২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

৮৯ হাজার কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা

-

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রভাবে মৃত্যুর মিছিলের সাথে সাথে অর্থনৈতিক মেরুদণ্ডও নড়বড়ে হয়ে আসছে। ভালো নেই ক্রীড়া আসরগুলোও। অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে অনেক ক্রীড়া ইভেন্ট। এরই ধারাবাহিকতায় স্প্যানিশ ফুটবলের প্রভাবশালী লিগ ‘লা লিগা’-ই বড় ধরনের ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে করোনার কারণে।

প্রায় তিন সপ্তাহ বিশ্বের প্রায় সব ক্রীড়া আসর স্থগিত হয়েছে। লিওনেল মেসি, সার্জিও রামোসদের লিগও আপাতত মাঠে গড়াচ্ছে না। আর ভবিষ্যতে কবে গড়াবে সেই নিশ্চয়তাও নেই। তাই তো দিনে দিনে ক্ষতির পরিমাণ আরো বড় হচ্ছে।

স্প্যানিশ পত্রিকা মার্কা তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেÑ ২০১৯-২০ লা লিগা মৌসুম যদি মাঠে না গড়ায়, তবে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৬৪৮ মিলিয়ন ইউরো (বাংলাদেশী মুদ্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকার বেশি)। কোনো সন্দেহ নেই লা লিগা চাইবে চলমান মৌসুম শেষ করতে। আর এর জন্য সংগঠনটি উয়েফা, ফিফা, স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের (আরএফইএফ) সাথে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। তবে পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে গেলে ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়বে। আর এর অঙ্কটি দাঁড়াবে ৯৫৬.৬ মিলিয়ন ইউরোতে, যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৮৯ হাজার কোটি টাকা! মৌসুমের বাকি অংশ যদি দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় তবে ক্ষতির পরিমাণ নেমে আসবে ৩০৩.৪ মিলিয়ন ইউরোতে। আর স্বাভাবিকভাবে দর্শকদের সামনে খেলা হলে সেটি হবে ১৫৬.৪ মিলিয়ন ইউরো।

এখন মূল বিষয় হচ্ছে লা লিগা ও স্প্যানিশ ফুটবলার’স অ্যাসোসিয়েশন (এএফই) সিদ্ধান্ত নেবে তারা এই ক্ষতির কত অংশ ক্ল¬াব ও খেলোয়াড়দের থেকে কেটে নেবে। ধারণা করা হচ্ছে, খেলা একেবারেই মাঠে না গড়ালে খেলোয়াড়রা সবাই মিলে ক্ষতির ৪৭ শতাংশ (৪৫১ মিলিয়ন ইউরো) পুষিয়ে দেবে। দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলা হলে দিতে হবে ৪৬ শতাংশ (১৪০) অর্থ। আর খেলা স্বাভাবিকভাবে গড়ালে বেড়ে দাঁড়াবে ৪৯ শতাংশ (৭৭ মিলিয়ন ইউরো)।

স্প্যানিশ খেলোয়াড়দের সংগঠন এএফই’র প্রেসিডেন্ট দাভিদ অ্যাগাঞ্জো এমন ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। যেখানে তিনি ব্যাপারটি হাভিয়ার তেবাসকে জানাবেন। এ ছাড়া খেলোয়াড়দের সাথেও ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা করবেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement