২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সুয়ারেজের কামড় খেলারই অংশ : চিয়েলিনি

২০১৪ বিশ্বকাপে ইতালির চিয়েলিনিকে সুয়ারেজ কামড়ে দিলে আলোড়ন সৃষ্টি হয় : ফাইল ছবি -

২০১৪ বিশ্বকাপের কথা ওঠলে লুইস সুয়ারেজের কামড় অটোমেটিক আলোচনায় উঠে আসে। ওই ঘটনার ভুক্তভোগী চিয়েলিনির কাছে অবশ্য এই কাণ্ডের বাড়তি কোনো গুরুত্ব নেই। তার কাছে মনে হয়েছে, ওই কামড় খেলারই অংশ।
আত্মজীবনী ‘ইন জর্জিও’তে লিখেছেন, ‘সত্যি কথা হলো, আমি ওর এসব কান্ড শ্রদ্ধা করি। কারণ ও যদি এসব না করে তাহলে সাধারণ খেলোয়াড় হয়ে যাবে। ২০১৪ বিশ্বকাপে বিস্ময়কর কিছুই হয়নি। আমি অধিকাংশ সময় এডিনসন কাভানিকে পাহারা দিয়েছি। সে আরেকজন কঠিন লোক এবং সবাই নিজের সর্বোচ্চ দিয়েছি। হঠাৎ খেয়াল হলো আমার কাঁধে কেউ কামড় দিয়েছে। এটি হয়েছে, এটুকুই। শারীরিক দ্বন্দ্বে নামার সময় এটাই ওর রণকৌশলের অংশ, আমিও এমনটাই মনে করি।’
ফুটবল বোদ্ধাদের মতে মাঠের সবচেয়ে বিখ্যাত কামড় এটি। এর আগেও প্রতিপক্ষকে কামড় দিয়ে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন লুইস সুয়ারেজ। ইতালির ডিফেন্ডার জর্জিও চিয়েলিনিকে সুযোগ পেয়ে কামড়ে দিয়েছিলেন এই স্ট্রাইকার। রেফারির চোখ এড়িয়ে যাওয়ায় ম্যাচে ঠিকই দলকে জয় এনে দিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন। কিন্তু এ ঘটনায় নিন্দার ঝড় ওঠে দুনিয়াজুড়ে। চার মাসের জন্য নিষিদ্ধ হন উরুগুয়ের স্ট্রাইকার।
লড়াকু মনোভাব আর প্রতিপক্ষকে একবিন্দু ছাড় দিতে না চাওয়ার জন্য নোংরা লড়াইয়ে নামতে দ্বিধা করেন না সুয়ারেজ। এ কারণেই বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডকে সম্মান করেন কিয়েলিনি, ‘সুয়ারেজ আর আমি একই ধরনের। আমি এমন স্ট্রাইকারের মুখোমুখি হতে পছন্দ করি। ওই ম্যাচের কয়েক দিন পর আমি ওকে ফোন করেছিলাম। আমার কাছে ক্ষমা চাওয়ার কোনো দরকার ছিল না ওর। মাঠে আমিও ওর মতোই শয়তান এবং এ নিয়ে গর্ব করি। এমন দুষ্টুমি আর বদমায়েশি খেলারই অংশ।’


আরো সংবাদ



premium cement