২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

করোনা ও দল নিয়ে তামিমের ভাবনা

-

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডের আগে অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। মাশরাফির নেতৃত্ব ছাড়ার দুই দিন পরই বোর্ড সভায় নতুন অধিনায়ক হিসেবে তামিম ইকবালের নাম ঘোষণা করা হয়। ভারপ্রাপ্ত হিসেবে আরো দু’বার দায়িত্ব পালন করা খান সাহেব পূর্ণ দায়িত্ব পেয়ে জানালেন দলকে নিয়ে নিজের পরিকল্পনার কথা।
এ দিকে থমকে গেছে পুরো বিশ্ব। একের পর এক ব্যাহত হচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রীড়াযজ্ঞ। মরণভাইরাস কোভিড-১৯ এড়াতে বাংলাদেশের ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক সব ধরনের ক্রিকেটেই পড়েছে যতিচিহ্ন। অনির্দিষ্টকালের স্থগিতাবস্থা ও অনিশ্চয়তা। অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সামাল দিতে পুরো বাংলাদেশে চলছে দশ দিনের ছুটি। ফলে অন্যান্যদের মতো বাড়িতেই অলস সময় পার করছেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের সদ্য নিযুক্ত অধিনায়ক তামিম ইকবাল খান। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে কথা বললেন তিনি।
মহামারী করোনাভাইরাসের মোকাবেলায় বললেন, ‘আমি পুরোপুরিভাবে হোম কোয়ারেন্টিনে আছি, কারো সাথে দেখা করছি না। সৌভাগ্যবশত আমার বাড়িতে একটি ট্রেডমিল রয়েছে, এর দ্বারাই সকালে দৌড়ের কাজটি করে থাকি। দিনের বাকি অংশে শিশুদের সাথে কাটাই। করোনাভাইরাসে পুরো পৃথিবীতে অস্থির অবস্থা বিরাজ করছে। আমরা একত্রিত হয়ে কাজ করতে পারলেই কেবল এই মহামারী থেকে বাঁচতে পারব।
দলের নেতৃত্ব গ্রহণের পর নিজের ভাবনা নিয়ে তামিম বলেন, ‘আমাদের দলে দুই ধরনের ক্রিকেটার রয়েছেন। তাদের মধ্যে একদল একেবারেই নবীন, অন্যদল লিটন দাসের মতো- যারা চার-পাঁচ বছর ধরে দলে পারফর্ম করছেন। দলের নতুন অধিনায়কের অবশ্যই ভালো পারফর্ম করা খেলোয়াড়দের প্রত্যক্ষভাবে লক্ষ করতে হবে। সেসব বিষয় মাথায় রেখে দলের সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে বোর্ড আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে মাঠের বাইরেই সব ছক আঁকতে হবে। মাঠে থেকে আপনি পুরো পরিকল্পনা করতে পারবেন না। পরিকল্পনামাফিক এগোলে আশা করি সাফল্য পাবো।’
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অধিনায়কত্ব চ্যালেঞ্জিংই মনে করছেন তামিম, সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। বাংলাদেশ ক্রিকেটে ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব দেয়া নিঃসন্দেহে চ্যালেঞ্জিং। দায়িত্ব নেয়ার শুরুতেই অনেক বিষয় সামনে আসছে, নতুন অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফি ভাইয়ের জায়গা পূরণ করতে পারব না। তবে সমালোচনা কানে না নিয়ে নিজ দায়িত্বে পূর্ণ মনোযোগ দিতে চাই। পরিকল্পনামাফিক এগিয়ে যেতে পারলে আমি বিশ্বাস করি এই দলকে নিয়ে ভালো কিছু করা সম্ভব। অফ-ফর্মের পর ভাবতে পারিনি পুরনো রূপে ফেরতে পারব। নিজের পথে চলেছি। নেটে প্রচুর অনুশীলন করেছি, যেটি আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। অতীতে অনেক কিছু পেয়েছি। সামনের দিনগুলোকে আরো ভালো করে রাঙাতে চাই। নিজের সাথেই চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি।’
