২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ম্যারাডোনাকে মেসির গোল উপহার

-

ন্যু ক্যাম্পে ওসাসুনাকে ৪-০ গোলে হারিয়ে লিগ টেবিলের আটে উঠে এসেছে বার্সেলোনা। ফুটবল গ্রহের সর্বকালের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় দিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর এটিই ছিল বার্সেলোনা ও লিওনেল মেসির প্রথম ম্যাচ। ম্যাচ শুরুর আগে দু’দলের খেলোয়াড়দের মাঝে ম্যারাডোনার ১০ নম্বর জার্সিটি রাখা হয়, যেটি পরে ১৯৮২ সালে বার্সেলোনার হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন তিনি। বিউগলের সুরে ফুটবলের আর্জেন্টাইন বরপুত্রকে জানানো হয় বিদায় অভিবাদন। নীরবতা পালিত হয় এক মিনিট। গ্যালারিতে তুলে ধরা হয় ম্যারাডোনার ১০ নম্বর জার্সি, সেই জার্সি পরা ম্যারাডোনার মুখ ভেসে ওঠে বড় পর্দায়।
ক্লাব কিংবদন্তিকে শ্রদ্ধা জানানোর পর বার্সেলোনা ২৯ মিনিটে এগিয়ে যায় মার্টিন ব্রাথওয়েটের গোলে (১-০)। বিরতির মিনিট দুয়েক আগে আঁতোয়া গ্রিজম্যানের অসাধারণ এক ভলিতে ব্যবধান দ্বিগুণ। ৫৭ মিনিটে ৩-০ করেন ফিলিপে কুতিনহো। খেলায় তখন বড় জয় নিয়েই বেরিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি। তবু কী যেন ছিল না, কিসের যেন ছিল অভাব। মেসিই তো গোল করতে পারেননি! আর্জেন্টাইন ‘ফুটবল জাদুকর’কে কি গোল করে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে পারবেন না বার্সেলোনা ও আর্জেন্টিনার বর্তমান ‘নাম্বার টেন’? অবশেষে সেই গোলটি হলো। ৭৩ মিনিটে রচিত হলো ম্যাচের সুন্দরতম মুহূর্ত। বাঁ পায়ের তীব্র শটে মেসি বল জড়িয়ে দিলেন ওসাসুনার জালে (৪-০)।
এরপরও কিছু কাজ বাকি ছিল। ম্যারাডোনাকে তার নিজের মতো করে শ্রদ্ধা জানানো। শরীরে পরা বার্সেলোনার জার্সি খুলে বের করলেন নিউয়েলস ওল্ড বয়েজের ১০ নম্বর জার্সি, দুই নাম্বার টেনের স্মৃতি জড়িয়ে আছে যে জার্সিতে। তারপর আকাশে দু’হাত তুলে তিনি নিবেদন করলেন গোল, বুকে আঁকলেন ক্রসচিহ্ন। কিন্তু বেরসিক রেফারি ম্যাতিউ লাহোজ পকেট থেকে হলুদ কার্ডখানা ঠিকই বের করে তুলে ধরলেন মেসির সামনে। ফিফার আইনে কোথাও যে লেখা নেই ফুটবলের ঈশ্বর হলেও তাকে জার্সি খুলে শ্রদ্ধা জানানো যাবে! তবুও হয়তো এই হলুদকার্ড ইতিহাসের সবচেয়ে সুন্দর।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল