২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

‘দলের লক্ষ্য হারের বৃত্ত ভাঙা’

-

‘নিউজিল্যান্ডে আমরা দুইবার স্বাধীনতা উদযাপন করব, একটি ১০ মার্চ দুপুর ১২টায় কোয়ারেন্টিন সেন্টার থেকে মুক্ত হয়ে। আরেকটি ২৬ মার্চ দেশের স্বাধীনতা দিবসে।’ নিউজিল্যান্ড সফরে থাকা জাতীয় দলের হেড অব ডেলিগেট জালাল ইউনুস কথাগুলো মজা করে বললেও এটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। ১০ মার্চ ক্রাইস্টচার্চে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষ হলে মুক্তির আনন্দই পাবেন তামিম-মাহমুদুল্লাহ বাহিনী। আর মাত্র এক দিন। এরপরই মুক্ত বিহঙ্গ হয়ে যাবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল।
কিউইদের বিপক্ষে ওদের মাটিতে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ২৬ ম্যাচের সব ক’টি হেরেছে বাংলাদেশ। চ্যালেঞ্জ জয়ের পথও অজানা নয়। প্রস্তুতি চলছে কঠিন অভিযানের। কোয়ারেন্টিনের ফাঁকে অনুশীলনের সুযোগটুকু দল পুরোপুরি কাজে লাগাচ্ছে বলে জানালেন মাহমুদুল্লাহ। অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের মতে, আগ্রাসনের মন্ত্রে সামনে এগোলে ভালো করতে পারে দল। এবার মহামারীকালে প্রথম সফরে দলের লক্ষ্য, হারের সেই বৃত্ত ভাঙা।
বিসিবির পাঠানো ভিডিও-বার্তায় মাহমুদুল্লাহ জানালেন, তাদের প্রস্তুতি চলছে দারুণ। ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, আমরা অনুশীলন করতে পারছি। যে দুই ঘণ্টা সময় পাচ্ছি, আমরা নিশ্চিত করছি যেন যথাযথ অনুশীলন করতে পারি। স্কিল অনুশীলন, রানিং বা ফিটনেস, ওই সময়টাতেই করছি। উপভোগ করছি।’ তিনি যোগ করেন, ‘সবাই জানি যে, এখানকার কন্ডিশন সবসময়ই চ্যালেঞ্জিং। আমাদের জন্য কোনো কিছুই সহজ হবে না। দল হিসেবে আমাদের ভালো খেলতে হবে। তিন বিভাগেই ভালো করতে হবে।’
দেশের মাটিতে কিউইরা যেকোনো দলের বিপক্ষেই দুর্দান্ত। ক’দিন আগেই টি-২০ সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়েছে। চলতি মৌসুমে এর আগে তারা টেস্টে হোয়াইটওয়াশ করেছে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। এদের বিপক্ষেই জিতেছে টি-২০ সিরিজ। মাহমুদুল্লাহ চাইছেন নিজেদের দিকেই মনযোগ দিতে, ‘ওরা অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে, এই কথা মাথায় না রেখে যদি নিজেদের শক্তি আর দুর্বলতার জায়গাগুলোতে মনোযোগ দিতে পারি, তাহলে আমাদের খেলার জন্য ভালো হবে। আগ্রাসী ক্রিকেট খেলার মনমানসিকতা থাকলে আমরা ভালো করব।’
নিউজিল্যান্ডে টেস্টে দু’টি সেঞ্চুরি এবং ওয়ানডেতে একটি সেঞ্চুরি আছে মাহমুদুল্লাহর। এবারও সীমিত ওভারের দুই সংস্করণেই ফিনিশিংয়ের জন্য তার দিকে তাকিয়ে থাকবে দল। ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উইকেট বোঝার চেষ্টা করি। উইকেটের বাউন্সের সঙ্গে মানিয়ে নিতে চাই। বাউন্স আর গতি কেমন থাকে, উইকেটে গিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মানিয়ে নেয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। বেসিক ক্রিকেট খেলাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। মৌলিক কাজগুলো ঠিকমতো করতে পারি, তাহলে আশা করি ফল ভালো হবে।’
নিউজিল্যান্ডে বেশির ভাগ সময়ই মাঠের পরিধি থাকে ছোট। বাগড়া দেয়ার জন্য প্রচণ্ড বাতাস তো আছেই। যে কারণে লেংথে মনোযোগ দেয়ার কথা জানালেন তিনি, ‘এখানে লেংথের বিষয়টা খুবই জরুরি। একটু বেখেয়াল হলেই বাউন্ডারির সুযোগ বেড়ে যায়। সঠিক লাইন-লেংথে ধারাবাহিকভাবে বোলিং করে যেতে হবে। ওরা যেন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। মানসিক অবস্থা ঠিক রাখাও খুব গুরুত্বপূর্ণ।’

 


আরো সংবাদ



premium cement