২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
বাফুফে নির্বাচন

কাউন্সিলরদের নাম পাঠানোর সময় বাড়ল

-

করোনার ভয়াবহতায় গত পরশু স্থগিত হয়ে গেছে বাফুফের নির্বাচন। প্রস্তাবিত ২০ এপ্রিলের অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন কবে হবে তা নির্ভর করছে ফিফার দিক নির্দেশনার ওপর। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ জানান, ‘আরো এক সপ্তাহ লেগে যেতে পাবে ফিফার মতামত আসতে। আমরা এরই মধ্যে তাদের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও দায়িত্বশীলদের সাথে কথা বলেছি। এখন ফিফা বন্ধ। আশা করি এক সপ্তাহের মধ্যেই ফিফার দিকনির্দেশনা পেয়ে যাব।’ বাফুফে অবশ্য বসে নেই কবে ফিফা মতামত জানাবে তার অপেক্ষায়। তারা তাদের মতো করে নির্বাচনের সব কাজ সম্পন্ন করে রাখছে। ৩০ মার্চ ছিল কাউন্সিলরদের নাম পাঠানোর শেষ সময়। এখন সে সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী জানান, আমরা এই সময় ৭ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছি। প্রয়োজনে আরো সময় দেয়া যেতে পারে। সব কিছুই পরিস্থিতির ওপর নির্ভরশীল। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এই এই তথ্য জানানো হয়। করোনার ভয়াবহতায় আগের দিন বাফুফের সভা হয়েছিল অনলাইনে। তবে কাল ঠিকই হলো সংবাদ সম্মেলন। এর কারণ ব্যাখা করে সালাম মুর্শেদী জানান, এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নির্বাচন স্থগিতের কারণ মিডিয়ার মাধ্যমে সবাইকে জানাতেই সংবাদ সম্মেলন।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বর্তমান কমিটির মেয়াদ ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত আছে। তাই বাফুফে এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিতেই ২০ এপ্রিল তারিখ নির্ধারণ করে। এখন তাদের নির্বাচন স্থগিতের আবেদন ফিফা গ্রহণ করলে এবং নতুন তারিখ ৩০ এপ্রিলের পরে দিলে স্বাভাবিকভাবেই মেয়াদ বাড়বে এই কমিটির। এমনটাই জানালেন সালাম মুর্শেদী। উল্লেখ্য, গঠনতন্ত্রের ৮৪ ধারার সূত্র ধরে অনিবার্য পরিস্থিতিতে স্থগিত নির্বাচন। কারণ সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশও করোনা মহামারিতে আক্রান্ত। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগেও বাফুফের আগের কমিটির মেয়াদ বাড়িয়েছিল ফিফা। তা ছিল যৌক্তিক কারণ। এই ধরনের গ্রহণযোগ্য কারণ হলে ফিফা মেয়াদ শেষেও কমিটিকে থাকতে দেয়। তবে ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়ে রক্ষা নেই।
নির্বাচন স্থগিত হলেও কাউন্সিলরদের নাম পাঠানোর প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা হয়েছে। এটাওতো স্থগিত করা যেত। বাফুফের এই দ্বিতীয় শীর্ষ কর্মকর্তার মতে, আমরা আমাদের কাজ সম্পন্ন করে রাখতে চাই। যাতে নির্বাচন কমিশনের কাছে সব চূড়ান্ত করে তা তুলে দিতে পারি। আমরা নতুন নির্বাচিত কমিটির হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে চাই।
নির্বাচন ঘনিয়ে এলেও অনেক জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনে (ডিএফএ) নির্বাচন হয়নি। যার অর্থ তাদের নতুন কমিটিও নেই। এই ডিএফএগুলোর কাউন্সিলর কে হবে সেটাও প্রশ্ন। সামাল মুর্শেদীর মতে, এই সব ডিএফএগুলো তাদের সভাপতি কর্তৃক গঠিত কমিটির মাধ্যমে নতুন কাউন্সিলর নির্বাচন করবে। এখন পর্যন্ত বাফুফের ৮০ ভাগ অধিভুক্ত সংস্থা তাদের কাউন্সিলরদের নাম জমা দিয়েছে। নির্বাচনে ১৪০ জনের মতো কাউন্সিলরের ভোটাধিকার আছে।


আরো সংবাদ



premium cement