১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সিনিয়ররা থাকলে কাজটা সহজ হয় : মুমিনুল

-

করোনা মহামারী থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারছেন। এতেই বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক মমিনুল হক অত্যধিক স্বস্তিতে। সাকিব তামিম মুশফিককে নিয়ে এগিয়ে যেতে চান তিনি। করোনাকে প্রাকৃতিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে আখ্যাও দিলেন।
আসন্ন শ্রীলঙ্কা সফর নিয়ে মুমিনুল বললেন, ‘আমি বলব এটি আমাদের জন্য বড় একটা সুযোগ। এতদিন সবার মধ্যে খেলার জন্য ইচ্ছা, চাহিদা বা উন্মুখতা ছিল। তা এই সফর দিয়ে কিছুটা হলেও মিটে যাবে। প্রায় ৮ মাস পর টেস্ট খেলতে মাঠে নামব। অধিনায়ক হিসেবে চ্যালেঞ্জ তো একটু থাকছেই। সারা বিশ্বই এই চ্যালেঞ্জটা মোকাবেলা করছে ও করবে। এটি প্রাকৃতিক চ্যালেঞ্জ। জানান, এই কঠিন বিষয়গুলো মানিয়ে নিতে হয়। তবে আমরা প্রস্তুতি নেয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাবো। বিশ্বের সব বড় বড় দল করোনার পর চ্যালেঞ্জের মুখেই থাকবে। অবশ্য পর্যায়ক্রমে সময়ের সঙ্গে সবাই মানিয়ে নিতে পারবে। অনেক সারপ্রাইজ সামনে আসতে পারে। সেটির জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখতে হবে।’
শ্রীলঙ্কা সফরে দলের কাছে চাওয়া নিয়ে বলেন, ‘আমার একটাই চাওয়া তারা যেন দলের জন্য খেলে। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং তিন বিভাগেই তারা যেন নিজের সেরাটা দিতে পারে। আমি এমন বোলার চাই যে দলের প্রয়োজন অনুযায়ী বল করার চেষ্টা করবে। এমনকি সে ফিল্ডিংয়ের সঙ্গে ব্যাটিংয়েও সাপোর্ট দেয়ার চেষ্টা করবে। তিন বিভাগেই কন্ট্রিবিউট করতে পারে। ব্যাটিংয়েও তাই। সাকিবকে নিয়ে বলে শেষ করা যাবে না। তিনি একের ভেতর দুই ক্রিকেটার। তিনি না থাকলে দুইজন বাড়তি প্লেয়ার খেলাতে হয়।’
অধিনায়ক হিসেবে ভারতের বিপক্ষে শুরুটা ভালো ছিল না মমিনুলের। বিষয়টিকে অনুপ্রেরণা হিসেবেই দেখছেন। তা ছাড়া সিনিয়র ক্রিকেটাররাও প্রেরণা মানছেন তিনি। ‘ভারতের কন্ডিশনে লড়াই যেকোনো দলের জন্য কঠিন। সেখান থেকে অনেক কিছু শিখেছি। আমি সে সময়টাকে অনুপ্রেরণা হিসেবেই দেখেছি। সাকিব, তামিম, মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহর মতো সিনিয়র ক্রিকেটার আছে দলে। এমন চার বা পাঁচজন আছেন যারা ১০ বছরের বেশি সময় ধরে ক্রিকেট খেলছেন। তারা যখন থাকেন তখন আমি জুনিয়র অধিনায়ক হিসেবে দল চালানো সহজ হয়ে যায়। তাদের কাছ থেকে যদি ভালো কিছু শিখতে পারি, তা আমার জন্য আরো ভালো হবে।’
কোচ নিয়ে আলাদা একটা আগ্রহ আছে মমিনুলের, ‘আমি সব সময় বিশ্বাস করি কোচ যদি বাবা-কিংবা ভাইও হয় আপনি পারফরম্যান্স না করলে টিকতে পারবেন না। আবার যদি কোচ আপনাকে দেখতে না পারেন তাহলে আরেক সমস্যা। ভালো কোচ মানে ন্যায়পরায়ণতা থাকতে হবে। দল হবে তার জন্য একটি পরিবার। আপনি যেমন পরিবারের সমস্যা সমাধান করেন সেইভাবে কোচ দলের সমস্যাও সমাধান করবেন। ভালো কোচ কখনো পক্ষপাত করবেন না।’


আরো সংবাদ



premium cement