২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জানুয়ারিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ

-

নতুন বছরের শুরুতে জাতীয় দলের ক্রিকেটার ছাড়াই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) শুরুর পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। জানুয়ারিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় এই ঘরোয়া আসর মাঠে গড়ালে জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা ব্যস্ত থাকবেন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে। কারণ জানুয়ারিতে বাংলাদেশ সফর করবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল। এ দিকে বিদেশী খেলোয়াড় ছাড়াই নভেম্বরে টি-২০ টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারে বিসিবি। ওই টুর্নামেন্টের জন্য কোনো বিদেশী ক্রিকেটার পায়নি বিসিবি।
বিসিবি গেম ডেভলপমেন্টের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন জানান, জানুয়ারিতে ডিপিএল করার ভালো একটি স্লট রয়েছে। এ বছর ডিপিএল সম্ভব নয়। নতুন বছরে জানুয়ারিতে শুরু করতে পারি। কারণ নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে টি-২০ লিগ শুরু করতে ও ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে তা শেষ করতে চাই। তাই এ বছরে কোনো স্লট নেই। জানুয়ারিতে ডিপিএল হওয়ার সম্ভবনা বেশি।’
ক্লাবগুলো যদি জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে চিন্তা করে তবে জাতীয় দলের ব্যস্ত সূচির কারণে পরের বছরও ডিপিএল আয়োজন কঠিন হবে। ‘জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার সময়ও আমাদের দেশে ঘরোয়া ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হতো। আমরা সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। তারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেললে, ঘরোয়া আসরে খেলতে পারবে না। এটি খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার’ জানান সুজন।
টি-২০ এর জন্য যদিও কিছু বিদেশী খেলোয়াড় পেয়েছে বিসিবি কিন্তু টুর্নামেন্টে অন্তর্ভুক্ত করার কথা ভাবেনি। খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘আমরা বড় মানের প্লেয়ার চেয়েছি। যারা আসতে চাইছেন তারা ওই মানের না। টুর্নামেন্ট জনপ্রিয় করতে আমরা চাই বড় তারকা খেলতে আসুক। আমাদের সেরা খেলোয়াড় সাকিব, তামিম ও মুশফিকের চেয়ে কম তারকার খেলোয়াড়কে নিতে পারব না।’
লিগ এবং আর্থিক বিষয় নিয়ে সুজনের বক্তব্য, ‘আমরা যদি সিঙ্গেল লিগ করি, আরো ১০টি ম্যাচ বাকি আছে, কত দিন লাগবে, এটিও ভাবনার বিষয়। সবকিছু অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর ক্লাবগুলোও সিসিডিএমের সাথে না বসে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। বিসিবি খেলোয়াড়দের আর্থিক বিষয় নিয়েও চিন্তা-ভাবনা করছে। কারণ বেশির ভাগ খেলোয়াড়ের পরিবার ডিপিএলের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল।’
এ দিকে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি আর্থিকভাবে ক্লাবগুলোতে প্রভাব ফেলেছে। তাই ডিপিএলে অংশ নিতে আগ্রহী নন তারা। ক্লাবগুলোকে প্রণোদনা দেয়ার কথা উঠেছিল। সুজন স্পষ্টতই জানালেন, ‘প্রণোদনা হিসেবে ক্লাবকে অর্থ দেবে না বিসিবি। তবে ক্লাবগুলোর জন্য ঋণের ব্যবস্থা করতে পারে। আমি মনে করি না, ক্লাবগুলো খেলোয়াড়দের অর্থ প্রদানে সক্ষম নয়। দেশে এখন সবাই কাজ করছে এবং পোশাক শিল্প চলছে। ক্লাবগুলোর পক্ষে এতটা কঠিন হবে না যে, এটি প্রিমিয়ার লিগ এবং তাদের ক্লাবগুলো পরিচালনা করতে সক্ষম হবে না।’

 


আরো সংবাদ



premium cement