২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

সিলেটেও হতে পারে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ

-

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন এখনো চূড়ান্ত করেনি কয় দল নিয়ে হবে এবারের বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল। প্রথমে চার দলের কথা বলা হলেও পরে ছয় দল নিয়ে করার চিন্তাভাবনা। অবশ্য বিদেশী দলগুলোর মধ্যে এখনো পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা ও মঙ্গোলিয়া তাদের অংশগ্রহণের কথা নিশ্চিত করেছে। বাফুফের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ চলছে ভুটান, পূর্ব তিমুর, লাওস ও কম্বোডিয়ার সাথে। খরচ কমানোর জন্য বাফুফে এবারের আসর শুধু ঢাকাতে করার ঘোষণা দিলেও এখন বাড়তে পারে ভেনু। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সাথে খেলা হতে পারে সিলেটেও। যদিও সেই সম্ভাবনাকে ক্ষীণ বলে উল্লেখ করলেন বাফুফে সেক্রেটারি আবু নাঈম সোহাগ। হলেও এক গ্রুপের ম্যাচ হবে সেখানে। সোমবার এই টুর্নামেন্ট নিয়ে বাফুফের সভা। সেখানে দল দল এবং ভেনু চূড়ান্ত হবে। তথ্য দেন সোহাগ। এর আগেই প্রত্যাশামাফিক দলের নাম চূড়ান্ত হবে।
চার দলের টুর্নামেন্ট হলে সিঙ্গেল লিগ শেষে পয়েন্ট তালিকার সেরা দুই দল নিয়ে ফাইনাল ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা বাফুফের। ছয় দল অংশ নিলে তিন দলকে নিয়ে একটি করে গ্রুপ। এরপর সেমিফাইনাল ও ফাইনাল। বাফুফের এবারের টার্গেট, বাংলাদেশ দলকে আসরের ফাইনালে দেখা। এর উদ্দেশ্য দু’টি। গ্রুপ ও সেমিফাইনাল ম্যাচ জিতলে লাল-সবুজদের র্যাংকিং বাড়বে। সেই সাথে ফাইনালে জামাল ভূইয়াদের উপস্থিতি মানে গ্যালারি ভর্তি দর্শক। আর শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে জেতা মানে প্রথমবারের মতো এই টুর্নামেন্টের শিরোপা নিজেদের কাছে রাখা। ভুটানের বিপক্ষে দুই প্রীতি ম্যাচে জয়ের পর বাংলাদেশের র্যাংকিং পাঁচ ধাপ এগিয়েছে। এটা বাফুফেকে বাড়তি উৎসাহ জোগাচ্ছে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে সেই মানের দল আনা, যাদের বিপক্ষে জেতা সম্ভব বাংলাদেশের, যা র্যাংকিং ও ফুটবলারদের আত্মবিশ^াস বাড়াবে বহু গুণ।
অবশ্য বিশ^কাপ ফুটবল বাছাই এবং স্থানীয় লিগ নিয়ে ব্যস্ত এশিয়ার সব দেশের ফুটবল ফেডারেশন। সে কারণে এবার দল পেতে বেগ পেতে হচ্ছে বাফুফেকে। অবশ্য এশিয়ার ফুটবল এখন আর সেই পর্যায়ে নেই যে বলে কয়ে বাংলাদেশ হারাতে পারবে কোনো দলকে। লাওস ও কম্বোডিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ দুই ম্যাচে লাল-সবুজদের জিততে হয়েছিল ১-০তে।
২১-২৯ নভেম্বর এবারের বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের শিডিউল। এর পরেই বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে দৌড়াতে হবে নেপালে। সেখানে ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে এবারের এসএ গেমসের ফুটবল। যদি বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনালে খেলে এবং এসএ গেমসে তাদের খেলা ১ ডিসেম্বর পড়ে তাহলে দুই আসরের মাঝে বিশ্রামের কোনো সময়ই পাবে না ফুটবলাররা। এক আসর খেলে পরের দিনই তাদের নেপালগামী বিমানে উঠতে হবে। সেই সাথে নেপালগামী বিমানের টিকিট প্রাপ্তির বিষয়ও জড়িত। যদিও বাফুফে ৩০ নভেম্বরের কাঠমান্ডুগামী বিমানের টিকিট বুকিং দিয়ে রেখেছে।


আরো সংবাদ



premium cement