২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ফিফার টাকা পেতে কঠিন শর্ত

-

করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯। এই মহামারীর প্রভাবে সারা বিশ্বের অন্য খেলাধুলার মতো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ফুটবলও। এখন ফের তা মাঠে। তবে দর্শকহীন গ্যালারি। এতে বিভিন্ন দেশের ফুটবল ফেডারেশন বা অ্যাসোসিয়েশনের আর্থিক ক্ষতি কাটাতে ফিফা সহায়তা দিচ্ছে। কোভিড-১৯ রিলিফ প্ল্যান এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশও ১ মিলিয়ন ডলার পাচ্ছে। তা দুই কিস্তিতে। তবে প্রথম কিস্তিতে ফিফার কঠিন শর্ত পূরণ না হলে মিলবে না পরের কিস্তি। অবশ্য তা শুধু বাংলাদেশের জন্যই নয়। সদস্যভুক্ত সব দেশকেই দেয়া হয়েছে এই শর্ত। গত পরশু ফিফা তা জানিয়ে দেয় সদস্যদেশগুলোকে। এ ছাড়া মহিলা ফুটবল খাতে ৫ লাখ ডলার দেবে ফিফা। এই টাকাও কিভাবে ব্যয় হবে সেটার সঠিক পরিকল্পনাও জমা দিতে হবে ফিফাতে। এরপর তাদের নির্দিষ্ট কমিটিতে অনুমোদিত হলেই মিলবে অর্থ। বাফুফে সেক্রেটারি আবু নাইম সোহাগ জানান এই তথ্য।
ফিফা তাদের সদস্য দেশগুলো মোট ১.৫ বিলিয়ন ডলার দিচ্ছে। এই অর্থ দেশগুলো কোন কোন খাতে ব্যয় করবে তাও জানিয়ে দিয়েছে। মূলত করোনার ধাক্কা সামলিয়ে কিভাবে ফের ফুটবল চালু করা যায় এবং কিভাবে ফুটবলের আনুসঙ্গিক বিষয়গুলোর সমস্যা সামাধান করা যাবে সে জন্যই এই অর্থ। বাফুফে সেক্রেটারি জানান, নির্দিষ্ট করে ৬-৭টি খাতের কথা জানিয়েছে ফিফা। এর মধ্যে জাতীয় দল, প্রশাসনিক দিক সবই আছে। ঈদের পর আমাদের ফিন্যান্স কমিটি এই নিয়ে সভা করবে। আর আমরাও ফিফার সাথে আরো আলোচনা করব এই অর্থের বিষয়ে।
২৫ জুন ফিফা সভায় এই কোভিড-১৯ রিলিফ প্ল্যান বিষয়টি অনমোদিত হয়। গত পরশু এই বিষয়ে চিঠি দেয়া হয় সদস্যদেশগুলোকে। বাফুফে এই অর্থ সবার মধ্যেই ব্যয় করবে। ঢাকার ক্লাব, জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন, দুস্থ কোচ, খেলোয়াড়, কর্মকতা, রেফারি সবাইকেই দেয়া হবে তা। জানান বাফুফে সেক্রেটারি। পুরো অর্থ পাওয়া যাবে ২০২১ সালের জুলাইয়ের মধ্যে। এ ছাড়া ফিফা সুদবিহীন ঋণ দেবে। সদস্য দেশগুলো তাদের অডিটকৃত বার্ষিক বাজেটের ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত সুদবিহীন এই ঋণের আবেদন করতে পারবে। এ ছাড়া পাঁচ লাখ ডলার থেকে ৫ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত সুদে ঋণ নেয়া যাবে। প্রথম দফায় একেকটি ফেডারেশন ৪ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত লোন নিতে পারবে।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement