২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নিজেদের ফিটনেসেও সচেতন বিদেশী কোচরা

-

টানা এক সপ্তাহ ঘরে আটকা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের বিদেশী কোচরা। কেউ হোটেলে। কেউবা ফ্ল্যাটে। করোনার কারণে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ বন্ধ। ফলে দেশী ফুটবলাররা যার বাড়ি চলে গেছেন। কারণে লিগ বন্ধের পর ক্যাম্পও বন্ধ। তবে দেশে যাওয়ার ফ্লাইট না থাকায় বিদেশী ফুটবলাররা ঢাকাতেই অবস্থান করছেন। বাংলাদেশ ছেড়ে যদি তারা যানও স্বদেশে তাদের ১৪ দিন কোয়ারিন্টিনে থাকতে হবে। এতে ফিটনেসটা একেবারেই চলে যাবে। আবার তার দেশ থেকে বাংলাদেশে এলেও ১৪ দিনের কোয়ারিন্টিন। এই সব কারণে তাদের যাওয়ার রাস্তা রুদ্ধ। ভিন দেশী এই ফুটবলারদের সাথে বিভিন্ন ক্লাবের বিদেশী কোচরাও আটকা পড়েছেন বাংলাদেশে। দলের অনুশীলনের সময় এই কোচরাও তাদের ফিটনেস ধরে রাখতে অনুশীলন করতেন। এখন তারা হোটেলে বা রাস্তায় এই ফিটনেস পর্ব সারছেন। এই তালিকায় ঢাকা আবাহনীর কোচ মারিও লেমস এবং বসুন্ধরা কিংসের স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজন।
মারিও লেমস জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে আমি কার্যত হোটেল লা ভিঞ্চির রুমে আটকা। মাঝে শুধু এক দিন একটি টিভি চ্যানেলে টকশো করতে গিয়েছি।’ রুমে বন্দী জীবনকে বিরক্তিকর বললেও এখন জীবনের নিরাপত্তাই বেশি জরুরি বলে জানান তিনি। সাথে এত দিনের তীব্র ট্রাফিক জ্যাম আর কোলাহলপূর্ণ ঢাকা শহরের ফাঁকা দৃশ্যকে একেবারেই বেমানান বললেন তিনি।
আবাহনীর ফুটবলারদের যার যার বাড়িতে ফিট থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন কোচ। আর বিদেশীরা ক্লাব টেন্টে বা যার যার ফ্ল্যাটে। তারাও সেখানে ফিটনেট ট্রেনিং করছেন। কোচ লেমস তার ফিটনেস ধরে রাখতে ব্যবহার করছেন হোটেলের জিমন্যাসিয়ামকে। এখানেই প্রতিদিন ব্যায়াম করছেন। তথ্য দেন তিনি।
সব ঠিক থাকলে এখন বাংলাদেশে আসার কথা ছিল বসুন্ধরা কিংসের কোচ অস্কার ব্রুজনের স্ত্রী। কিন্তু করোনায় বিপর্যস্ত স্পেনের সব ফ্লাইটই বন্ধ। তাই আসা হচ্ছে না অস্কারের স্ত্রীর। আপাতত কর্মহীন অস্কারের বাসায় ‘আটকা’ জীবন কাটছে প্রতিদিন সকালে মিনিট বিশেকের জন্য রাস্তায় জগিং করে। এবং মাঝে মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য দোকানে যাওয়া। এই স্প্যানিশ জানান, ফিটনেস ধরে রাখতে আমি জগিং করছি প্রতিদিন।
লেমস এবং অস্কার দু’জনই এখন জানতে চান আসলে কবে শুরু হবে বাংলাদেশের ফুটবল । না হলে পরিষ্কার বলে যেন বলে দেয় ওই সময় পর্যন্ত বন্ধ খেলা। এই ঘোষণার দিকেই তাকিয়ে তারা। অপেক্ষা করছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন, ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং সরকার শিগগিরই এই ঘোষণা দেবেন।
আবাহনীর কোচ মারিও লেমসের বাড়ি পর্তুগালে। করোনায়ভাইরাসে আক্রান্ত আটলান্টিক পাড়ের এই দেশও। গতকাল পর্যন্ত সেখানে মারা গেছে ৭৬ জন। আক্রান্ত চার হাজার ২৬৮ জন। লেমসের বাড়ি পর্তুগালের দক্ষিণাঞ্চলে। তার এলাকায় করোনা আক্রান্ত রোগী থাকলেও এখনো তার পরিবার নিরাপদ। লেমস জানান, ‘পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে অবস্থান করছেন। মেনে চলছেন সব কিছু। তাই এখনো নিরাপদ।’ অস্কার ব্রুজনের বাড়ি স্পেনের ভিগোতে। সেখানে তার পরিবার বাড়িতেই অবস্থান করছেন। এক ভাই রাজধানী মাদ্রিদে ব্যাংককে চাকরি করেন। তারা সব মেনে চলায় এখন পর্যন্ত নিরাপদে আছেন। জানান তিনি। উল্লেখ্য, স্পেনে গতকাল পর্যন্ত করোনায় তিন হাজার ২৯৫ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত ৮১ হাজার ৩৯৪ জন।

 


আরো সংবাদ



premium cement