২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জোড়াতালির ট্র্যাকে জুনিয়র মিট

-

না! এটা কোনো পাপোশের টুকরা নয়। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অ্যাথলেটিকস ট্র্যাক। বিভিন্ন জায়গায় উঠে যাওয়া টার্ফের টুকরোগুলোকে তারকাঁটা দিয়ে জোড়া দেয়া হচ্ছে অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের উদ্যোগে। প্রতিযোগীদের রানিং স্যুর নিচে থাকা স্পাই হঠাৎ করে শক্ত তারকাঁটার সাথে লেগে ঘটতে পারে অঘটন। ফলে উৎকণ্ঠার পাশাপাশি থাকছে ভীতিও।
আগামীকাল ২৮ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু ৩৬তম জাতীয় জুনিয়র অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতায় জোড়াতালি দেয়া এই ট্র্যাকেই দৌড়াবেন অ্যাথলেটরা। থাকছে না ইলেকট্রনিক টাইমিংও। পুরনো হ্যান্ডটাইমেই ভরসা। নতুন রেকর্ডধারীদের জন্যও থাকছেন আলাদা কোনো পুরস্কার।
টার্ফ নিয়ে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রকিব মন্টু জানালেন, ‘ছয় বছর আগেই বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে স্থাপিত টার্ফের মেয়াদ শেষ হয়েছে। যত দিন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কিংবা ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এটি ঠিক না করবে তত দিন এভাবে জোড়াতালি দিয়েই প্রতিযোগিতা চালাতে হবে। ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিকসের নিয়ম অনুযায়ী বছরে কমপক্ষে দু’টি প্রতিযোগিতা করতে হবে।’ তিনি যোগ করেন, ‘করোনায় নিয়ম কিছুটা শিথিল করার পরও ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় হাতে ছিল। ওই সময় করোনার প্রকোপ আরো বেড়ে গেলে প্রতিযোগিতাই করা হবে না। তাই নভেম্বরেই জাতীয় জুনিয়র মিট করতে হচ্ছে।’
আর্মি স্টেডিয়ামে জুনিয়র মিট করার ইচ্ছা থাকলেও কড়াকড়ি নিয়াম এবং আনুষঙ্গিক খরচের কথা চিন্তা করে সেখান থেকে সরে এসেছে ফেডারশন। এ বিষয়ে মন্টু জানান, ‘সেনাবাহিনীর নিয়ম অনেক কড়া। সাংবাদিকসহ যারা যাবেন তাদের তালিকা আগেই জমা দিতে হবে। এর বাইরে একজন লোককেও ঢুকতে দেবে না। তা ছাড়া বিদ্যুৎ বিল আমাদের পরিশোধ করতে হবে। হিসেবে করে দেখেছি ২০ লাখ টাকা শুধু বিলই আসবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিকসের নিয়ম অনুযায়ী ভেনু থেকে হোটেল কাছাকাছি হতে হবে। আর্মি স্টেডিয়ামে সে সুবিধা নেই।’
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দুই দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় ৬৪ জেলা, আট বিভাগ, শিক্ষাবোর্ডসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫০০ বালক-বলিকা, কিশোর-কিশোরী এবং ১০০ জন কর্মকর্তা থাকবেন। চারটি গ্রুপে মোট ৪১টি ইভেন্টে প্রতিযোগিতা হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement

সকল