২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

এশিয়া ও বিশ্বকাপে চোখ বিসিবির

ক্ষতি পোষাতে এই বিকল্প
-

বৈশ্বিক এবং মহাদেশীয় টুর্নামেন্টগুলো থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আয়ের বড় অংশ আসে। সেগুলো থেকে যতটা সম্ভব আয় করতে চায় বিসিবি। বিশেষ সূত্রমতে, এ বছর অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে অংশ নিলে বিসিবির তহবিলে জমা হবে তিন লাখ ডলার। প্রথম পর্ব পেরিয়ে সুপার টেনে খেলতে পারলে আরো ৫০ হাজার ডলার জমা হবে। সেরা চারে যেতে পারলে সাড়ে সাত লাখ ডলারও আয় হতে পারে। আবার এশিয়া কাপ মাঠে গড়ালে দুই লাখ ডলার পাওয়া যাবে। নিজেদের ক্ষতিটা পুষিয়ে নিতে তাই ওই দু’টি টুর্নােেমন্টের দিকে তাকিয়ে বিসিবি।
করোনার ধাক্কায় ইংল্যান্ড, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলোর বোর্ডের মাথায় যখন চিন্তার ভাঁজ তখন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কিছুটা হলেও স্বস্তিতে! বিসিবির শীর্ষ কর্মকর্তার স্বস্তির নিঃশ্বাস, ‘ভাগ্যিস এখন কোনো হোম সিরিজ ছিল না।’ আপাতত সেসব চিন্তা করতে হচ্ছে না বিসিবির। তার ব্যাখ্যা ছিল, ‘যদি এপ্রিল কিংবা মার্চে হোম সিরিজ থাকত এবং সেগুলো যদি পিছিয়ে যেত তাহলে বড় আর্থিক ক্ষতি হয়ে যেত।’
করোনায় বন্ধ হয়েছে ঢাকা লিগ। এ ছাড়া পাকিস্তান ও আয়ারল্যান্ড সফরও স্থগিত। সেসব সফরের ব্যয় আয়োজকরা বহন করত, তাই বাড়তি চিন্তা নেই বিসিবির। ঢাকা লিগে যে আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে তা আগামী বিপিএল দিয়ে খুব সহজেই পুষিয়ে নিতে পারবে বলে জানিয়েছেন বিসিবি ফিন্যান্সিয়াল কমিটির প্রধান ইসমাইল হায়দার মল্লিক। তবে বিসিবি তাকিয়ে এশিয়া কাপ ও টি-২০ বিশ্বকাপে। মল্লিক বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের বড় ক্ষতি হচ্ছে না। পাকিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের সফর স্থগিত হয়েছে। সেগুলোর ব্যয় বহন করত সেই বোর্ড। আমাদের জন্য আইসিসি টুর্নামেন্ট এবং এশিয়া কাপ গুরুত্বপূর্ণ। এ অর্থবছরে হয়তো ২০-২৫ শতাংশ ক্ষতি হতে পারে যেটা খুব দ্রুতই পুষিয়ে নেয়া সম্ভব।’
মে মাসে অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফরে আসার কথা। নিউজিল্যান্ডেরও বাংলাদেশ সফরের সূচি রয়েছে। তাসমান পাড়ের দুই দেশের সফর স্থগিত হলে আর্থিক ক্ষতি হবে ঠিকই; কিন্তু বিসিবির শীর্ষ মহল সেগুলো নিয়েও চিন্তিত নয়। ম্যাচগুলো টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হওয়ায় ২০২২ সালের আগে যেকোনো সময় আয়োজন করা যাবে বলে বিশ্বাস করে বোর্ড। ইসমাইল হায়দারের কথা অনুযায়, ‘অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে সফর স্থগিত হলে দুই বছরের ভেতরে আয়োজন করতে হবে। সেগুলো টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। ম্যাচগুলো আমাদের এখানে এসে খেলতেই হবে। ফলে এখন আয়ের সুযোগ বন্ধ হলেও দ্রুত সময়ে আমরা সেগুলো আয়োজন করতে পারব।’
বিপিএলের শেষ আসর বিসিবি আয়োজন করেছে নিজস্ব খরচে। এ বছরের ডিসেম্বরে বিপিএল হতে পারে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের নিয়ে। ফ্র্যাঞ্চাইজিরা ফিরলে সব কিছু বাদ দিয়েও বিসিবির কোষাগরে জমা হবে প্রায় ২৫ কোটি টাকা।

 


আরো সংবাদ



premium cement