২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

স্টেডিয়ামগুলো যেন মরু গোলাপ

-

পুরো আরব বিশ্বের মরুভূমিতে পাওয়া যায় মরু গোলাপ। এ ছাড়া স্পেন, জার্মানি, মঙ্গোলিয়া, লাতিন আমেরিকা, মেক্সিকো এবং অস্ট্রেলিয়াতেও মেলে এর সন্ধান। মরুভূমিতে এবং রুক্ষ পাহাড়ি এলাকায় বছরের পর বছর প্রাকৃতিক কারণে তৈরি হয় এই ফুল সদৃশ্য বস্তুটি। বালি-পাথর আর অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদানের সংমিশ্রণে তৈরি হওয়া কঠিন বস্তুটিই মরু গোলাপ। আধা ইঞ্চি থেকে দুই তিন ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয় এগুলো। আবার মরুভূমির এক ধরনের ফুলেরও পরিচিতি মরু গোলাপ নামে। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ উপলক্ষে কাতার সরকার যে আটটি নতুন স্টেডিয়াম প্রস্তুত রেখেছে, বানিয়েছে বা বানাচ্ছে এর প্রত্যেকটি যেন একটি মরু গোলাপ।
দেখতে দারুণ সুন্দর এই স্টেডিয়ামগুলো। সব কয়টি স্টেডিয়ামের অবস্থানই দেশটির পূর্ব অংশে। চারটি আবার পারস্য উপসাগরের পাশে। উল্লেখ্য, দেশটির তিন পাশে পারস্য উপসাগর। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় স্টেডিয়ামের নাম লুসাইল স্টেডিয়াম। ৮০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন এই স্টেডিয়ামে হবে উদ্বোধনী এবং ফাইনাল ম্যাচসহ নয়টি খেলা। দর্শক ধারণক্ষমতার দিক থেকে এর পরেই অবস্থান আল খোরের আল বায়েত স্টেডিয়ামের। ৬০ হাজার ফুটবলপ্রেমী এই মাঠে উপভোগ করতে পারবেন আটটি ম্যাচ। বাকি ছয় স্টেডিয়ামে ৪০ হাজারের বেশি দর্শকের উপস্থিতির কোনো সুযোগ নেই। স্টেডিয়ামগুলো ছোট হলেও খুবই নজর কাড়া সৌন্দর্য।
তবে সব স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ এখনও শেষ হয়নি। আগামী বছরই সব প্রস্তুত হয়ে যাবে পুরাপুরি। এই মুহূর্তে ম্যাচ উপযোগী স্টেডিয়াম হলো আল বায়েত স্টেডিয়াম, খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম, আল ওয়াকরামের আল জানুব স্টেডিয়াম, লুসাইল স্টেডিয়াম। বাকিগুলোর ৮০-৯০ শতাংশ কাজ শেষ। এই খলিফা স্টেডিয়ামেই কাতারের সাথে বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচ বাংলাদেশের। পুরনো এই স্টেডিয়ামে আগে দর্শক ধারণক্ষমতা ছিল ২০ হাজার। বিশ্বকাপ উপলক্ষে তা ৪০ হাজারে উন্নীত করা হয়েছে। এই মাঠে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের ফিফাপ্রীতি ম্যাচ হয়েছে।
২০১০ সালে ২০২২ বিশ্বকাপের স্বাগতিক হয় মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃৃদ্ধ এই ধনী দেশটি। এরপরই শুরু হয় দেশটির বিশ্বকাপ প্রস্তুতি। দেশজুড়ে নানান কর্মযজ্ঞ। মেট্রোরেল, স্টেডিয়ামের পাশে আবাসন ব্যবস্থা, রাস্তার উন্নয়ন, স্টেডিয়াম বানানো এবং সংস্কার সবই চলছে জোরদমে। গত দশ বছরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। পাঁচতারকা হোটেলই হয়েছে ৭০-৮০টি। জানান স্থানীয় বাংলাদেশীরা। তবে সব স্টেডিয়াম বর্তমান রূপে থাকবে না বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর। কোথায়ও আসনসংখ্যা কমানো হবে। কোথাওবা অন্য সুযোগ সুবিধা হ্রাস হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement