১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

২০ এপ্রিল বাফুফের নির্বাচন

-

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩০ এপ্রিল। এর আগেই নির্বাচন দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। গতকাল বাফুফের সভায় এই ঘোষণারই ফলশ্রুতি। মেয়াদ শেষের ১০ দিন আগেই অনুষ্ঠিত হবে আগামী নির্বাচন। সভা শেষে বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী জানান, ‘২০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে বাফুফের নির্বাচন।’ এত আগে করার কারণও ব্যাখ্যা করলেন তিনি। ‘এপ্রিলের ২৪-২৫ তারিখে রোজা শুরু হয়ে যাবে। তাই এর আগেই নির্বাচন দেয়া হয়েছে। এটা কাউন্সিলরদের সুবিধার জন্যই।’
২০০৮ ও ২০১২ সালের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল বাফুফে ভবনেই। তবে ২০১৬ সালে বাফুফে ভবনে নির্বাচন আয়োজন করার মতো পরিবেশ ছিল না। নানা নেতিবাচক কর্মকাণ্ড নির্বাচনী পরিবেশকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। তাই বাফুফের কাউন্সিলরদের ভোটাভুটির জন্য হোটেল রেডিসনকে বাছাই করা হয়। অনেকের মতো ওই পাঁচতারকা হোটেলে নির্বাচন হওয়ায় কোনো বড় ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। এর পরও প্রার্থীদের অপমানজনক পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছিল। এবার অবশ্য সেই পরিস্থিতি নেই। গত নির্বাচনের সময় নোংরামির যাবতীয় কলকাঠি নাড়ানোদের কেউ কারাগারে। কেউ পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। কারো কারো আগের সেই ক্ষমতা নেই। আর কাজী সালাউদ্দিনের বিপক্ষে সভাপতি পদে প্রবল যে প্রার্থী ছিলেন সেই তরফদার রুহুল আমিন নিজ থেকেই সরে গেছেন। সব মিলিয়ে এবার নির্বাচনের পরিবেশ অনুকূলে। তাই সম্ভবত বাফুফের পরবর্তী মেয়াদের কমিটি নির্বাচনের ভোটাভুটিটা বাফুফে ভবনেই হবো। সালাম মুর্শেদীর জবাব, ‘এবার কোনো ঝুঁকি নেই। কাউন্সিলরারা ভদ্র। কোনো সমস্যার আশঙ্কা নেই। তাই আমাদের ভবনেই হবে নির্বাচন।’
বাফুফের প্রায় দেড় শ’ কাউন্সিলর। তবে সবার ভোটধিকার নেই। যেমন সার্ভিসেস গুলো। এর মধ্যে শুধু বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল দল ছাড়া। তারা পেশাদার ফুটবল খেলছে। তাই পুলিশ ফুটবল দল থেকে কাউন্সিলর ভোট দিতে পারবেন। তবে বাফুফের নির্বাচনে ভোট দিতে পারা কাউন্সিলরদের সংখ্যা ১৩৮-১৪০ এর মধ্যেই থাকে। জানান বাফুফে সেক্রেটারি আবু নাঈম সোহাগ। আগামী নির্বাচনে কারা কারা কাউন্সিলর হবেন তা ভোটের এক মাস আগেই চূড়ান্ত করবে বাফুফে। নির্বাচনের জন্য তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশনও গঠিত হয়েছে। এই কমিশন আগের দুই নির্বাচেনও দায়িত্ব পালন করেন। তারা হলেনÑ প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন, মাহফুজুর রহমান সিদ্দিকী ও মোতাহার হোসেন সাজু।
সভাপতি পদে কাজী সালাউদ্দিন নির্বাচন করবেন এটা আগেই জানিয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আর কেউ না থাকলে বাদল রায় এই পদে দাঁড়াবেন। তা তার পূর্ব ঘোষণা। গতকাল বাফুফে ভবনে সভা শেষে বাদল রায় ফের উল্লেখ করেন, ‘আমি সভাপতি পদে দাঁড়াবোই। কমিটির সবাই সভাপতি পদে পরিবর্তন চায়।’ গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল, আবদুস সালাম মুর্শেদী সভাপতি পদে নির্বাচন করতে পারেন। কাল তিনি অবশ্য এই সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিলেন। জানান, ‘আমি সালাউদ্দিন ভাইয়ের সাথে আছি। উনি তো আমার চেয়ে সব দিক থেকে এগিয়ে।’ কাদের নিয়ে এবার সালাউদ্দিন প্যানেল দিবেন তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে সমালোচনা করা কয়েকজন ছাড়া অন্যদের নিয়েই প্যানেল হবে। এমনটা জানা গেছে। অবশ্য সমালোচনা করা দু-একজন আবার গদির জন্য সুর পাল্টে হাত মেলানোর চেষ্টা করছেন সালাউদ্দিনের সাথে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে তা।
বর্তমান কমিটির কাজ নিয়ে অনেক সমালোচনা হলেও সালাম মুর্শেদী উল্লেখ করেন, আমাদের সময়ে তো সব খেলাই হয়েছে। কোনো আন্তর্জাতিক আসর বাদ যায়নি। তবে সিনিয়র জাতীয় দল রেজাল্ট না পেলেও বয়সভিত্তিক সব দলই ভালো করেছে। আমরা এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই।


আরো সংবাদ



premium cement
তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে বিএনপি : কাদের রৌমারীতে বড়াইবাড়ী সীমান্তযুদ্ধ দিবস পালিত

সকল