সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন ওয়ালীও
- রফিকুল হায়দার ফরহাদ
- ১১ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০
করোনার কারণে লকডাউন নারায়ণগঞ্জ জেলা। তাই অন্যদের মতো ঘরে বসেই সময় পার করতে হচ্ছে জেলার ফুটবলারদের। ফিটনেস ধরে রাখতে অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা কোচদের উপদেশ। আবার যারা ইনজুরিতে ভুগছেন বা ইনজুরিমুক্ত হয়ে এখন মাঠে ফেরার অপেক্ষায় তাদের জন্য দারুণ উপকারে লাগছে বর্তমানে খেলা বন্ধ থাকাটা। ইনজুরির ধকল সহ্য করা ফুটবলারদের মিছিল কম নয়। এই কারণে কেউ জাতীয় দল থেকে ছিটকে গেছেন। কারো স্থান হারিয়েছেন ক্লাবের একাদশে। তেমনই এক ফুটবলার ওয়ালী ফয়সাল। এই লেফট ব্যাক ভুগছিলেন হাঁটুর ইনজুরিতে। তার ম্যাচ ফিটনেস প্রায় এসেই গিয়েছিল লিগের সর্বশেষ ম্যাচের সময়। এরপর অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ খেলা। আর এই সুযোগে নিজেকে পুরোপুরি ফিট করে তোলার সুযোগ পাচ্ছেন জাতীয় দলের সাবেক এই ডিফেন্ডার।
২০০৫ সালে জাতীয় দলে প্রথম ডাক পান ওয়ালী ফয়সাল। এরপর বলতে গেলে টানাই খেলে গেছেন লাল-সবুজ জার্সি গায়ে। বাংলাদেশ দলে তার সর্বশেষ উপস্থিতি ২০১৮ সালের বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে। ঢাকা আবাহনীতে খেলছেন ২০০৩ সাল থেকে। মাঝে মোহামেডান, শেখ রাসেল ও শেখ জামালে খেলেছেন। গত বছরও ছিলেন আবাহনীতে। আছেন এবারো। তবে ইনজুরি তাকে মাঠে নামতে দিচ্ছে না। সাত মাস ধরেই তার ইনজুরি মুক্তির লড়াই। ক্লাব দলের সাথে অনুশীলনও শুরু করেছিলেন। তবে এখন করোনার কারণে খেলা বন্ধ থাকায় সুবিধা হয়েছে ওয়ালী ফয়সালের। ফের মাঠে নামার জন্য নিজেকে উপযুক্ত করতে চালিয়ে যাচ্ছেন ফিটনেস ট্রেনিং। তা বাড়ির ছাদেই।
নারায়ণগঞ্জের জিমখানা পাইকপাড়ায় থাকেন ওয়ালী। সেখানেই চলছে তার ফিটনেস ট্রেনিং। জানান, করোনার কারণে লিগ বন্ধ থাকায় আমার জন্য সুবিধা হয়েছে। শতভাগ ফিটনেস ফিরে পাওয়ার। সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি তৈরী হতে। আগে পাশের মাঠে গিয়ে অনুশীলন করলেও এখন লকডাউনের কারণে বাড়ির ছাদেই ফিট থাকার চেষ্টা।
গত বছর ফরিদপুরের একটি টুর্নামেন্ট খেলতে গিয়ে হাঁটুর ইনজুরিতে পড়া। অপারেশন করেছেন বাংলাদেশেই। চিকিৎসা বাবদ আড়াই লাখ টাকা ব্যয় হলেও আবাহনী তাকে দিয়েছে দুই লাখ টাকা। উল্লেখ্য, ক্লাবের অনুমতি নিয়েই তারা ফরিদপুর খেলতে যাওয়া।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা