২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মাবিয়ার হতাশা, মাবিয়ার সান্ত্বনা

-

২০১৬ সালের রিও অলিম্পিক গেমস। বাংলাদেশের প্রথম ভারোত্তোলক হিসেবে মাবিয়া আক্তার সীমান্ত যাবেন ব্রাজিলে, তা প্রায় চূড়ান্ত। কিন্তু সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার। তখন বাংলাদেশ ভারোত্তোলন ফেডারেশনে ছিল অ্যাডহক কমিটি। কোনো ফেডারেশনের নির্বাচিত কমিটির বদলে অ্যাডহক কমিটি দিয়ে তা পরিচালিত হলে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত পায় না। তাদের ওপর নামে নিষেধাজ্ঞা। ফেডারেশনের বর্তমান নির্বাচিত কমিটি ক্ষমতা গ্রহণের আগ পর্যন্ত দায়িত্ব দেয়া হয় অ্যাডহক কমিটিকে; যে কারণে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড হওয়া সত্ত্বেও রিও অলিম্পিকে যাওয়া হলো না মাবিয়ার। সেই দুঃখ ছাপিয়ে এবারে ২০২০ টোকিও অলিম্পিকে অংশ নেয়ার সম্ভাবনা ছিল এই স্বর্ণ কন্যার। কিন্তু করোনার কারণে টোকিও অলিম্পিক গেমস পিছিয়ে অপেক্ষার পালা আরো দীর্ঘ হলো ২০১৬ ও ২০১৯ এসএ গেমসে স্বর্ণজয়ী মাবিয়ার।
অবশ্য এই গেমস পেছানোয় উপকারো হয়েছে মাবিয়ার। হাঁটুর ইনজুরি থেকে ক্রমেই সুস্থ হয়ে উঠছেন। গত ডিসেম্বরে কাঠমান্ডু-পোখরা এসএ গেমসের সময় হাঁটুর ইনজুরিতে পড়েন বাংলাদেশ আনসারের এই কৃতী ক্রীড়াবিদ। ডাক্তার তাকে ছয় মাসের বিশ্রাম দেন। জুনেই ছয় মাস পূর্ণ হচ্ছে। আর অলিম্পিক গেমস পিছিয়ে যাওয়ায় ইনজুরি মুক্তির সময় নিয়ে আর টেনশন নেই। যদিও আগামী বছর অলিম্পিক গেমস পর্যন্ত ফিট থাকা যাবে কি না, সেটি একটা প্রশ্ন। মাবিয়া জানান, লকডাউনের কারণে খেলা বন্ধ থাকায় বিশ্রামটা ভালোই হয়েছে।
অবশ্য এর পরই জানালেন হতাশার খবর। ‘১৭ মার্চ থেকে করোনার কারণে অনুশীলনের বাইরে। এক দিন অনুশীলন না করলে পরের দিন শতভাগ ওজন তোলা যায় না। প্রায় তিন মাস হলো প্রশিক্ষণের বাইরে। এ বছর অলিম্পিক গেমসটা হয়ে গেলে মাথার ওপর থেকে চাপটা সরে যেত। পারফরম্যান্সটা আমার অনুকূলেই ছিল। কিন্তু গেমস পিছিয়ে যাওয়ায় অপেক্ষাটা আরো বেড়েছে।’
অলিম্পিক গেমসে খেলার ছাড়পত্র পেতে যে ওয়াইল্ড কার্ড প্রয়োজন, সে ছাড়পত্রের সব শর্তই প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেন মাবিয়া। মাদারীপুরের এই মেয়ে সাতটি কোয়ালিফাই রাউন্ডের ছয়টিতে অংশ নিয়েছেন। তার এই মিশন শুরু হয় ২০১৭ সাল থেকে। সর্বশেষ কোয়ালিফাইং রাউন্ড ছিল এপ্রিলে উজবেকিস্তানে। করোনার কারণে তা স্থগিত হয়ে গেছে। মাবিয়ার দেয়া তথ্য, ভারোত্তোলনে অলিম্পিকের ওয়াইল্ড কার্ড পেতে সাতটি কোয়ালিফাইং রাউন্ড খেলতে হয়। সে সাথে পারফরম্যান্সের উন্নতি থাকতে হয়। আমার পারফরম্যান্স ভালো। তাই আমি আশাবাদী ছিলাম ওয়াইল্ড কার্ড পাওয়ার ব্যাপারে।’ তথ্য দেন ডিসেম্বরে কাতারে অনুষ্ঠিত বাছাই পর্বে আমি স্ন্যাচে ৮০ কেজি এবং ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১০৬ কেজি তুলেছিলাম। এটা ছিল এসএ গেমস থেকে এক কেজি বেশি। আর ২০১৭ সালে প্রথম কোয়ালিফাইং রাউন্ডে তুলেছিলাম স্ন্যাচে ৭৬ কেজি ও ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ৯৮ বা ৯৯ কেজি।


আরো সংবাদ



premium cement
বান্দরবানে বৃষ্টির চেয়ে চোখের পানি ফেলে বিশেষ নামাজ চকরিয়ায় যুবককে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ৭ উপজেলা নির্বাচনে ব্যর্থ হলে গণতন্ত্র ক্ষুণ্ন হবে: সিইসি বাগাতিপাড়ায় ইসতিসকার নামাজ পরিবর্তনশীল জলবায়ুর জন্য কাসাভা উপযুক্ত, হেক্টরপ্রতি ফলন ৩৫-৫০ টন : বাকৃবি অধ্যাপক বৃষ্টির জন্য হাকাকার, সাভারে ইসতিসকার নামাজ আদায় বরিশালে সালাতুল ইসতিসকার আদায় অর্ধ শতাব্দীতে ভ্যাকসিন সাড়ে ১৫ কোটি লোকের জীবন বাঁচিয়েছে : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আল্লাহর রহমত কামনায় সকলকে সিজদাহ অবনত হতে হবে-মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন কাউখালীতে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা ভাঙ্গায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়

সকল