বিকেএসপিতে প্রথমবারের মতো মহিলা হকি
- জসিম উদ্দিন রানা
- ০৬ জুলাই ২০২০, ০০:০০
অনেক দিন ধরেই বিকেএসপির দিকে তাকিয়ে ছিল হকি সংগঠকসহ মহিলা হকি খেলোয়াড়রা। অবশেষে সে সাধ পূরণ করলো বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)। এবারই প্রথম বিকেএসপিতে ভর্তি হওয়ার অপেক্ষায় সৌভাগ্যবান ১৫ জন মহিলা হকি খেলোয়াড়।
অবশ্য মহিলা হকি বলতে যে নামটি সবার আগে আসে, তিনি হলেন ক্রীড়া পরিদফতরের পরিচালক তারিকুজ্জামান নান্নু। তাকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন। তবে সবারই চোখ ছিল বিকেএসপির দিকে, যা এবার পূরণ হলো। করোনাকাল কেটে গেলেই স্বপ্নের বিকেএসপিতে ভর্তি হয়ে যাবেন তারা।
বিকেএসপির বাছাইয়ে প্রথম ব্যাচে জায়গা করে নিলেন দিনাজপুরের অর্পিতা পাল, বীথি রানী সরকার, আনারকলি আঁখি ও বিনা এক্কা, ঝিনাইদহের রিভা খাতুন ও নাদিরা, ময়মনসিংহের সুমাইয়া আক্তার সিমু ও ঐশ্বর্য সরকার শেভা, চট্টগ্রামের ফাতেমা তুজ জোহরা, হিমাদ্রী বড়–য়া সুখ ও নীলাদ্রী বড়–য়া নীল, কিশোরগঞ্জের সানজিদা আক্তার মনি, নেত্রকোনার শারিকা সাফা রিমন, রাজশাহীর মহুয়া এবং সাতক্ষীরার কেয়া পারভীন।
চট্টগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণীতে পড়েন যমজ দুই বোন হিমাদ্রী বড়–য়া সুখ ও নিলাদ্রী বড়–য়া নীল। খাওয়া-দাওয়া স্কুলে যাওয়া-আসা এবং স্বাধীনতা ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে একসাথে ক্রিকেট প্রাকটিস করা। হঠাৎ খবর পেলেন বিকেএসপিতে প্রথবারের মতো হকিতে মেয়েদের পথচলা শুরু হবে। সাবেক হকি খেলোয়াড় ইমরান স্যারের পরামর্শে ক্রিকেটের ব্যাট ছেড়ে স্টিক হাতে নেমে পড়লেন মাঠে। মাত্র এক মাসেই প্রাথমিক ধাপটা রপ্ত করে ফেললেন সুখ ও নীল। ঢাকা থেকে বিকেএসপির শিক্ষকরা গেলেন বাছাই করতে। টিকে গেলেন হিমাদ্রী। অপেক্ষায় ছিলেন নিলাদ্রী। রক্তের বন্ধন, জন্মলগ্ন থেকে যে জুটি হয়ে সেটি কি আর এত সহজে বিচ্ছিন্ন হয়? কিছুক্ষণ পর ডাক পড়লো তারও। দুই বোন সাভার বিকেএসপিতে সপ্তাহখানেক ক্যাম্প করেছেন। তাদের কথায়, ‘এতটাই ভালো লেগেছে যে বাবা-মায়ের কথা অল্পই মনে পড়েছে। আমরা প্রথম ব্যাচ হিসেবে লাল সবুজের পতাকার মান অবশ্যই রাখবো।’
বাবা বিজয় বড়–য়া বাপ্পার তিন মেয়ে। যমজ এই দুই কন্যার মাঝে ছেলের সুখ অনুভব করেন, ‘আমি কখনো ছেলেমেয়ে আলাদা করে দেখি না। ওরাই আমার সব সাধ পূরণ করবে বলে বিশ্বাস। দেশের পতাকা উঁচু করে ধরতে পারলেই আমার স্বপ্ন সার্থক হবে।’
অর্পিতা পাল জানান, ‘করোনার মাঝেও বাড়ির পাশে মাঠে বিকেএসপির বড় ভাইয়াদের সাথে অনুশীলন করি। আমরা এখানের চারজন মনোনীত হয়েছি। আশা করছি ভালো কিছু হবে।’
বিকেএসপি হকির প্রধান কোচ জাহিদ হোসেন রাজু জানান, ‘বিকেএসপির নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। এরা যাতে শির উঁচু করে দাঁড়াতে পারে ডিজি স্যারসহ বিকেএসপির সে চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা