২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভোটাররাই চ্যালেঞ্জের জায়গা করে দেবে : মানিক

-

‘বর্তমানে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) সভাপতির জায়গাটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই চ্যালেঞ্জটা হলো কাজ করার। বিগত ১২ বছরে কী হয়েছে তা আলোচনায় এনে লাভ নেই। এটি সবারই জানা। আমি এই চ্যালেঞ্জটা নিতে চাই। কাজের সততায় সুদূর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে অতীতের সব ব্যর্থতা মুছে দিতে চাই। ভোটাররাই আমাকে এই চ্যালেঞ্জের জায়গাটা তৈরি করে দেবে।’ নয়া দিগন্তকে এমনটাই জানালেন বাফুফে নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মানিক।
আগামী মাসের ৩ তারিখে বাফুফে নির্বাচন। ইতোমধ্যে প্রার্থীদের মনোনয়ন যাচাই-বাছাই হয়ে গেছে। বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন পূর্ণ প্যানেল দিলেও প্রতিপক্ষ ১৯ জনের প্যানেল দিয়েছে। তা-ও সভাপতি পদ ছাড়া। মানিক প্রতিপক্ষের প্যানেলে যাবেন কি না জানতে চাইলে বলেন, ‘এখনো ১৫ দিনের মতো বাকি। আমাকে কেউ যদি অফার করে তাহলে ভেবে দেখব। যেহেতু আরেক সভাপতি প্রার্থী বাদল রায় থাকছেন না তাহলে আমি তো অটোমেটিক প্রতিপক্ষ। প্যানেলে যাবো না স্বতন্ত্র থাকব এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি।’
দীর্ঘ ১৭ বছর সুনামের সাথে খেলোয়াড়ি জীবন পার করে মানিক এসেছেন কোচিং পেশায়। সবই করেছেন পেশাগত কারণে। সব মিলিয়ে ৪০ বছর ফুটবলের সাথে যুক্ত। এবার বাফুফেতে উন্নয়নে কাজ করার ইচ্ছা। সবাই পরিবর্তন চাইছেন। আর পরিবর্তনে একাত্মতা ঘোষণা করেই নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মানিক। ‘আসলে জগৎটা তো আমাদেরই। সালাউদ্দিনের এক যুগ সবাই দেখেছি। সাফল্য-ব্যর্থতা সবারই জানা। কাউন্সিলররাও পরিবর্তন চান। দেশের ফুটবলের জন্য কিছু করতে চাই। পরিবর্তনের লক্ষ্যেই নির্বাচনে আসা।’
এখানে কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ আছে কি না। মানিকের সহজ-সরল উত্তর, ‘একসময় ফুটবলার ছিলাম। কোচিং পেশায় আছি। এগুলো অর্থ উপার্জনের জন্য করেছি। এখন বয়েস হয়েছে। পরিণত হয়েছি। ফুটবলের জাতীয় উন্নয়নের জন্যই সিদ্ধান্ত নেয়া। কাজ করার সুযোগ তৈরি করে নিতে হয়। আশা করছি এটিও সম্ভব হবে।’
পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মানিক বলেন, ‘তিন বছরের মধ্যে খেলোয়াড় ইউরোপে পাঠাব কিংবা ২০২২ সালের মধ্যে বিশ্বকাপ খেলে ফেলব এমন স্বপ্ন দেখাতে চাই না। মাঠে ছিলাম। তাই জানি আমরা কোন পর্যন্ত যেতে পারব। বাফুফের ২১ জনের মধ্যেই কোনো ঐক্য নেই। আমি বলি না রাতারাতি পরিবর্তন করে ফেলব। চেষ্টা করব সবাইকে নিয়ে ঢেলে সাজানোর। ফুটবল যেমন একজনের খেলা নয়Ñ বাফুফেও একজনের সম্পত্তি নয়। দলগতভাবেই উন্নতির সোপান রচনা করতে হবে।’
যে যত পরিবর্তনের কথাই বলুক না কেন গত তিন নির্বাচনে দেখা গেছে ফাইনালে ফলাফল এক দিকেই যায়। এবারো কি তেমনটি হবে? মানিক জানান, ‘কাউন্সিলরদের ব্যক্তিগত কোনো বিষয়ে কথা বলতে চাই না। শুধু এতটুকুই জানি, তারা পরিবর্তন চেয়েছেন। আমিও সে ডাকে নিজেকে শামিল করেছি। আমাকে সবাই চেনেন এবং জানেন। তারা অবশ্যই তাদের বিবেক বিসর্জন দেবেন না। সে বিবেচনায়ই আমি শেষ পর্যন্ত লড়ে যেতে চাই।’
আরো একটা কথা মনে রাখতে হবে। এটা খেলার মাঠের মতোই। ফলাফল তো এক দিকে যাবেই। খেলা শেষে আমরা আবার এক। রেষারেষিমুক্ত থাকতে চাই। কেউ হারবে কেউ জিতবে এটাই স্বাভাবিক। শিগগিরই ইশতেহার দেবো ইনশা আল্লাহ। যোগ করেন তিনি।
অভিজ্ঞ সালাউদ্দিনের বিপক্ষে জয়ের ব্যাপারে কতটুকু আশাবাদী? জানতে চাইলে মানিক বলেন, ‘দেখুন সালাউদ্দিন যখন সভাপতি হয়ে আসে তখন কিন্তু তার অভিজ্ঞতা ছিল না। ধীরে ধীরে বুঝতে শিখেছেন এবং ১২ বছর কাটিয়ে দিলেন। কমিটিতে তো আমি একা থাকব না। আরো ডাকসাইটে লোকজন থাকবেন। সবাই মিলে ভালো কিছুই করার ইচ্ছে। কাউন্সিলরদের সাথে কথা বলেছি। সে হিসেবে আল্লাহ চাইলে অবশ্যই পরিবর্তনের সাক্ষী থাকব। ভোটারদের ওপর আস্থা থেকেই বলছি, পরিবর্তন হবে ইনশা আল্লাহ।’


আরো সংবাদ



premium cement
থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সাথেপ্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্যাস বিতরণে সিস্টেম লস ২২ শতাংশ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশে নেমে এসেছে : নসরুল হামিদ গণকবরে প্রিয়জনদের খোঁজ কক্সবাজারে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, স্বজনদের হাসপাতাল ঘেরাও বঙ্গোপসাগরে ১২ নাবিকসহ কার্গো জাহাজডুবি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশকে ‘নেট সিকিউরিটি প্রোভাইডার’ হিসেবে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র রাজশাহীতে তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি রাজশাহীতে টানা তাপদাহ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা শরীয়তপুরে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ জামায়াতের এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী নয় : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী নজিরবিহীন দুর্নীতির মহারাজার আত্মকথা

সকল