২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

প্রথমে কেউ আমার কাছে আসত না : জীবন

-

বগুড়ার শিবগঞ্জের সন্তান নাবিব নেওয়াজ জীবন। লিগ স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর অন্য দেশী ফুটবলারদের মতো ঢাকা ছেড়েছেন জীবনও। সেখানে বাড়ির ছাদ আর ঘরের মধ্যেই নিজেকে ফিট রাখার কাজ করছেন। খুব প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে গেলে ফিরে আসছেন দ্রুত। এসেই গায়ের জামা কাপড় পরিষ্কার করে ফেলেছেন। বাইরে গেলে করোনাভাইরাস এড়াতে যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা দরকার তা মেনে চলছেন। তবে প্রথম দিকে তাকে পড়তে হয়েছিল বিব্রতকর অবস্থায়। ঢাকা থেকে যাওয়ার পর আশপাশের অনেকেই তার ধারে কাছে আসতে চাইত না। সবার সন্দেহ, যেহেতু জীবন ঢাকা থেকে এসেছে তার মানে তার শরীরে করোনাভাইরাস থাকতে পারে। তাই এই সতর্কতা অন্যদের মধ্যে। জানান জীবন। পরে অবশ্য তাদের সেই ভয় দূর হয়ে যায়। তবে এখন লালসবুজদের এই ফরোয়ার্ড এখন নিজেই সতর্ক।
তবে এবারের মতো এমন বাজে অবস্থায় কোনো ফুটবলারকে পড়তে হয়নি। আগে ছুটি পেলেও বাড়ি ফিরে বন্ধু বান্ধবদের সাথে আড্ডা দিয়ে সময় কাটত। অনেকে এই সুযোগে খ্যাপ খেলে বাড়তি টাকা আয় করত। যা ফিটনেস ধরে রাখার ক্ষেত্রে কিছুটা ভূমিকা রাখত। কিন্তু করোনা ভয়াবহতায় সব কিছুই থমকে গেছে। জীবন জানান, আমি খ্যাপ খেলি না। তবে এবার বন্ধুদের সাথে আড্ডাও বন্ধ হয়ে গেছে।’ এরপরেই বিরক্তিভাব তার। ‘ এভাবে আর কতদিন । কতদিন ঘরে বন্দী থাকব। সত্যিই খুব বিরক্ত লাগছে।’ এরপরও কারোনার এই মহাবিপদ থেকে বাঁচতে সবাইকে ঘরে থাকতে হচ্ছে। এটা মেনে চলতেই হবে।
এরপরও নিজেকে একেবারে ঘরে বন্দী রাখছেন না জীবন। এলাকায় গবিরদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেছেন। মাস্ক ও বিতরণ করেছেন। পরামর্শ দিচ্ছেন করোনার এই ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে সবাইকে সচেতন থাকতে।
লিগ বন্ধ। আবার করে শুরু হবে সেটা অনিশ্চিত। এই অবস্থায় বাড়িতে বসে ফুটবলাররা ফিটনেস ধরে রাখার চেষ্টা করলেও ফের খেলা শুরু হলে তাদের বতর্মান পারমরম্যান্স ধরে রাখাটা কঠিন হবে। জীবনও মনে কারেন তা। জানান পারফরম্যান্সের ধারায় ছেদ তো পড়বেই। এরপরও চেষ্টা থাকবে লিগ শুরু হলে আবার গোলে থাকতে।
গত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে স্থানীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ গোলদাতা। ১৭ গোল দিয়ে তিনি হয়েছেন পুরো লিগের তৃতীয় সেরা গোলস্কোরার। ঢাকা আবাহনীর এই স্ট্রাইকার গত বার এএফসি কাপেও ছিলেন সফল। এই আসরে করেছেন মোট তিন গোল। বাংলাদেশ দলেরও অন্যতম স্ট্রাইকার তিনি। এবারের লিগেও আছেন গোলের মধ্যে। দুই গোল করেছেন লিগে। আর ফেডারেশন কাপে সমানসংখ্যক গোল। এবারো তার লক্ষ্য ছিল গতবারের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে যাওয়া। সেভাবেই চলচিল সব। কিন্তু করোনা মহামারীতে ঘরোয়া ফুটবল লিগ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে যাওয়ায় অন্যদের মতো জীবনের লক্ষ্যও আপাতত গৃহবন্দী।

 


আরো সংবাদ



premium cement