২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

একটাই কথা মেনে চলুন নিয়ম

-

মহামারী রূপ নেয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে সারা বিশ্বে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। এমন সঙ্কটময় অবস্থায় টাইগার ক্রিকেটার মোস্তাফিজুর রহমান, সৌম্য সরকার, রুবেল হোসেন, তাসকিন আহমেদ, এনামুল হক বিজয়, মেহেদী হাসান মিরাজরা একটা কথাই বলছেন। সেটি হলো ঘরে থাকার এবং নিয়ম মেনে চলার।
মোস্তাফিজ : যারা বের হচ্ছেন, তাদের হয়তো সমস্যা হচ্ছে। আমি মনে করি, প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের না হওয়াটাই ভালো। যারা কম বেশি ঘুরতে যেত করোনাভাইরাসের কারণে তারাও দেখছি এখন ঘরে। সেভাবে বাসা থেকে বের হচ্ছে না কেউ। এটা ভালো লক্ষণ। এভাবেই আর ক’টা দিন থাকতে হবে। আতঙ্কিত বলতে শুধু আমি না, সবাই! একজনের হলে আরো অনেকের হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিভাবে নিজেকে নিরাপদ রাখা যায় সবার সে চেষ্টা করতে হবে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়াটা খুব জরুরি।
সৌম্য : এখন পর্যন্ত ঢাকাতে আছি। বাসা থেকে নিতান্তই প্রয়োজন ছাড়া বের হচ্ছি না। ঠিক গৃহবন্দী বলব না, যতটুকু নিরাপদ থাকা যায় সেভাবে দিন পার করছি। আপনারা জানেন যে, করোনাভাইরাস কিন্তু বিপজ্জনক। আমার মতো সবাই যেন সাবধানে থাকে, যে নিয়মগুলো বলা হচ্ছে তা যেন মেনে চলেন।
রুবেল : ভালো-খারাপ দুটোর মিশেলে আছি। ভাইরাসের কারণে দেশের অবস্থা খারাপ, তাই আমিও খারাপ আছি। ঢাকাতেই খুব সচেতনভাবে বাসায় আছি। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হই না। আতঙ্কিত না আমি শঙ্কিত। এটা ওপরওয়ালার হাতে। সচেতন থাকার যে নিয়মগুলো এসেছে সেগুলো মেনে চলছি। আমি বলব, সবাইকে সচেতন হতে হবে।
তাসকিন : করোনাভাইরাসের কারণে একটু ভয় তো লাগছেই। যতটুকু নিজেকে নিরাপদ রাখা সম্ভব সেভাবে চলাফেরা করছি। হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক ব্যবহার করছি। করোনাভাইরাস অনেক বড় একটা সমস্যা। নিজেকে নিরাপদ রাখার চেষ্টা করতে হবে। একজনের থেকে অন্য কারো হতে পারে। যাদের হয় তারা যদি সচেতন থাকে তাহলে আর কারো হবে না। বিদেশ থেকে যারা দেশে আসছে বিমানবন্দরে তাদের ঠিকমতো স্ক্যান করাটা জরুরি। হাত ধোয়া থেকে শুরু করে ছোটখাটো সব নিয়ম মেনে ঘরে থাকতে হবে।
বিজয় : করোনাভাইরাস নিয়ে আমি মোটেও আতঙ্কিত না। ভীতও না। ঘরেই অনুশীলন করছি নিয়মিত। অন্য সময় যেভাবে চলাফেরা করেছি সেভাবেই এখনো সবকিছু করা হচ্ছে। তবে নিয়মের মাঝে থেকে। লকডাউনে অনেকেরই অবস্থা বেগতিক। চেষ্টা করছি কিছু সাহায্য-সহযোগতিা করার। সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাব। আপনারাও সতর্ক হোন। ঘরে থাকুন। সবাই যেন নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে পারি। এটাও জরুরি।
মিরাজ : দেশের বাড়িতেই আছি। বাড়ির সামনে উঠোনে টুকটাক হাঁটাহাঁটি করি। যেখানে লোক সমাগম নেই। নিজেরা নিজেরাই। তবে মাঠে যাওয়া হচ্ছে না। বাড়িতেই ফিটনেস ঠিক রাখতে কাজ করছি। করোনাভাইরাস নিয়ে আমি আতঙ্কিত না। সত্যি বলতে কী, ওই রকম ভয়ও কাজ করছে না। সবাই দোয়া করছি। আল্লাহ যেন সবাইকে হেফাজত করেন। সবাই নিরাপদ থাকুক। ঘরে থাকুন। হাত ধুতে হবে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করুন। উনি যেন আমাদেরকে হেফাজতে রাখেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement

সকল