০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিজরি
`

আগডুম বাগডুম : কবিতা

-

অধম
মুস্তাফা ইসলাহী

তোমার একটি ছেলে
সময় কাটায় লেখাপড়ায়, ঘুরে এবং খেলে
কিন্তু কাজের ছেলেটাকে রাখো কাজে ফেলে।
তোমার একটি মেয়ে
সময় কাটায় ফ্যাশন করে, সা রে গা মা গেয়ে।
কাজের মেয়ে কাজের চাপে অশ্রু পড়ে বেয়ে।
ছেলে-মেয়ে দু’টি
ভাঙলে জিনিস কও না কিছু, পাও না কোনো ত্রুটি
কাজের লোকে ভাঙলে কিছু চেপে ধরো টুঁটি।
ছেলে-মেয়ে তুমি
হোটেলেতে পেট ভরে খাও, বিবেক থাকে ঘুমি
অনাহারে চেয়ে দেখে কাজের মেয়ে সুমি।
তোমার বিবেক নষ্ট
পরের দুঃখ, অসুখ, ব্যথায় পাও না মনে কষ্ট
পশুর চেয়ে অধম তুমি, হয়ে গেছে পষ্ট।


শরৎ রানীর হাসি
শামীম খান যুবরাজ

আজ ভাদরের মাসে
দোল লেগেছে কাশে
শব্দমণি হাসে।

মেঘের ছোটা দেখে
শায়ান ছড়া লেখে
শুনবি তোরা কে কে?
আয় না গাঁয়ের মাঠে
ফেনী নদীর ঘাটে।

শরৎ রানীর হাসি
আয় না ভালোবাসি।

 

পানিশূন্য নদী
আসাদুজ্জামান আসাদ

নদীর তো আর ঢেউ দেখি না পানিশূন্য নদী
তাদের কাছে পানির কথা বলছি নিরবধি
তিস্তা নদী পানিশূন্য ধু-ধু বালির চরে
বাড়ি বেঁধে জনমানব থাকে সুখের ঘরে।

যমুনা যে বিরাট নদী ঢেউ ওঠে না ভেসে
কচুরিপানা ভিড় করে না স্রোতের সাথে এসে
মেঘনা নদী কোথায় গেল কোথায় নদীর ঢেউ
নদীর বুকে নামতে এখন ভয় করে না কেউ।

নদীমাতৃক স্বদেশ আমার হাসি ছিল মুখে
নৌকা নিয়ে নদীর বুকে ঘোরা যায় না সুখে।

 


হতাম যদি
আশরাফ আলী চারু

হতাম যদি গাছ অথবা
হতাম গাছের ফুল
আহারে কী হতো মজা
লাগতো মনে দুল।

থাকত পাশে নীল ভ্রমরা
গাইত পাখির ঝাঁক
পায়রাগুলো বসতো ডালে
ডাকতো বাকুমবাক।

ওদের সাথে চলতো খেলা
ভাসতো সুখে মন
হতাশাভর মনের ক্ষত
করত না চনমন।


খোকা
মুস্তফা মানিক

হাসছে খোকা মায়ের কোলে
দিচ্ছে আদর মুখে
বলছে কথা মিষ্টি স্বরে
সোহাগ-মায়া, মুক্তো ঝরে
কাটছে বেলা সুখে।

খেলছে খেলা বাবার সাথে
দেখবে পুতুল বিয়ে
বায়না ধরে শত শত
সাজবে নাকি পরীর মতো
দেখবে ময়না টিয়ে।

দাদুর সাথে দাদার সাথে
গল্প জমায় রাতে
চাঁদ আকাশে উঠোন কোণে
বলছে কথা টেলিফোনে
নীল পরীদের সাথে।

 

পাখির বাসা
নকুল শর্ম্মা

পাখির বাসায় দু’টি ছানা
কিচিরমিচির করে,
মা পাখিটা সারাটি দিন
খাবার জোগাড় করে।

বাবা পাখি দেয় পাহারা
সজাগ দৃষ্টি খানি,
ছোঁ মেরে না নিতে পারে
দুষ্ট কোনো প্রাণী।

হঠাৎ সেদিন ঝড়ের তোড়ে
বাসা গেলো উড়ে,
ছানাগুলো হারিয়ে গেল
কোথায় কোন সে দূরে।

থামলো যখন ঝড়ো হাওয়া
মা পাখিটার কান্না!
বাবা পাখি উদাস ব্যাকুল
কোথাও খুঁজে পান না।


আরো সংবাদ



premium cement