করোনায় উদ্বিগ্ন জেমি ডে
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ০৭ আগস্ট ২০২০, ০১:৫৫
ক্যাম্প শুরু হওয়ার হোঁচট খেল বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। প্রথম দফা রিপোর্ট করতে যাওয়া ১২ ফুটবলারে মধ্যে চারজনেরই করোনা পজিটিভ। গতকাল আরো ১২ ফুটবলারের করোনা টেস্ট হয়েছে বাফুফের উদ্যোগে। আজ হবে অন্য ফুটবলাদের। তবে চার ফুটবলার করোনা পজিটিভ হওয়ায় উদ্বিগ্ন জেমি ডেও। ইংল্যান্ড থেকে বাংলাদেশ কোচ জানান, এটা প্রমাণ করছে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি এখনো খুব খাবার। এটা সবাইকে আরো নিরাপদে থাকার বার্তা দিয়ে দিয়েছে। তিনি আরো যোগ করেন, করোনা নিয়ে আমিও উদ্বিগ্ন। এর পরও আশাবাদী। ফুটবলার এবং স্টাফদের নিরাপত্তার জন্য যথাযথ পদক্ষেই নিতে হবে আমাদের। আর যতক্ষণ নিরাপত্তা গাইডলাইন থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত সব কিছুই ইতিবাচক।
চারজনের সাথে আরো ফুটবলার যদি করোনায় আক্রান্ত ফুটবলার পাওয়া যায় তাহলে কি তাদের বিকল্প নেয়া হবে? বাফুফের সহসভাপতি এবং ন্যাশনাল টিমস কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান তাবিথ আউয়াল অবশ্য সেই সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দেননি। তার মতে, ‘আগে সবার মেডিক্যাল রিপোর্ট পেয়ে নেই। চিন্তাতো অনেক কিছুই আছে।’ তবে কোচ জেমি ডে নতুন করে ফুটবলারদের ক্যাম্পে ডাকার পক্ষে নন। তার মতে, ‘নতুন করে কেন আবার ফুটবলার ডাকব। ঝুঁকি এড়ানোর জন্যই তো প্রাথমিক ক্যাম্পে ৩৬ জনকে ডাকা হয়েছে।’
করোনায় আক্রান্ত চার ফুটবলারের মধ্যে বসুন্ধরা কিংসের বিশ্বনাথ ঘোষ নিজ বাসায় আইসোলেশনে আছেন। তার স্ত্রীও করোনায় আক্রান্ত। গত পরশু করোনা পজিটিভ হওয়া প্রথম বারের মতো ডাক পাওয়া তিন ফুটবলার এম এস বাবলু, নাজমুল ইসলাম রাসেল এবং সুমন রেজা তাদের বাহিনীতে চলে গেছেনে। বাবলু এবং রাসেল বাংলাদেশ পুলিশ দলের খেলোয়াড়। তারা পুলিশের উত্তরার ক্যাম্পে চলে গেছেন গত পরশু রাতেই। উত্তর বারিধারার ফুটবলার সুমন রেজা তার কর্মস্থল বিমান বাহিনীতে ফিরে গেছেন গতকাল। বাফুফে সূত্রে জানা গেছে, এই তিন ফুটবলারের অবস্থা বেশি খারাপ হলে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করাবে সংশ্লিষ্ট বাহিনী। এ দিকে নতুন করে জাতীয় দলের আর কোনো ফুটবলার করোনা আক্রান্ত হলে এবং তাদের অন্যত্র যাওয়ার ব্যবস্থা না থাকলে তাদের বাফুফে ভবনে রাখা হবে। এমন তথ্য দেন তাবিথ আউয়াল। তবে তাদের খুব সতর্কভাবে চলাচল করতে হবে।
এ দিকে করোনা আক্রান্ত তিন ফুটবলার বাফুফে ভবনের চার তলার যে দুই রুমে ছিলেন সেই রুম দু’টি তালা বদ্ধ করে রাখা হয়েছে। আর সারাহ রিসোর্টে আইসোলেশন ক্যাম্পে যোগ দেয়া আট ফুটবলারের মধ্যেও এখন করোনা আতঙ্ক বিরাজ করছে। কারণ গত পরশু তারা সারা দিন একত্রে কাটিয়েছে রাসেল, বাবলু ও সুমনের সাথে। কাল তারা হালকা স্ট্রেচিং করেছেন। দলের অন্য ফুটবলাররা ক্যাম্পে আসার পর পুরোদমে ট্রেনিংয়ের চিন্তাভাবনা। বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ মাসুদ পারভেজ কায়সার এবং ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপুর সন্দেহ, বাড়ি থেকে ঢাকায় আসার পথেই করোনা আক্রান্ত হন ফুটবলাররা। তাদের আগের রিপোর্ট তো নেগেটিভ ছিল। যদিও তাদের কোনো উপসর্গ ছিল না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা