবাদ গেমসে গলায় তোলেন ব্রোঞ্জ। বাকি দুই ব্রোঞ্জ ২০১০ এবং ২০১৬-এর এস এ গেমসে। ২০০৬ সালে প্রথম এস এ গেমসে স্বর্ণ জিতলেও মিজানের কাছে বড় প্রাপ্তি ২০০৯ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত কোরিয়ান ওপেনে স্বর্ণজয়। জানান, সেখানে ৭৬টি দেশ অংশ নিয়েছিল। আর আমি ফাইনালে চীনের প্রতিপক্ষকে হারানোর আগে নিউজিল্যান্ড, উগান্ডা এবং কম্বোডিয়ার প্রতিযোগীকে হারিয়েছি।’ তার দেয়া তথ্য দেশে ২৯টি এবং বিদেশে আরো পাঁচটিসহ মোট ৩৪ স্বর্ণ জিতেছি।
৩৮ বছর বয়সী মিজানের চাওয়া ফেডারেশন যেন ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম আনে। তা না হলে আন্তর্জাতিক আসরে ভালো করা যাবে না
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা