২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

তাদের ফুটবল ক্যারিয়ারই শেষ?

-

বেশ আগেই মহিলা লিগ থেকে বাদ দেয়া হয় স্বপ্নচূড়া অ্যান্ড আক্কেলপুর ফুটবল অ্যাকাডেমিকে। তা তাদের কর্মকর্তাদের স্পষ্ট দ্বন্দ্বের কারণে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পাঁচ-ছয় দিন হলো ক্যাম্প বন্ধ সুনামগঞ্জের এই ফুটবল ক্লাবের। অবশ্য আজ থেকে শুরু হওয়া এবারের লিগ উপলক্ষে তাদের ক্যাম্প করা হয়েছিল মিরপুরে; কিন্তু গতকাল হঠাৎ বাফুফে ভবনে এসে হাজির এই দলের মহিলা ফুটবলাররা। উদ্দেশ্য, মাহফুজা আক্তার কিরনের সাথে সাক্ষাৎ। ম্যানেজার রাকিব আহমেদ তাদের নিয়ে আসেন। তবে দলের সাথে উপস্থিত ছিলেন না সাধারণ সম্পাদক সাবেক ফুটবলার কায়সার হামিদ ও কোচ ছাইদ হাছান কানন। বুঝাই যাচ্ছিল অন্য কোনো উদ্দেশ্যে তাদের বাফুফে ভবনে পাঠানো। তবে যে উদ্দেশ্যেই শাপলা খাতুন, উমা রানী, সুবর্ণা আক্তার ইমাদের পাঠানো হোক না কেন এবারের লিগ না খেলার ফলে হয়তো এদের ফুটবল ক্যারিয়ারেরই ইতি ঘটবে। এমন আশঙ্কার কথা জানালেন এই ফুটবলাররা।
বাফুফে সেক্রেটারি আবু নাঈম সোহাগ জানান, ‘আমরা খুব খুশি হয়েছিলাম স্বপ্নচূড়া আক্কেলপুর এবারের লিগে অংশ নেয়ায়। তবে তাদের কর্মকর্তাদের দ্বন্দ্বের কারণে আমাদের মনে হলো লিগের মাঝপথে না দলটি ওয়াকওভার দেয়। তাই তাদের বাদ দেয়া।’ বাফুফের মহিলা কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরন জানান, আমরা এই মহিলা ফুটবলারদের বিষয় মাথায় রেখেছি। তাদের আগামীতে ট্রায়ালে ডাকা হবে।
তবে লিগ খেলতে না পেরে চরম হতাশ দলটির মহিলা ফুটবলাররা। অধিনায়ক উমা রানী দাস জানান, ‘আমরা অনেক আশা নিয়ে ঢাকায় এসেছিলাম লিগ খেলতে। এখন আমরা যদি না খেলেই বাড়ি ফিরে যাই তাহলে আর ফুটবল খেলা হবে না। ফুটবল ক্যারিয়ারই ধ্বংস হয়ে যাবে। আমরা খেলতে চাই। আমাদের আকুতি যেন বাফুফে শোনে।’ শাপলা খাতুনের মতে, ‘ক্লাবের ম্যানেজমেন্টের সমস্যা আছে; কিন্তু আমাদের কেন শাস্তি পেতে হবে।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে সুবর্ণা আক্তার ইমা বললেন, ‘আমাদের কী অপরাধ। কী নিয়ে আমরা বাড়ি ফিরে যাবো। এই লিগ খেলে আমরা আরো বড় ফুটবলার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে চেয়েছিলাম, যা আমাদের আয়ও বাড়িয়ে দিত। লক্ষ্য ছিল এর মাধ্যমে জাতীয় দলে খেলব; কিন্তু এখন তা আর হলো না।’

 


আরো সংবাদ



premium cement