১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জিম সেশনে স্বস্তি আজ থেকে অনুশীলন

-

নিউজিল্যান্ডে পৌঁছানোর পর গতকাল প্রথমবারের মতো জিম করার সুযোগ পেয়েছে জাতীয় ক্রিকেট দল। আজ থেকে শুরু হবে অনুশীলন। কোয়ারেন্টিন শিথিলে যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন ক্রিকেটাররা। তৃতীয় দফা করোনা পরীক্ষায় সবাই নেগেটিভ হওয়ায় এবং স্থানীয় সব নিয়ম-কানুন সঠিকভাবে মেনে চলায় আগের মতো কক্ষবন্দী থাকতে হয়নি। আধঘণ্টার জায়গায় সকাল, বিকাল ও রাতে ১০০ মিনিট হাঁটার সুযোগ পেয়েছেন। গতকাল জিম সেশন করে স্বস্তি পেয়েছেন। এটিকে মুক্তির আনন্দ বলেই উল্লেখ করলেন মোহাম্মদ মিঠুন। এ আনন্দের আরো বিস্তৃত হবে যখন আজ প্রথমবারের মতো অনুশীলনে নামবেন।
বিসিবির এক ভিডিও বার্তায় মিঠুন বলেন, ‘এত দিন আমাদের চলাফেরায় অনেক বাধা ছিল। আস্তে আস্তে বিষয়গুলো স্বাভাবিক হয়েছে। আজ (গতকাল) আমরা জিম করার সুযোগ পেয়েছি। প্রায় এক সপ্তাহ পরে জিম ব্যবহার করে ভালো লাগছে। আগামীকাল (আজ) বের হতে পারব ভেবে অনেক বেশি রোমাঞ্চিত। গ্রুপ অনুশীলনে আনন্দের মাত্রা আরো বেশি হবে।’
ঘরবন্দী জীবনকে মেহেদী হাসান মিরাজের কাছে মনে হয়েছিল ‘জেলখানা।’ মোহাম্মদ মিঠুনের কাছে এই অভিজ্ঞতা খুবই ‘কষ্টকর।’ চার দেয়ালের মধ্যে দমবন্ধ অনুভূতি হচ্ছিল কয়েকজনের। ক্রাইস্টচার্চে গত কয়েক দিনের তাপমাত্রা ছিল ১৯ থেকে ২০ ডিগ্রি। সিরিজেও যেন এমন থাকে, সেটিই মিঠুনের প্রত্যাশা। অনুশীলনে ফিরে দ্রুত কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নিতে চান মিঠুন, ‘ঘরের মধ্যে থাকা খুব কষ্টকর। এখানে ঘুরে খুব একটা কিছু করার নেই। সিরিজ খেলতে এসেছি। কাল থেকে আমরা মাঠে যেতে পারব। এই ব্যাপারটা ভাবতেই আলাদা ভালো লাগা কাজ করছে। অনুশীলনে ফিরলে আস্তে আস্তে সবকিছু মানিয়ে নিতে পারব।’
নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশের অতীত রেকর্ডটা সবার জানা। এবার সেটি বদলাতে চাইবে তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল্লাহর দল। মিঠুন নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-২০ সিরিজে ভালো করতে নতুন বলে সতর্ক থাকাকে বড় করে দেখছেন, ‘সবাই জানি নিউজিল্যান্ডে নতুন বলটা খুব চ্যালেঞ্জিং হয়। আমরা দল হিসেবে নতুন বলে যদি টিকে যেতে পারি, অবশ্যই আশা করছি আগের চেয়ে অনেক ইতিবাচক ফলাফল হবে। এটাকে আমরা অবশ্যই সুযোগ হিসেবে নিচ্ছি।’ জানান, ‘এবার অনেক আগে এসেছি, অনেক অনুশীলনের সুবিধা পাবো। আশা করি, দলের সবাই যত দ্রুত সম্ভব নিজেদের দক্ষতা দিয়ে মানিয়ে নিতে পারবে।’
ক্রাইস্টচার্চের অদূরে লিঙ্কনে সাতজনের গ্রুপে ভাগ হয়ে আজ শুরু হবে ব্যাট-বলের অনুশীলন। গ্রুপে ক্রিকেটার থাকবেন পাঁচজন করে এবং সাপোর্ট স্টাফ থাকবেন দু’জন। মুক্ত বাতাসে অনুশীলন শুরুর আগে গতকাল খানিকটা মহড়া হয়ে গেছে। সাত দিনের ঘরবন্দী জীবনে খানিকটা স্বস্তি ছিল একটু সময়ের জন্য হোটেলের খোলা জায়গায় শ্বাস নিতে পারা। আজ থেকে গ্রুপ করে অনুশীলন চলবে এক সপ্তাহ। অনুশীলন শেষে যথারীতি রুমে গিয়ে আবার বন্দী সময়। এভাবে আরো সাত দিন চলার পর কোভিড পরীক্ষায় নেগেটিভ হওয়া সাপেক্ষে মিলবে পুরোপুরি মুক্তি। মিঠুন জানালেন, ‘গোটা দল তাকিয়ে ওই সময়টার দিকে। ১৪ দিন পর যখন স্বাভাবিক চলাফেরা শুরু হবে, অবশ্যই সবাই তা উপভোগ করবে।’


আরো সংবাদ



premium cement