১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ওপেনিংয়ে ভয়াবহ ব্যর্থতা

-

বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের ছয় ম্যাচে অনেক হাতাশার জায়গা রয়েছে। তন্মধ্যে শীর্ষে ওপেনিং জুটি। যারা চলতি টুর্নামেন্টে বরাবরই ব্যর্থতার প্রমাণ দিয়েছেন। যার যার দল সামলেছেন মিডল কিংবা লোয়ার অর্ডার। এই পর্যন্ত ছয়টি ম্যাচের ১২ ইনিংসে নয়জন ব্যাটসম্যান ওপেন করেছেন। ষষ্ঠ ম্যাচের প্রথম ইনিংসসহ মোট ১২ ইনিংসে উদ্বোধনী জুটিতে ২৭ রান সর্বোচ্চ। এতেই ওপেনিং জুটির ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠে।
একজন ব্যাটসম্যানের হয়তো ব্যর্থতা থাকতে পারে। তাই বলে তিন দলে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলা ৯ ওপেনার একসাথে ব্যর্থ হবেন। ইনিংসের শুরুতে নেমে সর্বোচ্চ স্কোর তামিমের ৩৩। ওয়ানডেতে তার উদ্বোধনী সঙ্গী লিটন দাসের সর্বোচ্চ ইনিংস ২৭ রানের। তার ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলা সৌম্য সরকার কিংবা পরীক্ষামূলক নাইম শেখ, সাইফ হাসান, তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, এনামুল হক বিজয় কেউই আশার আলো জ্বালাতে পারেননি। এমনকি অভিজ্ঞ ইমরুল কায়েসও ব্যর্থতার জ্বালানিতে পুড়েছেন। ছয় ম্যাচে দুই দল মিলিয়ে ২০ ওপেনারের ইনিংস দুই অঙ্কই ছুঁয়েছে মাত্র সাতবার!
করোনাভীতি পরবর্তী ক্রিকেট প্রত্যাবর্তনকালের বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ কিংবা এরও আগে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে ওপেনারদের পারফরম্যান্স নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ ছিল টিম ম্যানেজমেন্টের। দুই দিনের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে তামিমকে বিশ্রাম দেয়ার মূল কারণ অন্যদের একটু নজরে রাখা এবং দেখা। প্রেসিডেন্ট কাপের ছয় ম্যাচে সেই দেখার ফল শূন্য। নির্বাচকদের তথা খেলোয়াড়দেরও আত্মবিশ্বাস গিয়ে ঠেকেছে তলানীতে।
তামিম ইকবাল নিজে ওপেনার এবং ওয়ানডে দলের পথপ্রদর্শক। তাই প্রেসিডেন্টস কাপের ফাইনালে জায়গা পাওয়ার দুশ্চিন্তা ঠেলে বেশি ভাবছেন ওপেনারদের দুর্দশা দেখে, ‘অবস্থা খুবই হতাশাজনক। এটা গোপন করার কিছু নেই। কেউ রান করছে না। প্রথম চার-পাঁচ ওভারে চার উইকেট পড়ে যাচ্ছে। এমন না যে এক-দু’টি ম্যাচে। এমনটা ঘটছে সব ম্যাচেই। এমন অবস্থায় বড় ইনিংস গড়া কঠিন। পুরো দায় অবশ্যই টপ অর্ডারের, বিশেষ করে ওপেনারদের।’
প্রধান কিউরেটর গামিনি ডি সিলভা ফেরেননি। উইকেট খুব খারাপ। এমন একটা কথা উঠেছিল বলে চট্টগ্রাম থেকে উড়িয়ে আনা হয়েছে প্রভীনকে। তারপর দলীয় রান কিছুটা বাড়লেও ওপেনারদের দুর্দশা রয়েই গেছে। দেশসেরা ওপেনার এসব অজুহাত মানতে নারাজ, ‘উইকেট খুব যে ভালো তা বলব না। আবার এমনো না যে উইকেটের কারণেই আমরা রান পাচ্ছি না। তিন দলে আমরা আটজন ওপেন করেছি। হাতেগোনা এক-দু’টি বাদ দিলে সবাই বাজে আউট হয়েছে। আমি যেমন রুবেলের বলে এলবিডব্লিউ হওয়া ছাড়া বাকি তিনটি ম্যাচেই নিজে আউট হয়েছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘খেয়াল করে দেখবেন, এই মাঠেই আন্তর্জাতিক ম্যাচে আরো কঠিন উইকেটে খেলি। বল ওঠে-নামে, হঠাৎ করে লাফায়। কিন্তু এখানে তেমন কিছু হচ্ছে না। উইকেট হয়তো একটু সে­া। কিন্তু বিপজ্জনক না। এর পরও আমরা রান পাচ্ছি না।’

জুটির পারফরম্যান্স
জুটি বিচ্ছিন্ন
লিটন-নাঈম ১৭, ০, ৮ রান
সাইফ-সৌম্য ২৭, ১০ রান
তামিম-তানজিদ ৪, ১৪, ৯ রান
পারভেজ-সৌম্য ১৩, ৯ রান
ইমরুল-লিটন ১৬ রান
তামিম-বিজয় ১০ রান

ওপেনিংয়ে ব্যাটসম্যানদের স্কোর
তামিম- ৯, ৩৩, ২
লিটন দাস- ৫, ২৭, ০, ১১
সৌম্য- ৮, ৯, ২১
সাইফ হাসান-৭, ১৭
তানজিদ হাসান- ১, ৮, ২৭
নাঈম শেখ- ৩, ০, ৯
ইমরুল- ৪
পারভেজ হোসেন- ১৯
এনামুল হক বিজয়-৮


আরো সংবাদ



premium cement