২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ফিট হওয়ার সুযোগ জনি ফাহাদদের

-

করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত সারা বিশ্ব। সাথে বাংলাদেশও। এর প্রভাবে খেলাধুলা বন্ধ সারা বিশ্বে। এই মহামারী সবার জন্য ভয়াবহ বিপদের কারণ হলেও কারো কারো জন্য আশীর্বাদ। বিশেষ করে ইনজুরিতে পড়া ফুটবলারদের জন্য। এই সুযোগে তারা ফিট হওয়ার জন্য দারুণ সময় পাচ্ছেন। বাংলাদেশের ফুটবলে তেমনই দুই ফুটবলার মাশুক মিয়া জনি এবং আতিকুর রহমান ফাহাদ। বসুন্ধরা কিংসের এই দুই গুরুত্বপূর্ণ মিডফিল্ডার আবার মাঠে ফেরার জন্য বাড়িতেই চালাচ্ছেন ফিটনেস ট্রেনিং। তাদের আশা আবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শুরু হলেই মাঠে নামতে পারবেন।
ইনজুরির জন্য শুধু বসুন্ধরা কিংসই নয় বাংলাদেশ দলও সার্ভিস পায়নি এই দুই ফুটবলারের। জনি হাঁটুর ইনজুরিতে ভুগছেন সেই গত সেপ্টেম্বর থেকে। দলের সাথে তিনি তাজিকিস্তান গিয়েছিলেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলতে। আগে থেকে পাওয়া চোট তখন আরো মারাত্মক আকার ধারণ করে। ফলে তাকে আর মাঠে নামাননি কোচ জেমি ডে। এরপর সেই যে তিনি মাঠেন বাইরে এখন পর্যন্ত আর মাঠে নামা হয়নি। অবশ্য তার প্রতি মানবিক আচরণ করেছে বসুন্ধরা কিংস। তাকে খেলাতে না পারলেও পারিশ্রমিক ঠিকই দিয়েছে। তার চিকিৎসার টাকা দিয়েছে ফিফাও।
ইনজুরি যেন পিছুই ছাড়ছে না ফাহাদের। ঢাকা আবাহনী ছেড়ে এবার তিনি যোগ দিয়েছেন বসুন্ধরা কিংসে। গত বছর আবাহনীর হয়ে ভারতের মাটিতে চেন্নাইয়ান এফসির বিপক্ষেএএফসি কাপের ম্যাচে হাঁটুর ইনজুরিতে পড়েন তিনি। অপারেশন করিয়েছেন। সেই ইনজুরি নিয়ে বসুন্ধরা কিংসে যোগ দিলেও সুস্থ হয়ে ফেডারেশন কাপে খেলেন মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে। কিন্তু ব্যথা দূর হচ্ছিল না। তাই ডাক্তারের পরামর্শে বিশ্রাম। ১৫ মার্চ অনুশীলনেও নামেন তিনি। তবে ১৭ মার্চ থেকে লিগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আর মাঠে নামা হয়নি তার। এখন এই দুই ফুটবলার নিজ নিজ জেলায় বাড়িতে করছেন অনুশীলন। লক্ষ্য একটাই, দ্রুত সুস্থ হয়ে আবার বলের লড়াইয়ে নামা। উল্লেখ্য ২০১৬ সালেও ইনজুরিতে পড়েন এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার।
জনির বাড়ি সিলেটে। সেখানে বাড়ির ছাদে আর বাসায় চলছে তার ফিটনেস ট্রেনিং। ২০১৫ সালে জাতীয় দলে ডাক পাওয়া এই ফুটবলার জানান, ‘আশা করি আগামী এক-দুই মাসের মধ্যেই ফিট হবো।’ এরপর একটু মজা করেই বললেন, করোনার কারণে খেলা বন্ধ থাকায় সুবিধা হলো আমার। আশা করি যখন খেলা ফের শুরু হবে তখনই মাঠে নামতে পারব। একই সুর ফাহাদেরও।
চট্টগ্রামের সন্তান আতিকুর রহমান ফাহাদ। তার অনুশীলনও চলছে বাড়ির ছাদে আর বাসা অভ্যন্তরে। জানান, আমি অনুশীলন শুরু করেছিলাম। পরে লিগ বন্ধ হওয়ায় আর খেলার সুযোগ হয়নি। এই সুযোগে আমি পুরোপুরি ফিট হওয়ার কাজ করছি। নিয়মিত ট্রেনিং করছি ম্যাচ ফিটনেস ফিরে পেতে। যোগ করেন, আশা করি লিগ পুনরায় শুরু হলেই খেলার সুযোগ হবে আমার। ২০১৪ সালে জাতীয় দলে ডাক পাওয়া ফাহাদ ২০১৮ সালের সাফে বাংলাদেশ দলে ছিলেন। খেলেছেন ২০১৪ এবং ২০১৮ এর এশিয়ান গেমস। জনির অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় দলের হয়ে দু’টি গোল আছে ২০১৫ সালে শ্রীলঙ্কা এবং ভুটানের বিপক্ষে। তার গোলেই ১-১ গোলে ড্র করা ভুটানের সাথে।


আরো সংবাদ



premium cement