২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

গেমসে সব কিছু পজিটিভ দেখছেন শাহেদ রেজা

-

নেপালে হতে যাওয়া ১৩তম এসএ গেমস নিয়ে জল কম ঘোলা হয়নি। আসরের সঠিক তারিখ পর্যন্ত চূড়ান্ত ছিল না। সঠিক সময়ে গেমসকে নিয়ে, কতই না জল ঘোলা। আয়োজক দেশ নেপালের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রনালয়ের অপারগতায় দফায় দফায় পিছিয়েছে তারিখ। শঙ্কা ছিল ডিসেম্বরে মাঠে গড়ানো নিয়েও। তবে সব শঙ্কা দূর করে দিলেন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব শাহেদ রেজা। নির্ধারিত সময়েই (১-১০ ডিসেম্বর) হবে উদ্বোধন ও ক্লোজিং। তার আগে ২৭ ও ২৯ নভেম্বর হবে ভলিবল ও উশু।
১৩তম সাউথ এশিয়ান গেমসের জন্য এখন প্রস্তুত নেপালের পোখারা আর কাঠমান্ডু। শেষ মুহূর্তে চলছে রঙ-পলিশ আর সাজসজ্জার কাজ। ঢেলে সাজানো হয়েছে দুই শহরের স্পোর্টস কমপ্লেক্সগুলোকে। নেপালে এসএ গেমসের সার্বিক প্রস্তুতি ও বিভিন্ন ভেনু পরিদর্শন শেষে, দেশে ফিরে এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা। গত কয়েক আসরের চেয়ে বাংলাদেশের অ্যাথলেটরা এবার আরো ভালো করবে বলে বিশ্বাস রয়েছে তার।
ভারত ১০টি ডিসিপ্লিনে অংশ নিবে না বলে বাংলাদেশের জন্য কতটা সহজ হবে বলে মনে করেন। জবাবে শাহেদ রেজা বলেন, ‘কে আসবে কে আসবে না সেটি আমাদের দেখার বিষয় নয়। কারো যদি কোনো ডিসিপ্লিনে নিষেধাজ্ঞা থেকেও থাকে সেটি সে দেশের কোর্ট বুঝবে। পাকিস্তান, ভারত, নেপাল, মালদ্বীপ, ভুটান সবাই একসাথে আলোচনা করেছি। খেলার সাথে রাজনীতির মেলবন্ধন না ঘটানোই উত্তম। খেলা নিয়েই আলোচনা ছাড়া অন্য কোনো বিষয় ওঠেনি। পদক জিততে হলে সবাইকে হারানোর মানসিকতা থাকতে হবে। যার যার প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে যাবো। কোন দেশ এলো না বলে নিজেদের প্রস্তুতিতে ঘাটতি হওয়ার কথা নয়। গতবার যা পারফর্ম হয়েছে তার চেয়ে ভালো হবে।
তিনি আরো বলেন, ‘গতবার আমরা যে ট্রেনিং করিয়েছি এবার তার চেয়ে বেশি সুযোগ সুবিধা দিয়েই অনুশীলন করানো হয়েছে। অনেকগুলো দল বিদেশে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। কিছু ডিসিপ্লিনে বিদেশী কোচ এনে দিয়েছি। সে ক্ষেত্রে বলতে পারি গতবারের চেয়ে ভালো করবে।’
আট বছর পর আমরা বাংলাদেশে গেমস করেছি। ভারত করেছে ছয় বছর পর। এবার নেপাল করতে যাচ্ছে তিন বছর পর। সংবিধান অনুযায়ি পরবর্তী বছর পাকিস্তানে হওয়ার কথা ১৪তম আসর। তারা যদি প্রস্তুত না থাকে শ্রীলঙ্কায় হতে পারে গেমস। এবার আফগানিস্তান নেই। তাদেকে সেন্ট্রাল এশিয়ায় পাঠানো হয়েছে। সভায় আমরা সবাই উপস্থিত ছিলাম আলোচনা করেছি। সবাই মিলে বিভিন্ন ভেনু পরিদর্শন করেছি। কিছু মিডিয়ায় গেমস পেছানোর খবর চাউর হয়েছে। আমি বুঝি না তারা কোথায় পায় এই খবরগুলো। অলিম্পিক থেকে যতক্ষণ পর্যন্ত কোনো বিজ্ঞপ্তি না যায় ততক্ষণ পর্যন্ত এসব খবরের কোনো ভিত্তি নেই।
কন্ডিশনের ব্যাপারে তেমন কোনো অসুবিধা দেখছি না। তবে হ্যাঁ ডিসেম্বরে সকালে ও রাতে শীত কিছুটা বেশি থাকবে। তার পরও ফেডারেশনগুলো যদি আগে যেতে চায় তা হলেও কোনো সমস্যা নয়। আয়োজকরা ভেনু দেবে, থাকার জায়গাও দেবে। আয়োজকদের সাথে এ বিষয়ে আলাপ হয়েছে। গত আসরে ১৮৮টি স্বর্ণের মধ্যে মাত্র চারটি জিতেছিল বাংলাদেশের অ্যাথলেটরা। এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। কারণ ২৭ ইভেন্টের ১০টিতেই অংশ নিচ্ছে না ভারত। তবে এটাকে কোনো সুযোগ হিসেবে দেখতে নারাজ বিওএর মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা। তিনি বলেন, আগের যেকোনো সময়ের তুলনায়, এবার লাল-সবুজের প্রস্তুতি বেশ সমৃদ্ধ। এবারের এসএ গেমসে ২৭টি ডিসিপ্লিনে এক হাজার ১৩৫ পদকের জন্য লড়বেন তিন হাজারের বেশি অ্যাথলেট। যেখানে ২৫টি ডিসিপ্লিনে বাংলাদেশ থেকে অংশ নেবেন ৫৯১ জন।


আরো সংবাদ



premium cement