২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`
ক্রিকেটারদের মাঠে ফেরা

৯ জুলাইয়ের পর সিদ্ধান্ত

-

তড়িঘড়ি করে, কোনো ঝুঁকি নিয়ে ক্রিকেটারদের মাঠে ফেরানোর চিন্তা নেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। আগামী ৯ জুলাই এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভায় চূড়ান্ত হবে এশিয়া কাপের ভবিষ্যৎ। করোনাকালে সূচি অনুযায়ী এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হলেই কেবল ক্রিকেটারদের মাঠে ফেরাবে বিসিবি। নয়তো মাঠে ফেরার অপেক্ষা বাড়বে ক্রিকেটারদের। সিদ্ধান্ত ৯ জুলাইয়ের পর।
আয়োজকরা যদি এশিয়ার কাপের বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দেয় তাহলে বিসিবি জুলাইয়ের শেষ দিকে নয়তো আগস্টের শুরুতে তামিম-মুশফিকদের অনুশীলনে ফেরাবে। এ জন্য সম্ভাব্য সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে বোর্ড। জাতীয় দলের নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু জানিয়েছেন, এশিয়া কাপ হবে টি-২০ ফরম্যাটে। এ জন্য ২৪ সদস্যের দল বাছাই করা হবে। তাদেরকে নিয়ে চলবে অনুশীলন।
নয়া দিগন্তকে নান্নু বলেন, ‘এশিয়া কাপের বিষয়ে একটি সভা আছে ৯ জুলাই। এশিয়া কাপ হবে কি হবে না সেটা নিয়ে আলোচনা হবে। যদি এশিয়া কাপ হয় আমরা সেভাবে প্রস্তুতি নেবো। ২৪ জনের একটি খেলোয়াড় তালিকা আমরা প্রস্তুত করব। মূলত সাদা বলের ক্রিকেটারদের এ তালিকায় নেয়া হচ্ছে।’
এর আগে নির্বাচকরা ৩৭ জনের একটি তালিকা চূড়ান্ত করেছিলেন। সে সময় বলেছিলেন, করোনা পরবর্তী সময়ে মাঠে ক্রিকেট ফিরলে সেই ৩৭ জন ক্রিকেটারকে নিয়ে ফিটনেস কথ্যাম্প করানো হবে। যদি এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত না হয় তাহলে পুরনো তালিকাই চূড়ান্ত থাকবে। করোনা-পরবর্তী সময়ে ৩৭ জনের তালিকা নিয়েই হবে অনুশীলন।
এবারের এশিয়া কাপের আয়োজক ছিল পাকিস্তান। তারা আয়োজকের দায়িত্ব দিয়েছে শ্রীলঙ্কাকে। ছয় দল নিয়ে সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আছে। ক্রিকেটারদের মাঠে ফেরানোর জন্য বিসিবি দেশের আটটি স্টেডিয়াম তৈরি রাখছে। স্টেডিয়ামগুলোকে পূর্ণ প্রস্তুতের পাশাপাশি জীবাণুমুক্ত করার কাজও করছে বোর্ড। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন জানান, ‘আমরা ক্রিকেটারদের মাঠে ফেরানোর বিষয়ে খুব সচেতনতার সাথে এগোতে চাই। তাড়াহুড়ো না করে ধীরে সুস্থে এগোতে চাই। ক্রিকেটাররা অনুশীলনের মধ্য দিয়ে আবার মাঠে ফিরুক, তা-ই আমাদের চাওয়া। আর এই জন্য আমরা মাঠ এবং অনুশীলনের সুযোগগুলো সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবং কার্যকরী করে রাখছি।’

 


আরো সংবাদ



premium cement