কারাভোগের পর গৃহবন্দী রোনালদিনহো

ভুয়া পাসপোর্ট নিয়ে প্যারাগুয়েতে প্রবেশ করেছিলেন ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ী ফরোয়ার্ড রোনালদিনহো। সাথে ছিলেন ভাই রবার্তো অ্যাসিস। এই অপরাধে এক মাসের মতো জেলও খেটেছেন। সেই জেলজীবন থেকে অবশেষে মুক্তি মিলেছে দুই ভাইয়ের, তবে পুরোপুরি নয়। পুলিশের নজরদারিতে এখন থাকবেন গৃহবন্দী।
প্যারাগুয়ের রাজধানী আসুনসিওনের একটি হোটেলেই দুই ভাইকে গৃহবন্দী করে রাখার রায় দিয়েছেন বিচারক গুস্তাভো আমারিল্লা। তিনি জানিয়েছেন, রোনালদিনহো ও তার ভাইকে একটি হোটেলে গৃহবন্দী করে রাখার রায় দেয়া হয়েছে। অবশ্য এ জন্য বিশাল অঙ্কের মুচলেকাও দিতে হয়েছে রোনালদিনহোকে, যা ছিল ১.৬ মিলিয়ন ডলার! বাংলাদেশী মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ১৩ কোটি ৬০ লাখ ৩৩ হাজার টাকার কিছু বেশি। গত মাসেই তাদের জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু সেই আবেদন নাকচ করে দেয় প্যারাগুয়ের আদালত। করোনাভাইরাসের কারণে দেশটিতে চলছে লকডাউন। তাই বিচারক রায় শুনিয়েছেন মোবাইল ফোনে।
২০০২ বিশ্বকাপ জয়ী রোনালদিনহো ও তার ভাই প্যারাগুয়ে প্রবেশ করেছেন ৪ মার্চ। প্রতিবেশী দেশে ব্রাজিলের নাগরিকদের পাসপোর্টের কোনো প্রয়োজন হয় না। কিন্তু এর পরেও তারা ভুয়া পাসপোর্ট নিয়ে দেশটিতে প্রবেশ করেছিলেন। এই অপরাধে শুরুতে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেনি। আসুনসিওনের যে হোটেলে তারা অবস্থান করছিলেন, সেখানে রেখেই কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছিল। দুই দিন বাদেই বিচারক তাদের জেলে পাঠানোর রায় দেন। তখন জানিয়ে দেন, তাদের গৃহবন্দী বা জামিন দেয়া হবে না। কারণ তাদের পালিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ছিলেন তারা। এর পরেই এই তদন্ত মোড় নেয় মানি লন্ডারিংয়ের দিকে। অবশ্য এই সময়ে প্যারাগুয়ের জেলে থাকলেও সবার প্রিয় মানুষে পরিণত হয়েছিলেন ৪০ বছর বয়সী রোনালদিনহো। জেলে কারাবন্দী, স্টাফদের সাথে ফুটবল খেলে ভালো সময় কাটছিল তার।