২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

কাল দুই দফা করোনা টেস্ট ফুটবলারদের

-

করোনা এতটা বিপদে ফেলবে জাতীয় ফুটবল দলকে তা কল্পনাতেই ছিল না বাফুফের। গত পরশু পর্যন্ত করা ২৪ ফুটবলারের মধ্যে ১৮ জনেরই করোনা পজিটিভ। মানে ৭৫ শতাংশের। অথচ এদের অধিকাংশেরই প্রাথমিক রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। একেকবার একেক রিপোর্ট পুরো প্রক্রিয়ার নির্ভরযোগ্যতাকেই প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। কারো আগের দিন পজিটিভ তো পরের দিন নেগেটিভ। এই ফুটবলারদের মধ্যে টুটুল হোসেন বাদশা, রহমত মিয়া, রিয়াদুল হাসান রাফি, মনজুরুর রহমান মানিক এবং রবিউল হাসান তো নিজ উদ্যোগে টেস্ট করাতে পারেননি হাসপাতালে সিরিয়াল না পাওয়ায়। পরে ঢাকায় বাফুফের উদ্যোগে করানো টেস্টে এদের মধ্যে করোনা ধরা পড়ে বাদশা, রবিউল এবং মানিকের। মোট কথা এরই সূত্র ধরে এই মুহূর্তে দেড় ডজন ফুটবলার মরণব্যাধিতে আক্রান্ত। ফলে বাফুফে এখন ফের করানো টেস্ট করাবে জাতীয় দলের ৩৪ ফুটবলারসহ সব কোচিং স্টাফ এবং বয়দের। আগামীকাল (সোমবার) ঢাকার দুই নামীদামি হাসপাতালে ভিন্ন ভিন্নভাবে করোনা টেস্ট করানো হবে তাদের। গতকাল অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান বাফুফের সহসভাপতি এবং ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ। ৩৬ ফুটবলারের মধ্যে জামাল ভূঁইয়া এবং তারিক কাজী যথাক্রমে ডেনমার্ক এবং ফিনল্যান্ডে অবস্থান করছেন।
করোনা আক্রান্ত জাতীয় দলের সব ফুটবলার অন্য সুস্থদের সাথে অবস্থান করছেন গাজীপুরের সারাহ রিসোর্টে। আগামীকাল দুই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সারাহ রিসোর্টে গিয়েই ফুটবলারদের নমুনা সংগ্রহ করবেন। ঝুঁকি এড়ানোর জন্যই আক্রান্ত ফুটবলারদের আর এই আইসোলেশন ক্যাম্পের বাইরে আনা হচ্ছে না। জানান ম্যানেজার সত্যজিৎ দাশ রুপু। গতকাল সকালে বাফুফে ভবনে অবস্থান করা করোনা আক্রান্ত ফুটবলাররা চলে গেছেন সারাহ রিসোর্টে। সেখানেই তাদের সুস্থ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন রিসোর্ট কর্তৃপক্ষের ডাক্তার এবং জাতীয় দলের ফিজিও।
কাজী নাবিল জানান, আগামীকাল দুই দফা করোনা টেস্টে যাদের রিপোর্ট নেগেটিভ আসবে ধরেই নেয়া হবে তারা কারোনামুক্ত। তিনি অবশ্য গত ক’দিনের এই করোনা রিপোর্টের বিভ্রান্তিকর তথ্যকে নিজেদের ব্যর্থতা বলছেন না।
বাংলাদেশ দলের এত ফুটবলার করোনা আক্রান্ত। ফলে ৮ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে বাংলাদেশের হোমের খেলা না হওয়ার আশঙ্কা আছে। অতিথি দলগুলো আসার ব্যাপারে বেঁকে বসতে পারে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কি খেলা পেছানোর আবেদন করবে? সে ইঙ্গিত অবশ্য দিলেন না কাজী নাবিল। তারা আরো কিছু দিন সময় নেবেন। এএফসি-ফিফাও বলেনি কিছু। এ দিকে আক্রান্ত ফুটবলারদের ১৪ দিনের আইসোলেশন ক্যাম্প শেষ হলেও তাতে জাতীয় দলের ছয় সপ্তাহ ক্যাম্পের কোনো বিঘœ হবে না। কাজী নাবিলের মতে, আমরা সেই মোতাবেকই আগে ভাগে ফুটবলারদের ক্যাম্পে ডেকেছি। যাতে আইসোলেশন ক্যাম্প শেষে কোচের চাহিদা মতো ৬ সপ্তাহের ট্রেনিং করানো যায় ফুটবলারদের।
তার দেয়া তথ্য, জামাল ভূঁইয়া ৩১ আগস্টের পর বাংলাদেশ আসবেন এই মুহূর্তে ডেনমার্কে ভ্রমণ নিষিদ্ধ থাকায়। তারিক কাজী আসবেন ১৯ আগস্ট। আর কোচ জেমি ডে-সহ অন্যরা আসবেন ১৮ আগস্ট।

 


আরো সংবাদ



premium cement