১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ব্যাডমিন্টনে মারামারি : পুরুষ দলের ক্যাম্প বর্জন

-

আদর্শ এ খেলাটি এখন হুমকির মুখে। কয়েক দিন পরপরই বিভিন্ন রকম ঝামেলায় অস্থির ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন। কেউ কাউকে মানছে না। সবাই চাইছে কর্তৃত্ব। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন বাহার ব্যাডমিন্টনের লোক নন বলে সবাই নানা রকম কূটকৌশলে নিজেদের পক্ষে নিতে চাইছে ফোরাম থেকে মনোনীত হওয়া এ ব্যক্তিটিকে। এবার ঘটল আরো বড় ঘটনা। ব্যাডমিন্টন ম্যাটে প্র্যাকটিস করা নিয়ে হয়ে গেল গুরু শিষ্য মারামারি। থানা পুলিশও হলো। এ দিকে বিকেলে সরেজমিন দেখা গেল এসএস গেমস উপলক্ষে জাতীয় দলের মহিলা সদস্যরা পূর্ণোদ্যমে অনুশীলন করলেও পুরুষ সদস্যরা অনুশীলন বর্জন করেছে।
মারামারি বিষয়ে জাতীয় দলের বর্তমান কোচ মারুফ জানান, ‘ফেডারেশনের সদস্য জাহিদুল হক কচির শিডিউল টাইম ছিল সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৮টা। তিনি দায়িত্ব দেন জাকারিয়া নামে খেলোয়াড় কাম কোচকে। জাকারিয়ার পর্ব শেষ হলে সাড়ে ৮টা থেকে শিডিউল ছিল আমার। তাকে মাঠ ছাড়তে বললে সে ছাড়েনি। এ নিয়ে কিছুটা বাগি¦তণ্ডা হয়। পরে সে বাইরে গেলে কী হয় সেটি বলতে পারছি না। পুলিশ যখন আমার কর্মস্থলে এসে আমাকে জিজ্ঞেস করে তখন বুঝি জাকারিয়াকে কেউ মেরেছে। হয়তো মেয়ে ঘটিত ব্যাপার হতে পারে।
জাকারিয়া জানান, জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের জন্য একটি কোর্ট বরাবরই খালি থাকার কথা। কিন্তু মারুফ আমাদের সেখানে খেলতে দিচ্ছিল না। তার পরও আমরা কোট ছেড়ে চলে আসি। ইনডোর থেকে বের হওয়ার মুগূর্তে ৮-১০ জন অতর্কিতে আমাদের ওপর হামলা চালায়। হঠাৎ আক্রমণে আমরা হতবিহ্বল হয়ে পড়ি। আমার গলা ও মাথায় আঘাত করে। আমার সঙ্গী জুনিয়র র্যাংকিং ১২ নাম বাহাউদ্দিন বাঁধনকেও আঘাত করে। পরে জীবন বাঁচাতে আইনের আশ্রয় নেই।’ মাঠ পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব জাহিদুল হক কচি জানান, ‘উডেন ফ্লোরে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। জাকারিয়া সকালে আমাকে ফোন দিলে আমি তাকেই মাঠ ছাড়তে বলি। অথচ ওই সময় মারুফ জাকারিয়াকে মারবে বলে ঘোষণা দেয়। সেটি আমার মোবাইল রেকর্ডে রয়েছে।’
সকালে এ ঘটনার পর বিকেলে সরেজমিন দেখা গেল ক্যাম্পে থাকা মহিলা শাটলাররা প্র্যাকটিস করছে। তবে পুরুষ শাটলাররা একাট্টা হয়ে অনুশীলন বর্জন করেছে। তারা একটা চিঠিও দিয়েছে ফেডারেশনে। ডাবলসে চ্যাম্পিয়ন পুরুষ শাটলার দুলালের কাছে জানতে চাইলে বলেন, ‘ভাইয়া এখন কিছু বলতে পারব না। আগামীকাল বলব।’ পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেল তারা কেউ ফেডারেশন নির্ধারিত কোচের কাছে অনুশীলন করতে চাচ্ছেন না। বিদেশী কোচ আনার জন্য তাগিদ দিচ্ছেন। উল্লেখ্য, জাতীয় পুরুষ দলের আটজন শাটলারের মাঝে ছয়জনই সিলেটের। সকালের ঘটনার সাথে বিকেলের এই অনুশীলন বর্জনে অন্তর্গত ষড়যন্ত্র হিসেবে মনে করছেন ব্যাডমিন্টন বোদ্ধারা।


আরো সংবাদ



premium cement
ফরিদপুরের গণপিটুনিতে নিহত ২ নির্মাণশ্রমিক জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনি সদস্যপদ লাভের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান

সকল