২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

পুরো পেশাদারি হতেই লাইসেন্স

-

আগের বছরগুলোর চিত্র। বলে কয়েও চার-পাঁচটির বেশি ক্লাবকে এএফসি কাপের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করানো যেত না। আর এই তালিকায় পাওয়া যেত না সব শীর্ষ ক্লাবদেরও। যদিও টিকতো তিনটি ক্লাব। কিন্তু এবার পাল্টে গেছে চিত্র। ২০২১ সালের এএফসি কাপে খেলার লাইসেন্স পেতে এক সাথে আবেদন ৯ ক্লাবের। এদের মধ্যে আছে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি ও উত্তর বারিধারার মতো নিচু-মাঝারি সারির ক্লাবও। এই লাইসেন্স পেতে আবদেনটা বাংলাদেশের পেশাদারি ক্লাবদের আরো পেশাদারি হওয়ার জন্যই। এমনটা জানালেন উত্তর বারিধারা ক্লাবের সেক্রেটারি জাহাঙ্গীর আলম।
২০১৯-২০ মওসুমে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন শুধু ফেডারেশন কাপই সম্পন্ন করতে পেরেছে। করোনার কারণে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ( বিপিএল) খেলা ষষ্ঠ রাউন্ড শেষে আর এগোতে পারেনি। এএফসি কাপে বাংলাদেশী ক্লাবদের জন্য দু’টি কোটা। একটি ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে। অন্যটি লিগ চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য। লিগ চ্যাম্পিয়ন দলের লাইসেন্স না থাকলে রানার্সআপ, দ্বিতীয় বা তৃতীয় এমনকি লাইসেন্সধারী চতুর্থ দলেরও ছাড়পত্র মেলে এএফসি কাপে খেলার। করোনায় এবারের লিগ চ্যাম্পিয়ন দল পাওয়া যায়নি। এই কোটায় কোন দলকে আগামী এএফসি কাপের সরাসরি গ্রুপ পর্বে খেলার সুযোগ দেয়া হবে তা পরে ঠিক করবে বাফুফে। তবে এর আগে তো এএফসি কাপে খেলার লাইসেন্স থাকতে হবে। তাই এবার লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা। উল্লেখ্য, ফেডারেশন কাপের কোটায় বসুন্ধরা কিংস আগামী এএফসি কাপের প্লে-অফে খেলার সুযোগ পেয়েছে। আর এবার তারা গ্রুপ পর্বে খেলছে গতবারের লিগ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে।
এবার হঠাৎ উত্তর বারিধারা কেন লাইসেন্সের জন্য আবদেন করল? ক্লাব সেক্রেটারি জাহাঙ্গীরের মতে, আমরা সবাইতো নামেই পেশাদারি ক্লাব। পূর্ণ পেশাদারি হতে অনেক কিছু বাকি। সে পথে এগোতেই এবার এএফসি কাপের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছি। জানান, এক সময় সবই করতে হবে বাংলাদেশের ক্লাবদের। এএফসি তো ক্রমেই কঠোর হচ্ছে। তাই এখন থেকে প্রস্তুতি নেয়া।
রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির সেক্রেটারি ইমতিয়াজ হামিদ সবুজের বক্তব্যÑ এবার লিগ চ্যাম্পিয়ন ঘোষিত না হওয়ায় আমাদের সম্ভাবনা আছে ফেডারেশন কাপ রানার্সআপ হিসেবে এএফসি কাপে খেলার। তাই লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা।’ আরো জানান, এএফসি কাপের লাইসেন্স থাকলে তা ক্লাবের জন্যই লাভ। ভালো মানের বিদেশী পাওয়া যায়।’ তার মতে, ‘বাংলাদেশের সব ক্লাবেরই এই লাইসেন্স থাকা উচিত। কারণ আমরা খেলছি পেশাদার লিগে। ’


আরো সংবাদ



premium cement