১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আন্দোলনে যাচ্ছেন ফুটবলাররা

২৫ শতাংশ পারিশ্রমিকে ক্ষুব্ধ
-

নির্বাচনী কৌশল হোক বা ক্লাব প্রীতি। বাফুফের পেশাদার লিগ কমিটি সব সময়ই প্রাধান্য দেয় ক্লাবদের। তাদের এই অবস্থানের কারণে বরাবরই বঞ্চিত হন ফুটবলাররা। এই অভিযোগ খেলোয়াড় এবং ফুটবল সংশ্লিষ্টদের। এর সর্বশেষ প্রমাণ গত পেশাদার লিগ কমিটির সভা। যেখানে ফুটবলাররা দাবি করেছিলেন তাদের সাথে আগামী মওসুমের চুক্তি করতে হবে গত সিজনের চুক্তির ৫০-৬০ শতাংশ হারে। অথচ ক্লাবগুলোর ২৫ শতাংশ টাকার দাবি মেনে নেয় পেশাদার লিগ কমিটি। অবশ্য ক্লাবরা প্রথমে বলেছিল তারা গত চুক্তির ওপর ২০ শতাংশ পারিশ্রমিকে নতুন চুক্তি করবে। পেশাদার লিগ কমিটি তা ২৫ শতাংশে উন্নীত করে বাহাবা নিতে চাচ্ছে। তবে এই ২৫ শতাংশে সন্তুষ্টতো নয়ই ফুটবলাররা। উল্টো প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত। তাই তারা নতুন চুক্তিতে ৫০ শতাংশ পারিশ্রমিকের দাবিতে আন্দোলনে যাচ্ছে। ৩ অক্টোবর বাফুফের নির্বাচন। এই নির্বাচনের পর ৫ অক্টোবর বাফুফে ভবনে জড়ো হবেন পেশাদার লিগের ফুটবলাররা। দেশের শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলারদের সূত্রে জানা গেছে তা।
ফুটবলাররা গত সিজনে লিগের ৫-৬টি এবং ফেডারেশনের কাপের ২ থেকে পাঁচটি ম্যাচে অংশ নেয়। এই সময়ে কোনো কোনো ফুটবলারের ক্যাম্পে কেটেছে ৫-৬ মাস। সাথে ছিল জাতীয় দলের ক্যাম্প। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিনিয়র ফুটবলার বললেন, ক্লাবের সাথে সুর মিলিয়ে পেশাদার লিগ কমিটিও বলছে আমরা মাত্র ৫-৬টি ম্যাচ খেলেছি। এটা তো লিগের হিসাব। ফেডারেশন কাপেওতো আমরা কেউ খেলেছি দুই ম্যাচ। কেউ ফাইনাল পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচ। সে কথাতো উল্লেখ করছে না কোনো ক্লাব অফিসিয়াল। এমনকি পেশাদার লিগ কমিটির সদস্যরাও। এখন যে আমরা ছয় মাস ঘরে বসা সেটাও কি তাদের বিবেচনায় আসবে না।
আরেক ফুটবলারের বক্তব্য, আমরা দাবি করেছিলাম ৬০ শতাংশ পারিশ্রমিক। তা না হলে ৫০ শতাংশ পারিশ্রমিক। কিন্তু আমাদের সে দাবির ধারে কাছেও নেই ক্লাবগুলো। লিগ কমিটিও তাদের পক্ষে। তারা ২৫ শতাংশ পারিশ্রমিক দিয়ে আমাদের নতুন সিজনের জন্য চুক্তি করতে চায়। তার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া, আমরা এই ২৫ শতাংশ মানি না। ৫০ শতাংশ টাকাই দিতে হবে গত বছরের চুক্তির ওপর। এই দাবিতেই আমরা ৫ অক্টোবর বাফুফে ভবনে আসবো দাবি আদায়ে। দেখবেন সেদিন কত ফুটবলার জমায়েত হয় বাফুফে ভবনে।
তারা এখন কেন আন্দোলনে যাচ্ছে না। ফুটবলারদের জবাব, এখন সবাই বাফুফের নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। তা ছাড়া ৩ তারিখে নির্বাচন। বর্তমান কমিটি কিছুই করবে না এই সময়ে। তাই নির্বাচনের পর নতুন যে কমিটি আসবে তাদের সামনেই ৫ অক্টোবর হবে আমাদের স্বার্থ রক্ষার আন্দোলন।

 


আরো সংবাদ



premium cement