০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিজরি
`

স্বর্ণের কলস

-

এক গ্রামে এক কাঠুরিয়া বাস করতো। সে প্রতিদিন বনে বনে ঘুরে কাঠ কেটে বাজারে বিক্রি করে সংসার চালাতো। তাদের ঘরে দু’টি সন্তান ছিল। মেয়েটি বড়, তার নাম রূপসী; আর ছেলেটি ছিল ছোট, নাম ছিল অংকন। কাঠুরিয়া মাঝে মধ্যে তার বউ বিলাসীকে সাথে নিয়ে যেতো কাঠ কাটতে। এক দিন সকালে নাশতা করে কাঠুরিয়া তার বউকে বলে আজ তুমিও আমার সাথে চলো কাঠ কাটার জন্য। আমার শরীরটা তেমন ভালো না। একা যেতে ইচ্ছা করছে না। বিলাসী বলে আচ্ছা চলো যাই। এই বলে তাদের সন্তান রূপসীকে বলে তুমি অংকনকে সাথে নিয়ে বাড়িতেই থাকবে। বাড়ির বাহিরে কিন্তু যাবে না। এই বলে তারা দু’জন বনে যায় কাঠ সংগ্রহ করতে। অনেক দিনের পুরনো বন। কাঠ কাটতে কাটতে তারা দু’জন একেবারে বনের গহিনে চলে যায়। সেই গহিন বনের ভেতরে অনেক পুরনো বড় একটি গাছ পড়ে থাকতে দেখে সেটি কাটতে শুরু করে। এমন সময় বিলাসীর চোখে পড়ে গাছের গোড়ায় কী যেনো চকচক করছে! বিলাসী আরো কাছে গিয়ে দেখে বিলাসীর চোখ ছানাবড়া! সে দেখতে পায় স্বর্ণের এক কলস! দেরি না করে অমনি কাঠুরিয়াকে ডেকে বলে, এখানে এসে দেখে যাও, এক স্বর্ণের কলস গাছের গোড়ায়! কাঠুরিয়া দৌড়ে এসে দেখে সেও খুশিতে নাচানাচি! তারপর দু’জনে মিলে কলসটি তুলে পরিষ্কার স্থানে গিয়ে মুখের ঢাকনা খুলে দেখে তো আরো বিস্মিত! একজন আর একজনকে বলে, আমরা স্বপ্নে দেখছি নাতো! কলসের ভেতরে গজগজ করছে স্বর্ণের টাকা আর টাকা! তখন কাঠ কাটা বাদ দিয়ে কলাগাছের শুকনো পাতা দিয়ে কলসটি খুব সুন্দর করে ঢেকে বেঁধে নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়। বাড়িতে গিয়ে স্বর্ণের এত টাকা কেমনে কী করবে এমন সলাপরামর্শ করতে থাকে। দিন চলে গিয়ে রাত নেমে আসে কিন্তু তাদের হিসাব নিকাশ শেষ হয় না। জমা জমি কিনবে, অনেক বড় করে ৫ তলা বাড়ি করবে। ছেলে মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করে তাদের আনা নেয়া করার জন্য গাড়ি কিনে একজন চালক রাখবে। এর পর রাতের খানা খেয়ে আবারও সেই আলোচনা শুরু করে। তাদের ঘরের পাশ দিয়ে ছিল রাস্তা। দু’জনের পরামর্শ করতে রাত গভীর হলে, ভাঙা ঘরের এক কোণে স্বর্ণ ভর্তি কলসিটি ছেঁড়া এক বস্তা দিয়ে ঢেকে রেখে ঘুমিয়ে যায়। পাশের গ্রামের পটলু চোরা রাতে চুরি করতে বের হয়ে সেই রাস্তা দিয়ে যেতে তাদের কথা শুনে সেই ভাঙা ্রঘরের ফাঁক দিয়ে সব দেখে দেখে সেখানেই বসে থাকে। এ দিকে কাঠুরিয়া ও তার বউ গভীর নিদ্রায় চলে গেছে। এমন সময় ঘরে বেড়ার ফাঁক দিয়ে আস্তে আস্তে হাত ঢুকিয়ে দিয়ে আরো একটু ভেঙে পটলু চোরা স্বর্ণ বোঝাই কলসিটি নিয়ে চম্পট দেয়। কিন্তু পলটু চোরাও সেটা ভোগ করতে পারে না। সেখান থেকে যেতে একদল ডাকাত অন্যত্র ডাকাতি করতে গিয়ে সেই রাস্তা দিয়ে যেতে পলটু চোরাকে দেখে বলে এই তোর মাথায় কী? পলটু ডাকাতদের হাতে বন্দুক রামদা দেখে ভয়ে আমতা আমতা করে বলতে থাকে না ভাই তেমন কিছু না! ওই কাঠুরিয়া এই বস্তাটা আমাকে দিয়েছে আমার বাড়িতে যতœ করে রেখে দিতে তাই আর কি! ডাকাত সর্দার ধমক দিয়ে বলে এই দেখছিস রাম দা! একেবারে দুই ভাগ করে দিবো! ভয়ে পলটু বস্তা ফেলে দিয়ে পাট খেতের ভেতর দিয়ে মারে এক দৌড়!
ডাকাতের দল কলসির ভেতরের সব স্বর্ণের টাকা রাস্তার ওপর ঢেলে ভাগ করতে থাকে। ডাকাতের আনাগোনা আগে থেকে টের পেয়ে একদল পুলিশও পিছু লেগে ছিল। সেই পুলিশের দল এসে একযোগে সব ডাকাত ধরে স্বর্ণের কলসিসহ বেঁধে থানায় নিয়ে যায়।


আরো সংবাদ



premium cement
ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী ‘শিগগিরই’ ওসিদের বদলি শুরু করবে ডিএমপি রিজভীর নেতৃত্বে উত্তরায় মহিলা দলের মিছিল উত্তর-পশ্চিমে অগ্রসর হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ তানজানিয়ায় বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ৪৭ সবার আগে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে গাজায় হামলা চালাতে ইসরাইলকে ভয়াবহ সব অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার রাজনৈতিক ভিক্ষুকদের মাধ্যমে চরদখলের আয়োজন করেছে লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের রণতরী এবং বাণিজ্য জাহাজের ওপর হামলা ভারতে বিজেপি বনাম কংগ্রেস : কার নিয়ন্ত্রণে কত রাজ্য দল জিতলেও ঘরের মাঠেই হেরে গেলেন আজহারউদ্দিন চীনের সাথে তাইওয়ানের একীভূত করার চেষ্টা জোরালো করেছেন প্রেসিডেন্ট শি

সকল