২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভুল রিপোর্টে বেকায়দায় জাতীয় দল

-

এক ঘণ্টা আগে বলা হলো করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ। এর পরেই ফের ভেসে এলো তথ্য, না না ওই ফুটবলারের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ নয়। পজিটিভ। ফলে বাফুফে ভবন থেকে গাজীপুরের সারাহ রিসোর্টের উদ্দেশে রওয়ানা হয়ে কিছু দূর গিয়ে বাস থেকে নেমে পড়তে হয় মিডফিল্ডার রবিউল হাসানকে। বাস যখন আরো এক ঘণ্টা সময় পার করে পৌঁছে যায় সারাহ রিসোর্টের কাছাকাছি তখন আবার ফোন। এবার দুঃসংবাদ গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর জন্য। প্রথমে তার রিপোর্ট নেগেটিভ বলা হলেও পরে জানানো হয় জিকোও করোনায় আক্রান্ত। এই সংবাদ যখন বাফুফের কাছে আসে তখন বাস থেকে নেমে অন্য পরিবহনে আর ফেডারেশন ভাবনে আসা সম্ভব ছিল না। ফলে বাসে থাকা অন্য ফুটবলারদের সাথে সারাহ রিসোর্টে পৌঁছে ফিরতি বাসেরই বসুন্ধরা কিংসের এই গোলরক্ষককে আসতে হয় বাফুফে ভবনে। এ দিকে বিশ্বনাথ ঘোষের দ্বিতীয় দফা করোনা টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তার প্রথম রিপোর্ট ছিল পজিটিভ। এই প্রথম দফা ভুল রিপোর্টের ফলে বেশ বেকায়াদায় পড়ে গেছে জাতীয় ফুটবল দল। শেষ পর্যন্ত ক্যাম্পই শুরু করা যায় কি না এ নিয়ে সন্দেহ আছে। বাফুফে সূত্রে আশঙ্কা করেছিল, সারাহ রিসোর্টে অবস্থান করা আরো কয়েক ফুটবলারের করোনা পজিটিভ হতে পারে। শেষ পর্যন্ত তাই হয়েছে। অথচ এদের দুই দফা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল।
৩৬ জনের মধ্যে ২৪ জনের করোনা টেস্টে পজিটিভ ১৮ জনের। মানে ৭৫ শতাংশের। আজ যে আরো সাত ফুটবলারের করোনা টেস্ট হবে সেখানে কারো পজিটিভ হয় কি না সেটারই অপেক্ষা। তাহলে কাদের নিয়ে পুরোদমে ক্যাম্প শুরু করবেন জেমি ডে। জেমি ডে অবশ্য কাল ইংল্যান্ড থেকে জানান, যেহেতু সময় পর্যাপ্ত আছে তাই এখনই এ নিয়ে চিন্তার কিছুই নেই। তবে পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে গেলে তখন বাফুফের সাথে বসে ঠিক করা হবে।
এই ফুটবলাদের সবাই নিজ উদ্যোগে করোনা টেস্ট করিয়ে তাতে ফল নেগেটিভ আসায় বাফুফের ক্যাম্পে যোগ দিতে ঢাকায় আসে। অথচ তাদেরই ২৪ জনের ১৮ জন করোনা পজিটিভ হন দ্বিতীয় দফা টেস্টে। এ দিকে ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষ নিজ উদ্যোগে অ্যাপোলো হাসপাতালে যে করোনা টেস্ট করান তার রেজাল্ট আসে পজিটিভ। একদিন পরে তিনি ফের টেস্ট করান আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে। এতে রিপোর্ট আসে নেগেটিভ। আবার পজিটিভ না হওয়ার পর বাসে উঠে পরে জিকো এবং রবিউল পরে শুনেন তাদের করোনা পজিটিভ। অন্য সবার মতো বাফুফের উদ্যোগে তাদের টেস্ট হয় বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই বিভ্রান্তিকর রিপোর্টে বেশ বেকায়দায় পড়েছে জাতীয় দল। এই দুই ফুটবলারের সাথেই এসি বাসে করে সারাহ রিসোর্টে যান সাদ উদ্দিন, রিয়াদুল হাসান রাফি, আরিফুর রহমান, রহমত মিয়া এবং রাকিব হোসেন। এতে এই ফুটলারদেরও করোনা আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে। তারা আক্রান্ত হলে রিসোর্টে থাকা অন্য ফুটবলারদের মধ্যে তা ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি আছে। এজন্য অবশ্য এই পাঁচ ফুটবলারকে সম্পূর্ণ আলাদা রাখা হয়েছে। জানান সহকারী কোচ মাসুদ পারভেজ কায়সার।


আরো সংবাদ



premium cement
শ্রমজীবি মানুষের মাঝে ক্যাপ, পানি ও স্যালাইন বিতরণ করেছে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর পশ্চিম নোয়াখালীতে হিট স্ট্রোকে শিক্ষার্থীর মৃত্যু বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ায় স্ত্রীর ২৭ স্থানে স্বামীর ধারালো অস্ত্রের আঘাত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ১২ উপজেলায় মানববন্ধন রোববারই খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবার ক্লাসসহ ৪ নির্দেশনা ময়মনসিংহ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের ঈদ পুনর্মিলনী বাস্তবায়নের আহ্বান ৩ গণকবরে ৩৯২ লাশ, ২০ ফিলিস্তিনিকে জীবন্ত কবর দিয়েছে ইসরাইল! মৌলভীবাজারে বিএনপি ও যুবদল নেতাসহ ১৪ জন কারাগারে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট কারীদের চিহ্নিতকরণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি ১২ দলীয় জোটের কলিং ভিসায় প্রতারণার শিকার হয়ে দেশে ফেরার সময় মারা গেল মালয়েশিয়া প্রবাসী নারায়ণগঞ্জ যুবদলের সদস্য সচিবকে আটকের অভিযোগ

সকল