বাছাইপর্ব খেলতে চান না তামিম
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ২০ জানুয়ারি ২০২১, ০০:৫৪
মিরপুর শেরেবাংলায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আজ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে বাংলাদেশের। এই সিরিজ দিয়েই টাইগারদের আইসিসি ওয়ানডে লিগে অভিষেক হতে যাচ্ছে। তাই এই প্রতিযোগিতায় প্রতিটি ম্যাচ, প্রতিটি পয়েন্ট আগামী ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।
গত ৮ মার্চ মাশরাফি বিন মর্তুজা অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পর তামিমের কাঁধে তুলে দেয়া হয় ওয়ানডের নেতৃত্ব। এখনো মাঠে নামা না হলেও নেতৃত্বের চাপ সামলানোসহ অনেক ‘চাপ’ই সইতে হচ্ছে তাকে। তবে দলের নতুন অধিনায়ক তামিম ইকবাল জানালেন, বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব মোটেই খেলতে চান না। বরং এই সিরিজ থেকে পূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে সরাসরি খেলতে চান বিশ্বকাপে। শুধু এবারই নয়- প্রতিটি বিশ্বকাপেই খেলতে চান সরাসরি।
২০১৯ বিশ্বকাপেও সরাসরি অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশ। আগামী বিশ্বকাপেও টিম টাইগার এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে চায়। তামিম বলেন, ‘এখন থেকে আমরা ২০২৩ বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত খুব বেশি হলে ২৭-২৮ টা ওয়ানডে (মূলত ৩৩টি) খেলব। তাই পয়েন্টের জন্য আমাদের এখন প্রতিটি ম্যাচ জেতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর যেন বাছাই পর্ব খেলতে না হয়, সকলে মিলে সেটি নিশ্চিত করতে চাইব।’
আরো জানান, ‘ওয়ানডে ক্রিকেট আগের মতো এখন খুব বেশি হচ্ছে না। দুই-আড়াই বছরে এই ৩৩টা ম্যাচ কিন্তু খুব বেশি না। যে সীমিত সুযোগ আমাদের সামনে আছে, আশা করি আমরা তা কাজে লাগাতে পারব।
ঘরোয়া ক্রিকেটের দুটি টুর্নামেন্টে অধিনায়কত্ব করার অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে বলে জানালেন তামিম, ‘এটা একটা ভালো দিক বলতে পারেন যে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব শুরু করার আগে আমি দুটি টুর্নামেন্টে অধিনায়কত্ব করতে পেরেছি।’ মহামারীর কারণে দুর্ভাগ্যবশত আমরা বেশ কিছু সিরিজ মিস করেছি। দুটো টুর্নামেন্টই আমার জন্য কঠিন ছিল। কঠিন ছিল বলে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি।
সব সমালোচনা সইতে রাজি
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে নানা কারণে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তামিম ইকবালকে। কখনো বিতর্কিত কর্মকাে , কখনো আবার ফর্মহীনতায় সমালোচকদের তীরে বিদ্ধ হয়েছেন। গত কিছুদিন বেশি সমালোচনা হচ্ছে তার স্ট্রাইক রেট নিয়ে। পাশাপাশি অধিনায়ক তামিম কেমন করবেন, সে আলোচনা তো আছেই। বাঁহাতি ওপেনার অবশ্য সব ধরনের সমালোচনার জন্য প্রস্তুত।
২০১৯ বিশ্বকাপের পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা তিনটি ওয়ানডেতে মাশরাফির বিকল্প হিসেবে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন তামিম। ওই তিন ম্যাচের প্রতিটিতে হেরেছিল বাংলাদেশ। আর ব্যাটসম্যান তামিম করেছিলেন যথাক্রমে ০, ১৯ ও ২। গত প্রেসিডেন্টস কাপ ও বঙ্গবন্ধু টি-২০তেও তামিমের নেতৃত্বে সাফল্য আসেনি। ফলে আন্তর্জাতিক ম্যাচে অধিনায়ক হিসেবে নামার আগেই সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে। গতকাল অধিনায়কত্ব নিয়ে দিলেন নানা প্রশ্নের উত্তর।
‘নেতৃত্বের জায়গায় সবকিছু সইতে রাজি। সত্যি কথা বলতে আমি যত সমালোচনার শিকার হয়েছি, মনে হয় না কোনো ক্রিকেটার এভাবে হয়েছে। আমার সঙ্গে কারণে-অকারণে এমনটা হয়েছে। যখন অধিনায়কের দায়িত্ব গ্রহণ করেছি, তখন নিশ্চিত ছিলাম অনেক রকম প্রশ্ন আসবে, সমালোচনা হবে। আমি একটাই কথা বলব আমি সমালোচনার জন্য প্রস্তুত। পাশাপাশি আমি সম্মানিত, রোমাঞ্চিত বোধ করছি। আপনি যখনই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলবেন, তখন চাপ সবসময়ই থাকবে।’
ওয়ানডে পরিসংখ্যান
বাংলাদেশ ও ইন্ডিজ
মোট ম্যাচ ৩৮ ১৫ জয় ২১ জয়
সর্বোচ্চ উইকেটে জয় ৮, সিলেট ২০১৮ ১০, জয়পুর ২০০৬
সর্বোচ্চ রানে জয় ১৬০, খুলনা ২০১২ ১৭৭, জর্জিয়াস ২০১৪
দলীয় সর্বোচ্চ ৩২২/৩ ৩৩৮/৭
দলীয় সর্বনি¤œ ৫৮, ঢাকা ২০১১ ৬১, চট্টগ্রাম ২০১১
ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ তামিম ১৩০* রামদিন ১৬৯
সবচেয়ে বেশি রান তামিম ৯৩৩ হোপ ৭৫৮
বেশি সেঞ্চুরি তামিম ২টি হোপ ৩ টি
সবচেয়ে বেশি উইকেট মাশরাফি ৩০টি রোচ ৩০ টি
এক ইনিংসে সেরা সাকিব ৪ উইকেট রোচ ৫ উইকেট
অমীমাংসিত : দুটি (চট্টগ্রাম ২০০২, বেনিন ২০০৩)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা