২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

রোমান সানাদের বৃত্তির মেয়াদ বাড়ল

-

২০১৮ সালের জুলাই মাস থেকে আইওসির (ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি) স্কলারশিপ (বৃত্তি) পেয়ে আসছেন বাংলাদেশের সাত ক্রীড়াবিদ। তা ২০২০ টোকিও অলিম্পিক গেমসকে ঘিরে। এই বৃত্তি ঠিক সমপরিমাণ অ্যাথলেটরা ২০১৬ এর লন্ডন অলিম্পিক গেমস এবং ২০১৬ এর রিও অলিম্পিক গেমসের সময়েও পেয়েছিল। তখন মাহফিজার রহমান সাগর, শারমিন আক্তার রতœারা পান এই বৃত্তি। টোকিও অলিম্পিক উপলক্ষে এই বৃত্তি চলার কথা ছিল গেমস শুরুর আগ পর্যন্ত। করোনা মহামারীতে টোকিও অলিম্পিক গেমস পিছিয়ে গেছে এক বছর। এখন তা আগামী জুলাই আগস্টে হওয়ার কথা। তবে করোনার কারণে ২০২১ সালেও গেমসটি না হলে বাতিল হতে পারে তা। গেমস পিছিয়ে যাওয়ায় আরো এক বছর বাংলাদেশী ক্রীড়াবদিদের বাড়তি এক বছরের বৃত্তি পাওয়া নিয়ে সন্দেহ ছিল। তবে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) এবং খেলোয়াড়দের সেই চিন্তা মুক্তির খবর দিয়েছে আইওসি। তাদের দেয়া তথ্য, আগামী বছর গেমস অনুষ্ঠিত হওয়া পর্যন্ত চলবে এই স্কলারশিপ। যার অধীনে প্রশিক্ষণ পেয়ে আসছেন রোমান সানা, বিউটি রায়, আরিফুল ইসলামরা।
আইওসির অর্থায়নে দেশে এই প্রশিক্ষণ নিলে প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জন্য মাসে বরাদ্দ ৫০০ ডলার করে। বিদেশে হলে কোনো টাকা নয়। বিদেশের মাটিতে আইওসি নিজের খরচেই তাদের প্রশিক্ষণ ও থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে। সাঁতারু আরিফুল ইসলাস ফ্রান্সে ট্রেনিং নিচ্ছেন। আরচার রোমান সানা সুইজারল্যান্ডে ট্রেনিং নিলেও পরে সেখান থেকে চলে আসেন। জানা গেছে, এই ইউরোপিয়ান দেশটিতে তেমন উন্নত প্রশিক্ষণ পাচ্ছিলেন না তিনি। তাই চলে আসা। সেখান থেকে ফিরেই তিনি সরাসরি টোকিও অলিম্পিকে কোয়ালিফাই করেন। বাংলাদেশ শুটিং ফেডারেশনের অনুরোধে শাকিল আহমেদ, আনোয়ার হোসেন, রিসালাতুল ইসলাম এবং উম্মে জাকিয়া সুলতানা টুম্পার অনুশীলন ঢাকাতেই হচ্ছে।
সম্প্রতি আইওসি প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দিয়েছেন টোকিও অলিম্পিক পিছিয়ে যাওয়ায় সদস্য দেশ, সংশ্লিষ্ট ফেডারেশন এবং আয়োজক জাপানকে আর্থিক অনুদান দেবে তারা। এই খাত থেকে বাংলাদেশ কত ডলার পাবে তা এখনো পরিষ্কার নয়। হয়তো তারা বিভিন্ন প্রোগ্রাম দেবে। সেই অনুযায়ী টাকা পাঠানো হবে। এমনটাই ধারণা বিওএ’র।
করোনার কারণে বিওএ’র মাঠকেন্দ্রিক কার্যক্রম বন্ধ। বাংলাদেশ গেমস স্থগিত। কবে হবে এই গেমস তা কারো জানা নেই। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া, এরপর স্পন্সরের কাছ থেকে টাকা আদায় এসবের ওপরই নির্ভরশীল এবারের বাংলাদেশ গেমসের ভবিষ্যৎ।
এ বছরের সেপ্টেম্বরে মঙ্গোলিয়ার রাজধানী উলানবাটোরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল গ্রিন গেমস। যা চিলড্রেন অব এশিয়া গেমসের নতুন সংস্করণ। এখন এই গেমস করোনার কারণে এ বছর নাও হতে পারে। এমন আশঙ্কা বিওএ দায়িত্বশীলদের। তবে চীন বদ্ধপরিকর নভেম্বরে এশিয়ান বিচ গেমস আয়োজনে। গ্রিন গেমসের মতো বিচ গেমসেও দল অংশ নেবে বাংলাদেশ। চীনা কর্তৃপক্ষ বলছে করোনামুক্ত এলাকাতেই বিচ গেমসের ভেনু। তবে যেসব দেশ অংশ নেবে তাদের অ্যাথলেটরা কতটা করোনামুক্ত সেটাও নির্ধারণ করতে পারে এই গেমসের ভাগ্য।


আরো সংবাদ



premium cement