২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঘরোয়া ক্রিকেটে খুশির আভা

-

গত ১৬ মার্চ থেকে দেশে ক্রিকেট বন্ধ। ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে তবে শুধুই জাতীয় ক্রিকেটারদের। জাতীয় দলকেন্দ্রিক ভাবনায় ঘরোয়া ক্রিকেট এবং দেশের বেশির ভাগ ক্রিকেটার ছিলেন প্রশাসনের ভাবনার বাইরে। তবে বাংলাদেশ দলের শ্রীলঙ্কা সফর নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়াতেই আবার আলোচনায় ঘরোয়া ক্রিকেট। খোদ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি ঘরোয়া আসর শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন। তাতেই খুশি ক্রিকেটাররা। নতুন করে সংসারের চাপ সামাল দিতে বুনছেন স্বপ্নের জাল।
দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া মানুষ কী করতে পারে, তা স্থানীয় কয়েকজন কোচকে দেখেই বুঝেছেন আফতাব আহমেদ। বর্তমানে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) দল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের কোচ বাংলাদেশ দলের সাবেক এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘লকডাউনের সময় তামিম কিছু টাকা পাঠিয়েছিল কোচদের জন্য। একেকজনের জন্য পাঁচ-ছয় হাজার টাকা বরাদ্দ ছিল। তখন অসহায় মানুষের লজ্জার আবরণটাও সরে যেতে দেখেছি। ওই টাকা নেয়ার জন্য সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল।’ আফতাব জানালেন, ‘শুধু নিজের কথা ভাবলেই হবে না। আমি চাই খেলাটা মাঠে নামুক। এর সঙ্গে জড়িত সবার জীবনে আবার সচ্ছলতা আসুক।’
ক্রিকেটার শামসুর রহমানও সতীর্থ অনেকের বেদনাময় জীবন দেখে ব্যথিত, ‘সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে অনেক ক্রিকেটার। অনেকের সেই সঞ্চয়ও নেই। বাধ্য হয়ে তারা ধারদেনা করে চলছে এই আশায় যে খেলা শুরু হলেই শোধ করে দেবে। আমি জেনেই বলছি, আরো দুই-তিন মাস খেলা না হলে ওদের জীবন চালানোই দায় হয়ে যাবে।’ আরো জানান, ‘আমার মনে হয় হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া বাকী সবাই দরিদ্রসীমার নীচে চলে যাবে। সম্মান বাঁচাতে ছোটখাটো কাজও করতে পারবেন না। ধুঁকে ধুঁকে মরা ছাড়া উপায় থাকবে না। বলেন, আমি চাই না জাতীয় দলের সফর বাতিল হোক। তবে এটিও চাই, দেশে আরো যারা ক্রিকেটার আছে, তারাও বাঁচুক। সে জন্য ঘরোয়া ক্রিকেট শুরুর পরিকল্পনার খবর শুনে আমি খুশি।’
আম্পায়ার মাসুদুর রহমানও তুলে ধরলেন তার অনেক অভাবগ্রস্ত সহকর্মীর জীবনের নাভিশ্বাস, ‘ক্রিকেটাররা তবু এককালীন কিছু টাকা পায়। আম্পায়াররা সেটিও পায় না। এমন নয় যে তারা এর বাইরে তেমন কিছু করে। ম্যাচ হলেই টাকা পায়। তা না হওয়ায় অনেককে যেভাবে সংগ্রাম করে বেঁচে থাকতে দেখছি।’ জানান, ‘শ্রীলঙ্কা সফর হলেও যেন বোর্ড ভুলে না যায় আমাদের কথা।’

 

 


আরো সংবাদ



premium cement