নবীনদের নিয়েও ভাবছেন এই ড্যাশিং ওপেনার, ‘দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়েরই উচিত নিজ পারফরম্যান্সে মনোযোগী হওয়া। আপনি যখন এক ম্যাচ ভালো খেলবেন, স্বাভাবিকভাবেই পরবর্তীতে ভালো করার আত্মবিশ্বাস চলে আসবে। যেমন ধরুন লিটন দাস, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচগুলো ফলো করলে দেখবেন সে প্রতিটি ম্যাচেই ৭০-৮০ রান রাখার চেষ্টা করে। দিনদিনই তার রানক্ষুধা বাড়ছে। প্রত্যেক খেলোয়াড়ের মধ্যেই এমনটা দেখতে আমি পছন্দ করব। মুশফিকুর রহীমও উৎকৃষ্ট উদাহরণ। নিজের পারফরম্যান্সে সে কখনোই সন্তুষ্ট থাকে না। ভালো করার জন্য সে প্রচুর পরিশ্রম করে থাকে। আর যখন ভালো করে, তখন নিজের পারফরম্যান্সে আরো উন্নতি করতে চেষ্টা করে। প্রত্যেক খেলোয়াড়ই যদি লিটন-মুশফিকের মতো করে চিন্তা করে, তাহলে অধিনায়ক, কোচিং স্টাফ তথা সবার জন্যই বিষয়টা সহজ হয়ে দাঁড়াবে।’
করোনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশীয় ক্রিকেটে পড়েছে নিষেধাজ্ঞা। কোভিড-১৯-এর তোপে দেশে অস্থির অবস্থা বিরাজ করছে। দেশের এমন টালমাটাল অবস্থায় তামিম ইকবালের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা প্রধানমন্ত্রীর দুর্যোগ খাতে প্রায় ২৬ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন। আর ব্যক্তিগতভাবেও চট্টগ্রামে অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছেন এই ওপেনার। করোনা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানান তিনি। তবে সচেতন থাকার অনুরোধ জানান।
তার কথায়, ‘আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত বিষয়টি আমলে না নিবো ততক্ষণ পর্যন্ত বিপদ পিছু ছাড়বে না। পুলিশ কেন লাঠিপেটা করবে, সেনাবাহিনী কেন মাঠে নামবে। আমরা নিজেরা বুঝতে পারছি না বলেই তো এমন হচ্ছে। সরকার ঘোষণা দিয়েছে ১০ দিন ছুটি। কিন্তু আমরা কী করেছি- লঞ্চ, বাস স্টপিজ, রেল স্টেশনে কী দেখেছি। ভাবতেই তো শিউরে উঠছি। আমাদের সচেতন হতে হবে। তাহলেই দ্রুত বিপদ কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। হাত ধোয়া, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, জনসমাগম এড়িয়ে চলা, বিনা কারণে বাসা থেকে বের না হওয়া এই কয়েকটি ব্যাপার মেনে চললেই তো সমস্যা গুরুতর হয় না। আমরা কেন বুঝতে পারছি না। তবে হ্যাঁ, নিম্ন আয়ের মানুষদের কথাও ভাবতে হবে। যারা দিন আনে দিন খায় তাদের বুঝাতে হবে। সরকার যথাসম্ভব চেষ্টা করছে সাহায্য করার। গতকাল একজন রিকশাওয়ালাকে দেখলাম মুখোশ চশমা হ্যান্ড গ্লাভস লাগিয়ে রিকশা চালাচ্ছে। এ থেকে অন্যরা শিখতে পারে। সর্বোপরি আল্লাহর কাছে পানা চাইতে হবে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে মাফ করুন।’


আরো সংবাদ



premium cement
এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন : প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি আহসান উল্লাহ ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি আনোয়ারায় বর্তমান স্বামীর হাতে সাবেক স্বামী খুন, গ্রেফতার ৩ ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বদরের শিক্ষায় ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : সেলিম উদ্দিন ইসলামের বিজয়ই বদরের মূল চেতনা : ছাত্রশিবির পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের মৃত্যু : বিশ্বব্যাংক নোয়াখালীতে ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ‘আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ল’ ইয়ার্স কাউন্সিল কাজ করে যাচ্ছে’ পুকুরে পাওয়া গেল ১০০ ইলিশ

সকল