২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পারিশ্রমিক নিয়ে শঙ্কায় ব্রাদার্সের ক্রিকেটাররা

-

করোনার কারণে এক রাউন্ডের খেলা শেষে স্থগিত হয়ে যায় ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল)। লিগ ফের কবে শুরু হবে সেটি অনিশ্চিত। ফলে যে ক্রিকেটারদের জীবন-জীবিকা নির্ভর করে এই লিগের ওপর তারা এখন হতাশায় নিমজ্জিত। অবশ্য ১২টি ক্লাবের মধ্যে বেশির ভাগ ক্লাবই ক্রিকেটারদের ২০-৫০ ভাগ টাকা পরিশোধ করেছে। এ ক্ষেত্রে পারিশ্রমিক পরিশোধে গড়িমসি করছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। ঢাকার গোপীবাগের ক্লাবটি শুধু একজন ক্রিকেটারকে চুক্তির টাকা দিয়েছে। বাকি সব ক্রিকেটারকে মার্চে দেয়া হয়েছিল চেক। কিন্তু সেটি শেষ পর্যন্ত ব্যাংকে জমা না দিতে অনুরোধ করে থামিয়ে দেয়া হয়। এ বিষয়ে দলটির চুক্তিবদ্ধ অভিজ্ঞ ক্রিকেটার তুষার ইমরান বলেন, ব্রাদার্স ক্লাবটি মাত্র একজন ক্রিকেটারকে টাকা দিয়েছিল। আর আমাদের মার্চে চেক দেয়া হয়েছিল। পরে তারা সেটি ব্যাংকে জমা না দেয়ার অনুরোধ করে। যেখানে আমরা একটি টাকাও পাইনি সেখানে ৫০ শতাংশ পাওয়া নিয়ে শঙ্কা থাকছেই। ব্রাদার্স ইউনিয়নের ক্রিকেট কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর ক্রিকেট কমিটির (সিসিডিএম) সমন্বয়ক আমিন খানের কণ্ঠেও ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে দ্বিধা। আমরা ক্রিকেটারদের চেক দিয়েছিলাম। কিন্তু তাদের পাওনা টাকা এখনো দিতে পারিনি। কারণ করোনা মহামারীতে আমাদের স্পন্সররা টাকা দিতে পারছে না। চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠান ‘বড় তাকিয়া’ আমাদের মূল স্পন্সর। করোনায় তাদের বৈদেশিক সব ব্যবসা বন্ধ। স্পন্সর প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের সব ব্যবসা বন্ধ। তাই তাদের জন্য পারিশ্রমিক দেয়া কঠিন। তবে এটি সত্যি যে পরিস্থিতির উন্নতি হলে অবশ্যই দেয়া হবে। যদি খেলা হতো এত দিনে আমরা সব টাকাই দিয়ে দিতাম। ব্রাদার্স থেকে ৭ লাখ টাকা পাওয়া সৌভাগ্যবান ক্রিকেটার হলেন জাতীয় দলের বাইরে থাকা জুনায়েদ সিদ্দিকী। লিগ খেলেই চলে তার জীবিকা। বোনের বিয়ের জন্য ব্রাদার্সের কাছে অনুরোধ করেই তিনি এই টাকা আদায় করেছিলেন। অন্য দিকে পাওনা পরিশোধ করতে ব্যর্থ ক্লাবটি করোনাভাইরাসকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ তুষার ইমরানের। মার্চে আমাদের দেশে করোনার সংক্রমণ ছিল না। এক রাউন্ড আমরা খেলেছি। নিয়ম অনুসারে খেলা শুরুর আগেই একটা অংশ পরিশোধ করার কথা। বেশির ভাগ ক্লাবই ২০-৩০ ভাগ টাকা লিগ শুরুর আগেই পরিশোধ করেছে। কেউ কিন্তু করোনাকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করেনি। শুধু ব্রাদার্সই করোনার অজুহাত দিচ্ছে। শুধু এখনই নয়-তারা গত ৩-৪ বছর ধরেই এমন টালবাহানা করে আসছে। তুষার আরো বলেন, কোয়াবের আলোচনা সভায় ক্লাবগুলোকে ঈদের আগে পারিশ্রমের ৫০ ভাগ পাওনা দেয়ার কথা বলা হয়েছিল। সত্যি বলতে বিসিবির দিকেই তাকিয়ে আছি। তারা চাইলে অবশ্যই ক্লাবগুলো টাকা দেবে। আর যদি না দেয় পরবর্তী করণীয় আমরা ফের আলোচনা করে ঠিক করব।


আরো সংবাদ



premium cement