২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বন্দী জীবন উপভোগের চেষ্টায় ক্রিকেটাররা

-

প্রযুক্তির উন্নতিতে বিদেশ সফরও এখন আর আগের মতো ক্লান্তিকর হয়ে ওঠে না বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জন্য। ভিডিও কলের মাধ্যমে দেশে থাকা স্ত্রী, সন্তান ও বন্ধু-বান্ধবের সান্নিধ্য পেয়ে থাকেন তারা। এখন দেশে থেকেও যেন হাঁপিয়ে উঠেছেন ক্রিকেটাররা। বিদেশে থাকার মতোই যোগাযোগের ভরসা ফোন কিংবা ভিডিও কল। হোটেলে জৈব নিরাপত্তাবলয়ে ঢুকে পড়ার পরই যেন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। তারপরও অস্থিরতা কাটাতে, স্বাভাবিক হয়ে মাঠে ফিরতে হোটেলের বন্দিজীবন উপভোগের চেষ্টা করছেন ক্রিকেটাররা।
গত ২০ সেপ্টেম্বর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ওঠার পর থেকেই ক্রিকেটারদের জীবন সীমিত হয়ে পড়েছে নির্দিষ্ট গণ্ডিতে। অনুশীলনের জন্য মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে যেতে হচ্ছে। তবে এর বাইরের সময়টা বন্দী থাকতে হচ্ছে হোটেলেই। তাও আবার নির্দিষ্ট ফ্লোরেই। নিয়ন্ত্রিত তাদের গতিবিধিও। নিজের ও সতীর্থদের সুস্থতার জন্য এটিই সেরা উপায় মনে করলেও কেউ কেউ ইতোমধ্যে হাঁপিয়ে উঠেছেন। তরুণ ক্রিকেটার নাজমুল হোসেনের শান্ত তো বলেই দিলেন, ‘এত সিকিউরিটির মধ্যে থাকতে ভালো লাগে না।’
শান্তর কাছে যেমন দুঃসহ লাগছে, ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের অনুভূতিও একই রকম, ‘যারা এই পরিস্থিতিতে অর্থাৎ জৈব সুরক্ষায় না থাকবে তারা বুঝবে বুঝবে না এটা কত কঠিন, উপলব্ধিও করতে পারবে না। তবে নিজ পেশার স্বার্থে তা মেনে না নিয়েও উপায় নেই।’
হোটেলবন্দী হয়ে থাকার সময়টি তাই নিজেদের মতো করে উপভোগের চেষ্টাও করছেন তামিমরা, ‘এই তো ক্যারম খেলছি, টেবিল টেনিস খেলছি। সময় কেটে যাচ্ছে আর কি!’ সে সাথে চলছে আরো লম্বা সময়ের জন্য মাঠের বাইরের কঠিন জীবনে মানিয়ে নেয়ার মানসিক প্রস্তুতিও। যে জীবনে কোনো ধরনের সামাজিক সংস্পর্শের অনুমতি দেয় না।’


আরো সংবাদ



premium cement