২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিশ্বকাপের আগেই এত সম্মান!

-

আরো দুই বছর পর কাতার বিশ্বকাপ। মানে ২০২২ সালে। তবে গত পরশু ২৯ নভেম্বর কাতারের রাজধানী দোহায় পৌঁছানোর পর দায়িত্বশীলরা যেভাবে সম্মান করেছে, তা যেন বিশ্বকাপের আবহই তৈরি করে দিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে আমরা ১০-১২ ক্রীড়া সাংবাদিকের আসার উদ্দেশ্যই বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব কভার করা। গত বছর নভেম্বরে ওমানের সাথে কাতার বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের সর্বশেষ অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। ওমানি কর্তৃপক্ষের চেয়ে বেশ কড়াই দেখা গেল কাতারি কর্তৃপক্ষকে। তবে যখনই শুনেছে আমরা কাতার-বাংলাদেশ বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচ কভার করতে এসেছি, তখনই ‘ওহ ফিফা’ বলেই ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে। সাধারণত এই ধরনের সম্মানটা পাওয়া যায় বিশ্বকাপ ফুটবল চলাকালে। যা পেয়েছিলাম, ২০১৪ সালের ব্রাজিল এবং ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের সময়।
চলমান বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচগুলো কাতার বিশ্বকাপেরই একটি পরীক্ষামূলক পর্ব। তাই এখন থেকেই সব অভিজ্ঞতা অর্জন করছে তারা। অতিথিদের সম্মানের পর্বটাও শুরু হয়ে গেছে। কাতারে প্রবেশের সময় দোহা বিমানবন্দরে প্রবেশের সময়ই মোবাইল সিম কেনা বাধ্যতামূলক। এরপর করোনা টেস্টের জন্য নমুনা দেয়া। এই দুই ক্ষেত্রেই আমাদের একটু বেশিই কদর করা হলো। তাৎক্ষণিক সিম কিনতে বাধ্য করার একটি উদ্দেশ্য, করোনা টেস্টের রিপোর্ট জানানো। যে মোবাইলের সিম কিনবেন তাদের অ্যাপস ডাউনলোড করতে হবে। তা ছাড়া অতিথি ব্যক্তিকে নজরে রাখা। অন্যায় করে পার পাওয়ার সুযোগ নেই। মোবাইলের সূত্র ধরে অল্পক্ষণের মধ্যেই পুলিশ খুঁজে বের করবে। জানান স্থানীয় বাংলাদেশী ব্যবসায়ী জি এম হাজারী।
ইমিগ্রেশন পার হতে হলে হোটেল রিজার্ভেশনের কাগজপত্র দেখাতে হয়ে। আমাদের কাছে হোটেল রিজার্ভেশনের কোনো কাগজ ছিল না। শুধু বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন থেকে দেয়া চিঠিতে উল্লেখ আছে হোটেল ওয়ান্দহামের কথা। প্রথমে এই চিঠি মন গলাতে পারছিল না বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে। এরপর যখন বলা হলো, আমরা বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচ কভার করতে এসেছি তখন সে একই শব্দ ‘ওহ ফিফা’।
অবশ্য কাতার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের দায়িত্বশীল কোনো ব্যক্তি রিসিভ করতে না আসা পর্যন্ত বের হতে দেয়া হলো না আমাদের। ৩০-৩৫ মিনিট পর হাজির হলেন সেই ব্যক্তি। বিমানবন্দরে ছবি তোলা নিষেধ। এর পরও আমরা পেলাম ছবি তোলার অনুমতি। কাতার অ্যাসোসিয়েশনের দেয়া গাড়িতে চড়েই আমরা মিনিট বিশেক পর পৌঁছলাম পাঁচ তারকা হোটেল ওয়ান্দহামে। পারস্য উপসাগরের একেবারে পাশে টর্নেডো টাওয়ার ও দোহা টাওয়ারের সামান্য (দুই মিনিটের হাঁটা পথ) দূরে হোটেল ওয়ান্দাহম দোহা ওয়েস্ট বে। একেবারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে। সেখানেও সেই সম্মান। এই হোটেলে অনেক বাংলাদেশী চাকরি করে।


আরো সংবাদ



premium cement