২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অস্থিরতায় শুরু হচ্ছে জাতীয় অ্যাথলেটিকস

-

বাফুফের সাথে মাঠের সুষ্ঠু বণ্টন নিশ্চিত না হওয়া, ইলেকট্রনিক টাইমিং ব্যবহার করতে না পারা, স্পন্সরবিহীন এত বড় একটা আয়োজন এবং সর্বোপরি করোনা মোকাবেলাসহ নানা অস্থিরতায় আজ থেকে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু ৪৪তম জাতীয় অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা। ১৫-১৭ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে পুরুষ বিভাগে ২২ ও মহিলা বিভাগে ১৪টিসহ মোট ৩৬টি ইভেন্টে ৪৫০ জন অ্য্যাথলেট অংশ নেবেন। পুরুষ ও মহিলা বিভাগে জাতীয় এ প্রতিযোগিতার প্রথম দিনেই হবে পুরুষ ও মহিলা বিভাগের ১০০ মিটার ¯িপ্রন্ট।
গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রকিব মন্টু বলেন, ‘জাতীয় মিট হবে বলে গত ৬ ডিসেম্বর চিঠি দিয়েছি বাফুফেকে। মৌখিক অনুরোধও করেছি। তারপরও ওই তিন দিন ফুটবল খেলা রেখেছে। মিটের সময় সারা মাঠে কিংবা মাঠের বাইরে নানারকম ইকুইপমেন্ট ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে। ফুটবলের কারণে প্রতিদিন এগুলো সরাতে হবে আবার পরদিন লাগাতে হবে, যা বাড়তি বিড়ম্বনা।’
ইলেকট্রনিক টাইমের ব্যাপারে বলেন, ‘এটি নিয়মতান্ত্রিকভাবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাজ। এটি পরিচালনার জন্য কমপক্ষে ১০ জন লোক দরকার। সেনাবাহিনীকে অনুরোধ করেছি। তারা ব্যস্ত রয়েছেন বলেছেন। তাছাড়া আগামীতে এনএসসির নতুন বাজেটে ইলেকট্রনিক টাইম মেশিনও রয়েছে।’ বাজেট ১৮ লাখ টাকা। এত বড় স্পন্সর পাওয়া যায়নি বিধায় নিজেদের ফান্ড থেকে খরচ করছি। করোনাভাইরাস প্রতিরক্ষাও একটা চ্যালেঞ্জ। যোগ করেন মন্টু।
প্রথমবারের মতো অ্যাথলেটদের দেয়া হচ্ছে আর্থিক পুরস্কার। প্রতিটি ইভেন্টে সোনা জয়ী তিন হাজার, রুপা জয়ী দুই হাজার এবং ব্রোঞ্জ জয়ীদের এক হাজার টাকা করে অর্থ পুরস্কার দেয়া হবে। যারা নতুন রেকর্ড গড়বেন, তারা পাবেন পাঁচ হাজার টাকা করে। প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া অ্যাথলেট ও কর্মকর্তাদের ৭২ ঘণ্টা আগে কোভিড-১৯ পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট আনতে হবে বলেও উল্লেখ করেন মন্টু।


আরো সংবাদ



premium cement