২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সাকিব ফেরার অপেক্ষায় সতীর্থরা

-

রাত পোহালেই অবসান হচ্ছে বেদনা বিদুর ৩৬৫ দিনের। নতুন ভোরে নিজেকে সাজাবেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয় সাকিব আল হাসান। এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আজ থেকে আবার আনুষ্ঠানিকভাবে সব ধরনের ক্রিকেট কার্যক্রম শুরুতে কোনো বাধা থাকল না। নভেম্বরে টি-২০ টুর্নামেন্ট দিয়ে মাঠে শুরু হবে সাকিবের পদচারণা। তার অপেক্ষায় মুখিয়ে আছে সতীর্থরা। এ দিকে মাহমুদুল্লাহ তো বলেই দিলেন আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি সাকিবের।
১২ মাসের নিষেধাজ্ঞার পরপরই টি-২০ দলের অধিনায়ক করা হয় মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে। তিনি জানালেন, সাকিবকে ড্রেসিরুমে খোলা বাহুতে স্বাগত জানাতে আগ্রহী বাংলাদেশ ক্রিকেট। ক্রিকইনফোকে তিনি বলেন, আমাদের ছেলে বাড়ি ফিরছে, যা আমাকে খুব খুশি করেছে। সাকিব এত বছর ধরে দলের সেরা খেলোয়াড়। আমরা সবাই অধীর আগ্রহে ড্রেসিংরুমে তার প্রত্যাশায় রয়েছি।
সাকিবের সাথে ১৩ বছর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে সময়টা ব্যয় করেছেন মাহমুুুদুল্লাহ। তিনি মনে করেন, সাকিব চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড়। ছন্দ ফিরে পেতে তার বেশি সময় লাগবে না। বিশ্বাস করি তিনি মাঠে প্রবেশের সাথে সাথেই এটি ফিরে পাবেন। তার অনুপস্থিতি যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা অচিরেই পূরণ হবে।
নিষেধাজ্ঞার পর প্রথম কয়েক মাস দেশেই ছিলেন সাকিব। পরে করোনাভাইরাসের দুর্যোগে যুক্তরাষ্ট্রে যান স্ত্রী-সন্তানের কাছে। তার দ্বিতীয় সন্তান পৃথিবীর আলোয় আসে গত এপ্রিলে। তাদের সাথে সাড়ে ৫ মাস কাটিয়ে তিনি দেশে ফেরেন গত ২ সেপ্টেম্বর। বিকেএসপিতে শুরু হয় মাঠে ফেরার প্রস্তুতি পর্ব। সেখানে তার ঘনিষ্ঠ দুই কোচ নাজমুল আবেদিন ফাহিম ও মো: সালাউদ্দিনের তত্ত্বাবধানে চলে অনুশীলন। বিকেএসপির অ্যাথলেটিকস কোচ, বক্সিং কোচরাও সহায়তা করেন তাকে। উদ্দেশ্য শ্রীলঙ্কা সফর। পরে সফরটি স্থগিত হওয়ায় গত ১ অক্টোবর তিনি আবার যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান। আগামী মাসে বিসিবির টি-২০ টুর্নামেন্ট দিয়ে সাকিব ক্রিকেটে ফিরবেন বলে নিশ্চিত করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান।
সাকিবের নিষেধাজ্ঞার এই সময়টায় এক পঞ্জিকাবর্ষে নিজেদের সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু করোনার কারণে গত মার্চের পর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। নভেম্বরে ভারতের বিপক্ষে তিনটি টি-২০, দুই টেস্ট সিরিজ, বঙ্গবন্ধু বিপিএল, পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনটি টি-২০, দুই টেস্ট, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গত ফেব্রুয়ারিতে এক টেস্ট, তিন ওয়ানডে ও দুই টি-২০ মিস করেছেন সাকিব। তা ছাড়া আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা, এশিয়া কাপ ও টি-২০ বিশ্বকাপ করোনার পেটে যাওয়ায় বাংলাদেশ মিস করেনি সাকিবকে। এই এক বছরে কেবল চারটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও সাতটি টি-২০ মিস করেছেন সাকিব।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও নির্বাচক হাবিবুল বাশার বলেন, সাকিবের ফেরাটা অবশ্যই বড় একটা প্রভাব ফেলবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য। সাকিব খেলা মানে আমরা একজন বোলার ও ব্যাটসম্যান বেশি নিয়ে খেলতে পারি। পুরো টিমে আত্মবিশ্বাসটা পরিবর্তন হয়ে যাবে। গত এক বছর অনেক মিস করেছে, যদিও বেশি খেলা মিস করতে হয়নি তাকে।

 


আরো সংবাদ



premium cement