১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শিষ্যের কাছে গুরুর দ্বিতীয় হার

-

গুরু আজহারুল ইসলাম। শটপুটে ছয়বার চাকতি নিক্ষেপে (ডিসকাস থ্রো) ৩৩ বার স্বর্ণের পদক গলায় ঝুলিয়েছেন। মাঝে চাকতি নিক্ষেপে মাত্র দু’বার হার মেনেছেন তারই শিষ্য মামুন সিকদারের কাছে। একবার ২০১৬ সালে আরেকবার গতকাল ৪৪তম জাতীয় মিটে। তবে আজহারুলের ৪৪.৯৮ মিটারের রেকর্ডটি এখনো তার দখলে। যা তিনি ২০১০ সালে সাফ গেমসে করে ব্রোঞ্জপদক জিতেছিলেন। তার শিষ্য এবার ৪৪.২৫ মিটার দূরত্বে চাকতি নিক্ষেপ করে স্বর্ণপদক জেতেন।
২০১৩ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে অবসরে যান আজহারুল। ২০১৩-২০১৪ বিজেএমসিতে কাটিয়ে ২০১৫ সালে চুক্তিতে যোগ দেন নৌবাহিনীতে। মামুন সিকদারের গুরুর দায়িত্ব পালন করেন ২০০৫ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত। শিষ্যের কাছে পরাজয়ে খুশি আজহারুল, ‘একজন ওস্তাদের তখনই গর্ব করা উচিত যখন তার শিষ্য মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শিখে। অবশ্য আফসোসও করলেন তিনি, এসেছিলাম রেকর্ড করতে। কিন্তু পেলাম ব্রোঞ্জ। এ জন্য ঢাকা এসে খাবার গ্রহণকেই দায়ী করলেন।
চাঁদপুর কচুয়ার মামুন সিকদার হ্যামার থ্রো দিয়ে আর্মির খেলাধুলায় অভিষেক হলেও সাফল্য পান শটপুট ও চাকতি নিক্ষেপে। গুরুর মান রাখতে তিনি চাকতি নিক্ষেপ করতে চান ৪৬ মিটার পর্যন্ত। ‘আমার সর্বোচ্চ হলো ৪৪.২৫ মিটার। কিন্তু টার্গেট ৪৬ মিটার। আজহার ভাই ৪৪.৯৮ করেছিলেন আন্তর্জাতিক মঞ্চে। আমিও ওই মঞ্চে ৪৬ করতে চাই।’ অবশ্য ১৯ ফেব্রুয়ারি মিশনে যাওয়ার কথা রয়েছে তার। সেখানে গেলে রেকর্ডের অপেক্ষা বাড়বে।


আরো সংবাদ



premium cement