২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

খেলার মাঝে করোনা পজেটিভ রিপোর্ট

চট্টগ্রামে ম্যাচ পরিত্যক্ত
-

শুক্রবার খেলা বিধায় গত বুধবার খেলোয়াড়দের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। কিন্তু খেলা শুরু হওয়ার সময়ের আগে হাতে আসেনি রিপোর্ট। ফলে বাধ্য হয়েই চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হয় বাংলাদেশ ইমার্জিং দল ও আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের প্রথম ওয়ানডে। ৩০ ওভারের সময়ই পড়ল বাধা। খবর এলো, আইরিশ দলের একাদশে থাকা অলরাউন্ডার রুহান প্রিটোরিয়াস করোনায় আক্রান্ত। ফলে আলোচনা করে পরিত্যক্ত করা হয় সিরিজের প্রথম ওয়ানডে।
৩০ ওভার পর্যন্ত টসে হারা বাংলাদেশ ইমার্জিং দল ৪ উইকেটে স্কোর বোর্ডে তুলেছিল ১২২ রান। তখনই দুই দিন আগে করা করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যায়। সবার নেগেটিভ এলেও প্রিটোরিয়াসের পজিটিভ আসে। দুই আম্পায়ার মোর্শেদ আলী খান ও তানভীর আহমেদ দুই ব্যাটসম্যান তৌহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন ও আইরিশ অধিনায়ক হ্যারি টেক্টরকেও পুরো বিষয়টি বুঝিয়ে বলেন। এরপরই দুই দলের ক্রিকেটাররা মাঠ ছাড়েন। এ সময় তৌহিদ ৪৪ আর শামীম ২২ রানে ব্যাটিং করছিলেন। এরপর সতীর্থদের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে নেয়া হয় রুহানকে।
ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার আগে অধিনায়ক সাইফ হাসান ৩১, তানজীদ হাসান ১০, মাহমুদুল হাসান জয় শূন্য ও ইয়াসির আলী ৪ রান করে আউট হন। আয়ারল্যান্ডের মার্ক অ্যাডায়ার ২টি ও করোনা আক্রান্ত রুহান ১টি উইকেট নেন। রিপোর্ট জানার আগে ৪ ওভার বল করে ইয়াসিরের উইকেটটি নেন রুহান।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘করোনার রিপোর্ট পজিটিভ হওয়ার পরই আমরা তাকে বিচ্ছিন্ন করার প্রটোকল অনুসরণ করি। রিপোর্টটি আজ (গতকাল) সকালে একটু দেরিতে এসেছে। পরের ম্যাচের আগে সবার আবার পরীক্ষা করানো হবে।’
রিপোর্ট পাওয়ার আগে খেলা শুরু হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে খামখেয়ালিপনার। যেখানে সকলে করোনা প্রতিরোধে লিপ্ত সেখানে এমন অবহেলা গুরুত্ব না দেয়ার শামিল। খেলা দেখতে মাঠে গিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। তার কথায়, ‘খেলা বন্ধ। ওদের একজনের কোভিড পজিটিভ এসেছে। বুঝতে পারছি না কী হচ্ছে। দুই দিন আগের করোনা রিপোর্ট এসেছে আজ ১১টায়। এটা তো ডাক্তারদের ব্যাপার। কেন এমন হলো?’
নান্নুর ধারণা, কোভিড রিপোর্ট ভুলও হতে পারে। ‘ওরা বাংলাদেশে আসার পর একজনের পজিটিভ এসেছিল। তাকে ২৪ ঘণ্টা আলাদা রাখা হয়েছিল। পরের পরীক্ষায় নেগেটিভ আসে। এবারো তেমন কিছু হতে পারে। যে ক্রিকেটারের পজিটিভ এসেছে, তার কোনো লক্ষণই নেই। হাঁচি-কাশি-জ্বর, কিছুই নেই। কিছু থাকলে তো বোলিংই করতে পারত না।’
শনাক্ত হওয়ার খবরের পর আয়ারল্যান্ড দল একপর্যায়ে বদলি ক্রিকেটার নিয়ে খেলার চিন্তাভাবনাও করেছিল। তবে নিজাম উদ্দিন চৌধুরী ম্যাচ পরিত্যক্ত করার বিকল্প ভাবেননি। ‘রিপোর্ট একটু দেরিতে এসেছে। আগেভাগে রিপোর্ট এলে ওই ক্রিকেটারকে ছাড়াই খেলা হয়ে যেত। তবে রিপোর্ট আসার পর আমরা প্রটোকল অনুযায়ীই ব্যবস্থা নিয়েছি। খেলা চালিয়ে কোনো ঝুঁকি নেইনি। সবার কোভিড পরীক্ষা করিয়েই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ আয়োজন করা হবে। সব ঠিক থাকলে পরশু (রবিবার) দ্বিতীয় ম্যাচ হবে।’


আরো সংবাদ



premium cement