করোনায় বড় আর্থিক ক্ষতির শঙ্কা নেই বিসিবির
- ক্রীড়া ডেস্ক
- ৩১ মে ২০২০, ০০:০০
করোনাভাইরাসের ছোবলে নড়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো প্রতাপশালী ক্রিকেট বোর্ডের আর্থিক ভিত। তবে এই ধাক্কায় টালমাটাল হওয়ার শঙ্কা খুব একটা নেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। বোর্ড পরিচালক ও অর্থ কমিটির প্রধান ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলছেন, খুব বড় আর্থিক ক্ষতি হবে না বলেই তাদের বিশ্বাস। বিসিবির ভরসার মূল কারণ দু’টি; নিজেদের আর্থিক সক্ষমতা ও লাভজনক কোনো সিরিজ বাদ না পড়া বা স্থগিত না হওয়া।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে পিছিয়ে গেছে বাংলাদেশের পাকিস্তান ও যুক্তরাজ্য সফর। সেখানে আর্থিক ক্ষতি আয়োজক বোর্ডগুলোর। বাংলাদেশের ঘরের মাঠে হওয়ার কথা ছিল জুনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ, যেটি পিছিয়ে গেছে। তবে তাতে আর্থিক ক্ষতি খুব বেশি হচ্ছে না, সংবাদমাধ্যমকে জানালেন ইসমাইল হায়দার। তিনি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, টেস্ট সিরিজ থেকে খুব বেশি আয় আমাদের হয় না। মূলত আয় বেশি হয় ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি থেকে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ না হওয়ায় আমাদের একদমই যে ক্ষতি হবে না তা হয়। তবে সেটি উল্লেখযোগ্য কিছু নয়।’
আর্থিক ক্ষতির শঙ্কা বিসিবির যেটুকু আছে, প্রায় সবটুকুই আইসিসির আর্থিক সহায়তার খাতকে ঘিরে। বিসিবির রাজস্বের প্রায় অর্ধেক আসে আইসিসির সহায়তা থেকে। আইসিসির আয়ের বড় উৎস বিভিন্ন টুর্নামেন্ট। এ বছর অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ না হলে তাই বড় অঙ্কের একটা আয় থেকে বঞ্চিত হবে আইসিসি। স্বাভাবিকভাবেই সদস্য দেশগুলোতে সহায়তাও কামে যাবে তাদের।
অর্থ কমিটির প্রধান বলেন, ‘বিশ্বকাপ, এশিয়া কাপ না হলে ক্ষতি তো কিছু হবেই। এসব আসর থেকে বড় অঙ্কের অর্থ পাওয়ার কথা আমাদের। আইসিসির সাথে কথা হচ্ছে এগুলো নিয়ে। টুর্নামেন্ট যদি না হয়, তাহলে আমাদের ২০ থেকে ২৫ ভাগ আয় কমতে পারে।’
বিসিবির তবু খুব বিচলিত না হওয়ার কারণ, নিজেদের মজবুত আর্থিক অবস্থান। আনুষ্ঠানিকভাবে না বললেও বিভিন্ন সময়ে নানা সূত্র থেকে জানা গেছে, দেশের এখনকার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিসিবি সভাপতি থাকার সময় ১১৫ কোটি টাকার ‘ফিক্সড ডিপোজিট’ রেখে গিয়েছিলেন, নাজমুল হাসানের নেতৃত্বে বোর্ড দায়িত্ব নেয়ার পর এই প্রায় সাড়ে ৭ বছরে সেই অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ৬০০ থেকে ৬৫০ কোটির টাকার মতো।
অর্থ কমিটির প্রধান ইসমাইল হায়দার টাকার অঙ্ক সরাসরি বললেন না, তবে বোর্ডের আর্থিক অবস্থার একটি ধারণা দিলেন। তিনি আরো বলেন, ‘আর্থিক সক্ষমতার দিক থেকে আমরা বিশ্ব ক্রিকেটের প্রথম পাঁচটি বোর্ডের মধ্যে আছি। আগামী দুই-তিন বছর এই অবস্থা চললেও খুব সমস্যা হবে না। আর এত লম্বা সময় নিশ্চয়ই অচলাবস্থা চলবে না।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা