২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ক্ষতি হচ্ছে দেশী ফুটবলারদেরও

-

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ স্থগিত। এই স্থগিতাবস্থা কত দিন চলে সেটারই অপেক্ষা। তবে এ নিয়ে বেশ বেকায়দায় পড়েছে ক্লাবগুলো। বিদেশী ফুটবলারদের সাথে তাদের এই মওসুম পর্যন্ত চুক্তি। তা মাস হিসাবে। লিগ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকা মানে বিদেশী ফুটবলারদের চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি পাওয়া। এটাই নিয়ম। না হলে বিকল্প কিছু। তবে টাকা নিয়ে আপাতত চিন্তা নেই অনেক দেশী ফুটবলারের। তারা তাদের চুক্তির বেশির ভাগ টাকাই অগ্রিম নিয়ে নিয়েছে। তা না হলে যে তারা ক্লাবের সাথে কথাই বলে না দলবদলের সময়। ফলে এবার যদি লিগ আর না গড়ায় মাঠে তাহলে তাদের তেমন টেনশনে থাকতে হবে না। অবশ্য যে টাকা বকেয়া আছে তা তারা আদৌ পাবে কি না সন্দেহ থাকছেই।
এ দেশের ফুটবল পেশাদারিত্ব ২০০৭ সাল থেকে আনার চেষ্টা করা হলেও আসলে তা কতটুকু পেশাদারি হয়েছে তা প্রশ্নসাপেক্ষই। প্রায় সর্বত্রই অপেশাদারিত্বের ছোঁয়া। এরই ধারাবাহিকতায় দলবদলের সময় দেশী ফুটবলারদের চুক্তির ৭০-৮০ ভাগ টাকা অগ্রিম দিয়ে দেয়া। কোনো ক্লাব যদি তাদেরকে এককালীন অগ্রিম টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়, চুক্তিবদ্ধ করতে চায় মাসিক বেতনে, তখন অন্য ক্লাব তাকে বেশির ভাগ টাকা অগ্রিম দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দলে টানে। এ কারণেই দেশী ফুটবলারদের মাসিক চুক্তিতে আনা যায় না। আবার পাল্টা যুক্তিও বিদ্যমান। মাসিক চুক্তি করে সেই ক্লাব যে ওই ফুটবলারকে প্রতি মাসে বেতন দেবে সে নিশ্চয়তা কোথায়। এখনো বহু ফুটবলার তাদের পাঁচ-ছয় বছর আগের ক্লাব থেকে চুক্তির টাকাই পায়নি। বাফুফেতে অভিযোগ জানিয়েও আশ্বাস ছাড়া কিছুই মেলেনি। তাই তারা নগদে যা পাবে এটাতেই বিশ্বাসী। এই নীতিতে তারা চুক্তির প্রায় সব টাকাই আগে নিয়ে নেয়।
বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান জানালেন, ‘তাদের দেশী ফুটবলাররা চুক্তির ৭০ ভাগ টাকাই নিয়ে নিয়েছে।’ সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার নাসিরউদ্দিন চৌধুরী তথ্য দেন, ‘আমাদের দলের স্থানীয় ফুটবলাররা তাদের চুক্তির আশি ভাগ টাকাই পেয়ে গেছে। আর এক ফুটবলারতো আমাদেরই ভুলে সাতানব্বই ভাগ অগ্রিম টাকা পেয়ে গেছে।’ উল্লেখ্য, সাইফ স্পোর্টিং একমাত্র জামাল ভূঁইয়া ছাড়া আর কোনো দেশী ফুটবলারই মাসিক চুক্তিতে বেতন নেন না। এতে অবশ্য জামালের লাভ। লিগ দীর্ঘায়িত হলে তার বেতন বেশি হয় মাস হিসেবে।
তবে সব ফুটবলারই যে চুক্তির বেশির ভাগ টাকা পেয়েছেন তা নয়। ব্রাদার্স ইউনিয়নের গোলরক্ষক তিতুমীর চৌধুরী টিটু জানান, ‘আমি ৩০ ভাগ টাকা পেয়েছি।’ তাই লিগ আর না হলে টিটুর মতো ফুটবলাররা বাকি টাকা কি পাবেন। তখন তাদের লোকসানই হবে।
তবে যেসব ক্লাবের ফুটবলাররা তাদের টাকার অধিকাংশই নিয়ে গেছেন, ‘করোনার কারণে এই মওসুমের লিগ আর না হলে তখন ক্লাবগুলোর এই ক্ষতির কী হবে। বসুন্ধরা কিংস সভাপতির মতে, এক পক্ষ লাভবান হবে আর অন্য পক্ষ ক্ষতির মুখে পড়বে তা তো হবে না। স্বার্থতো দেখতে হবে দুই পক্ষেরই।’ বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী জানান, আমাদের দুই পক্ষের কথাই ভাবতে হবে। করোনার কারণে যদি এবার লিগ আর না মাঠে গড়ায় তাহলে ফুটবলারদের সাথে ক্লাবদের চুক্তি বেড়ে যাবে। মানে তাদেরকে পরেও বর্তমান ক্লাবে খেলতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
চুয়াডাঙ্গায় হিট‌স্ট্রো‌কে যুবকের মৃত্যুর ৭ ঘণ্টা পর নারীর মৃত্যু ঢাকায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়াল, যশোরে দেশের সর্বোচ্চ ৪২.৬ শ্যালকদের কোপে দুলাভাই খুন : গ্রেফতার ৩ তীব্র গরমে কী খাবেন আর কী খাবেন না এবার তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইতে বললেন এমপি জয় পঞ্চপল্লীর ঘটনায় ন্যায়বিচারের স্বার্থে যা দরকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে করার নির্দেশ সরকার ভিন্ন মত ও পথের মানুষদের ওপর নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে : মির্জা ফখরুল ধুনটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু বাকৃবির এক্স রোটারেক্টরর্স ফোরামের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠিত পাবনায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড, হিট স্ট্রোকে মৃত্যু ১

সকল