১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নতুন ভেনু নীলফামারী স্টেডিয়াম

-

এবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের সব খেলা বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে হবে, এমন সুযোগ নেই। এএফসির কড়াকড়িতে এবার পাঁচ দল ছাড়া বাকি আট ক্লাবই চলে যাচ্ছে ঢাকার বাইরে খেলতে। দুই দল কমলাপুর স্টেডিয়ামকে এবং তিন দল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামকে হোম ভেনু করার আবেদন করেছে। বাকিদের পছন্দ রাজধানীর বাইরে। অবশ্য এর জন্য বাফুফের পেশাদার লিগ কমিটির পাসমার্ক পেতে হবে। সব ঠিক থাকলে নীলফামারী স্টেডিয়াম হবে এবারের পেশাদার লিগের নতুন ভেনু। বসুন্ধরা কিংস ইতোমধ্যে এই স্টেডিয়ামকে তাদের ভেনু পেতে আবেদন করেছে পেশাদার লিগ কমিটির কাছে। দেশের উত্তরাঞ্চলেরই এই জেলা স্টেডিয়ামের সুযোগ সুবিধায় মুগ্ধ বাফুফেও। তারা সেখানে এএফসির অনুদানে মিনি টার্ফ বসিয়েছে। আর বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ পুরুষ জাতীয় দলকে তিন মাসের জন্য সেখানে অনুশীলনের জন্য পাঠানো হচ্ছে আগস্টের ২-৩ তারিখে।
নীলফামারী জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার সেক্রেটারি একই সাথে বাফুফেরও সদস্য। তিনি জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ডিফেন্ডার আরিফ হোসেন মুন। তার দেয়া তথ্য, শেখ কামালের নামে এই স্টেডিয়াম আধুনিক হয়েছে ১৫-১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে। আগে গ্যালারি ছিল ৮-৯ শত ফিট। এখন পুরো স্টেডিয়ামেই গ্যালারি আছে। দর্শক ধারণক্ষমতা ২৪-২৫ হাজার। তিনি জানান, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দল বসুন্ধরা কিংস আমাদের পাগল করে ফেলেছে এই স্টেডিয়ামকে তাদের লিগের হোম ভেনু বানাতে। এই স্টেডিয়ামে আমরা পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করতে চাই। মিনি টার্ফ উদ্বোধনের সময় বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন নীলফামারী এসেছিলেন। তখন তাকে অনুরোধ করেছিলাম আন্তর্জাতিক ম্যাচের ভেনু দিতে। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। এ দিকে পেশাদার লিগ কমিটি সূত্রে জানা গেছে, তাদের পাঠানো ভেনু পর্যবেক্ষণ কমিটি ভালোই বলেছে এই স্টেডিয়ামকে।
ভেনু পেতে নীলফামারী স্টেডিয়াম প্রস্তুত। এর পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে মুন উল্লেখ করেন, আমাদের জেলায় সৈয়দপুরে বিমানবন্দর আছে। আছে বাস এবং ট্রেনে সহজে আসার সুযোগ। শহর থেকে তিন কিলো মিটার দূরে উত্তরা ইপিজেডে থ্রি স্টার মানের হোটেল রয়েছে। এ ছাড়া স্টেডিয়ামের আছে আধুনিক ড্রেসিংরুম। সুতরাং সব যোগ্যতাই আছে এই স্টেডিয়ামের। আরো জানান, স্টেডিয়ামের প্যাভিলিয়নের ওপরে তিন তালায় সব মিলিয়ে ৪৮ জনের থাকার ব্যবস্থা আছে। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবল দল এখানেই থেকেই অনুশীলন করবে।
স্থানীয় দর্শকেরা ফুটবল পাগল। তাই দর্শক খরা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। মুন জানান, আমাদের আয়োজিত আন্তঃ ইউনিয়ন ফুটবল এবং মার্কেন্টাইল ব্যাংক আন্তঃজেলা ফুটবলে গ্যালারিতে দর্শকদের জায়গা দিতে পারি না। তবে সে তুলনায় লিগে দর্শক কম হয়। এবার শেষ হওয়া লিগে ৮ দল অংশ নেয়। সিঙ্গেল লিগে একেকটি দল ৭টি করে ম্যাচ। আন্তঃ ইউনিয়ন ফুটবলে প্রথম এবং দ্বিতীয় রাউন্ডে জেলার বাইরের কোনো ফুটবলারকে সুযোগ দেয়া হয় না। তা মূলত স্থানীয় ফুটবলার তৈরির জন্য।


আরো সংবাদ



premium cement